পুলিশের কাছে ঘুষ ফেরত চায় সাতক্ষীরার শিক্ষার্থীরা

রোববার সাতক্ষীরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলন। ছবি : ইনডিপেনডেন্ট

রিমান্ডের নামে পুলিশের নেওয়া ঘুষ ফেরত চেয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাতক্ষীরা জেলার শিক্ষার্থীরা। একই সাথে মোবাইলসহ অন্যান্য ব্যবহার্য জিনিসও ফেরত চেয়েছে তারা। অন্যথায় অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

আর এই কাজে শিক্ষার্থীদের আইনি সহায়তা দেওয়ারও ঘোষণা দিয়েছে আইনজীবীরা। আজ রোববার দুপুরে সাতক্ষীরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনের চত্বরে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান আইনজীবী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।

আইনজীবী অ্যাডভোকেট শহীদ হাসান জানান, তারা ঝুঁকি নিয়ে ছাত্রদের মামলায় বিনামূল্যে আইনি সহায়তা দিয়েছেন। ছাত্রদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলায় রিমান্ডের নামে প্রচুর অর্থ হাতিয়েছেন সদর থানার ওসি মোহিদুল ইসলাম, তদন্তকারী কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ মণ্ডলসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

অনতিবিলম্বে টাকা ফেরত না দিলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেন তিনি।

আর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাতক্ষীরার অন্যতম সমম্বয়ক ইমরান হোসেন জানান, তাদের বিরুদ্ধে হওয়া দুটি মামলা এখনো চলমান আছে। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী অনতিবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা জানায়, অন্যতম সমম্বয়ক ইমরান হোসেনের কাছ থেকে ৭ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন পুলিশ পরিদর্শক মোল্যা মো. সেলিম, শাহারুজ্জামানের কাছ থেকে ৬ হাজার টাকা, কাজী সাকিবের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা, ইব্রাহিম হোসেনের কাছ থেকে নেয় ৩ হাজার টাকা।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি তারেক বিন আব্দুল আজিজ মঈনুল ইসলামের কাছ থেকে নিয়েছিলেন ১৪ হাজার টাকা। সদর থানার ওসি মোহিদুল ইসলাম এসএম রোকনুজ্জামানের কাছ থেকে নিয়েছিলেন ৩৫ হাজার টাকা। এভাবেই পুলিশ কর্মকর্তারা রিমান্ডে থাকা শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের কাছ থেকে প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকা ঘুষ নেয়। এছাড়া শিক্ষার্থীদের ব্যবহৃত অ্যান্ড্রোয়েড ফোন কেড়ে নেয় কমপক্ষে ১০টি।

প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আন্দোলনকে দমন করতে সদর থানায় দুটি মামলা করে পুলিশ। একটি মামলায় আসামি করা হয় ১৮ জনকে এবং আরেকটি মামলায় আসামি করা হয় ১৩ জনকে। প্রথম মামলায় ১৩ জনকে রিমান্ডে নেওয়া হয়।

এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মতিউর রহমান সিদ্দিকী বলেন, ‘বিষয়টি আমি জেনেছি। উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Check Also

আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নের খালিয়া রাস্তার বেহাল দশা।। বিপত্তিতে শতাধিক পরিবার।।দ্রুত সংস্কার দাবি 

এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি।।আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড খালিয়া গ্রামের সানাপাড়ার প্রায় শতাধিক পরিবার একটি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।