অনলাইন ডেস্ক: সেনাবাহিনী ও বিজিবি সহায়তায় সাতক্ষীরায় আটটি থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে কলারোয়া থানা অডিটোরিয়ামে রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও ছাত্র সমন্বয়কদের নিয়ে বৈঠক করেন সাতক্ষীরা, ৩৩ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল আশরাফুল হক ।এ সময় তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সুধীজনরা থানাকে সুরক্ষিত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সাতক্ষীরা, ৩৩ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল আশরাফুল হক বলেন, কলারোয়া থানায় কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। সকলের সঙ্গে কথা বলে আমি মনে করছি- থানার পুলিশ সদস্যরা নিরাপদ। এখন পুলিশ সদস্যরা নিরাপদ বোধ করছেন কিনা সেটি তারা বলবেন।
জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক ইয়াছিন আলম চৌধুরী জানান, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বচল না হওয়ায় চালু করা যায়নি তবে পর্যাপ্ত পরিমাণ জনবল রয়েছে। তাই, থানাগুলো যেকোন সময়ে চালু হবে। থানার নিরাপত্তার জন্য কোথাও সেনাবাহিনী, কোথাও বিজিবি রয়েছে।
এদিকে ৫ আগস্ট সন্ধ্যায় বন্ধ হওয়ার পর আজ (১০ আগস্ট) থেকে আবারও সীমিত পরিসরে সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী চারটি থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ১৭ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন (বিজিবি) এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল সানবীর হাসান মজুমদারের উপস্থিতিতে বেলা দেড়টার পর কালিগঞ্জ থানার কার্যক্রম শুরু হয়। এ সময় ১৭ বিজিবির ইন্ট অফিসার মেজর শাহ রেজা আল ফামি (এএমসি অফস), সহকারী পরিচালক শাহ খালেদ ইমাম, কালিগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিনুর রহমান, থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ইদ্রিসুর রহমান, নলতা ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান, চাম্পাফুল ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক গাইন, উপজেলা বিএনপি’র একাংশের আহবায়ক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শেখ এবাদুল ইসলাম, সদস্যসচিব শেখ শফিকুল ইসলাম বাবু, বিএনপি নেতা সৈয়দ হাসনাত আলী, সাইফুল ইসলাম, ছাত্র সমন্বয়ক শেখ রাকিবসহ কয়েকজন সমন্বয়ক ও থানার অফিসারবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে একই সাথে, সীমান্তবর্তী দেবহাটা, শ্যামনগর ও কলরোয়া থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
১৭ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল সানবীর হাসান মজুমদার বলেন, ব্যক্তিস্বার্থের উর্দ্ধে থেকে সবাইকে দেশের জন্য কাজ করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলে সেটা কারও জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে না। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনীকে সহায়তা করার জন্য সকল রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এদেশে সংখ্যালঘু বলে কেউ নেই। সবাই আমরা রাষ্ট্রের নাগরিক, সবার অধিকার সমান। জনগণের পাশে থেকে বিজিবি সদস্যরা সার্বিক সহায়তা করা হবে। তিনি গুজব ছড়িয়ে মানুষকে আতংকিত না করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম বলেন, অনিবার্য কারণে থানার স্বাভাবিক কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়েছিল । এখন থেকে আবারও স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী পুলিশ সদস্যরা জনগণের পাশে থেকে যথাযথ ভূমিকা রাখবে।
এদিকে, আনুষ্ঠানিকভাবে থানার কার্যক্রম শুরু করলেও ১১ দফা দাবিতে আজও কর্ম বিরতি পালন করছে পুলিশ সদস্যরা।
সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মতিউর রহমান সিদ্দিকী বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে কয়েকটি থানার কার্যক্রম শুরু হলেও পুলিশ সদস্যরা আজও কর্ম বিরতি পালন করছে। তাদের ১১ দফা দাবি না মানা পর্যন্ত কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।