সাতক্ষীরা সংবাদদাতাঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারী ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক বলেছেন, আমাদের শহীদরা দেশ ও জাতির গর্বিত সন্তান। তারা বিশেষ কোন শ্রেণি বা গোষ্ঠীর নন বরং জাতীয় বীর হিসাবে দেশ ও জাতির মনে স্থান করে নিয়েছেন। তাদের আত্মত্যাগের মাধ্যমেই আমরা দেশকে ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচার মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছি। তিনি সাম্প্রতিক আন্দোলনে শাহাদাতবরণকারী শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা, ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়ার জন্য সরকার, বিবেকবান দল ও ব্যক্তিবর্গের প্রতি আহ্বান, আহতদের চিকিৎসা ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, দেশ ও জনগণের স্বার্থে রাষ্ট্রের সকল পর্যায়ে অনিয়ম ও অনাচার দূর করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে সংস্কার সাধন, বিগত ১৫ বছরে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, অর্থ ব্যবস্থা, আইন, বিচার ও শাসন ব্যবস্থা এবং শিল্প ও শিক্ষা ব্যবস্থায় যারা দেশ ও জনগণের সীমাহীন ক্ষতিসাধন করেছে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে যথোপোযুক্ত বিচার করার দাবী জানান। শুক্রবার রাতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা জেলা কার্যালয়ের সভাকক্ষে জেলা জামায়াত আয়োজিত কর্মপরিষদ বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।
সাতক্ষীরা জামায়াতের আমীর মুহাদ্দিস রবিউল বাশারের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারী মাওলানা আজিজুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত জেলা কর্মপরিষদ বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা নায়েবে আমীরদ্বয় অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম, শেখ নুরুল হুদা, সহকারী সেক্রেটারীদ্বয়ের মধ্যে অধ্যাপক গাজী সুজায়েত আলী, অধ্যাপক ওবায়দুল্লাহ, অধ্যাপক ওমর ফারুকসহ কর্মপরিষদ নেতৃত্ব বৃন্দ।
বৈঠকে সাতক্ষীরা জামায়াতের আমীর মুহাদ্দিস রবিউল বাশার বলেন, ছাত্র জনতার এই বিপ্লব পরবর্তীতে কিছু কিছু যায়গায় বিশৃঙ্খলা চলছে এটা আমরা লক্ষ্য করছি। মানুষের জমি দখল, সম্পদ দখল, লুটতরাজ এধরনের জঘন্য কাজে কিছু দুষ্কৃতকারী নেমে গেছে। আমরা এগুলোকে র্ঘণা করি তিরস্কার জানায়। তিনি জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে যে লোকটা এদেশে জন্মগ্রহণ করেছে তিনিই দেশের গর্বিত নাগরিক। বাংলাদেশ আমাদের সবার। ছাত্র জনতার অভ্যুত্থান বা বিপ্লবের সূচনালগ্ন থেকেই আমরা বিভিন্ন ধর্মের লোকদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সমূহে নিজেদের ভাইদের দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়ে আসছি। কারণ অনেকেই অঘটন ঘটিয়ে দেশে অস্থিরতা তৈরি করতে চায়, আমরা তাদেরকে সে সুযোগ দিবো না।