শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রাপ্ত সেই সোহায়েলকে নৌবাহিনী থেকে বাধ্যতামূলক অবসরে

সোমবার (১৯ আগস্ট) তাকে বাহিনী থেকে চাকুরিচ্যুত করা হয়। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, জোরপূর্বক গুম এবং হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগ ওঠার পর নৌবাহিনী এই ব্যবস্থা নিয়েছে।

এর আগে গত ৭ আগস্ট বন্দর চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে নৌবাহিনীর ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিনের কমান্ডার হিসেবে বদলি করা হয়।

নৌবাহিনী সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি মোহাম্মদ সোহায়েল কমোডোর থেকে রিয়ার অ্যাডমিরাল হিসেবে পদোন্নতি পান। অভিযোগ ওঠে কোন জাহাজ বা ঘাঁটি কমান্ড কিংবা গুরুত্বপূর্ণ সামরিক কোর্স না করেই শেখ হাসিনা সরকারের অনুগ্রহভাজন হিসেবে রিয়ার এডমিরাল হিসেবে পদোন্নতি বাগিয়ে নিয়েছিলেন তিনি।

শুধু পদোন্নতি নয়, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান থাকাকালে শুদ্ধাচার পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন অভিযুক্ত এই কর্মকর্তা। শুদ্ধাচার চর্চায় উৎসাহ দেওয়ার লক্ষ্যে গত বছর ২০ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে এই পুরস্কার দেওয়া হয় সোহায়েলকে।

গত বছরের ১২ এপ্রিল চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার আগে তিনি ২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ছিলেন।

মোহাম্মদ সোহায়েল ২০১০ সাল থেকে পরবর্তী দুই বছর র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের ডিরেক্টর ছিলেন। এসময় তার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক গুম এবং হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে।

Check Also

আশাশুনিতে টঙ্গী ইজতেমায় হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি।।ঢাকার টঙ্গীত ইজতেমা-মাঠে নিরীহ মুসল্লিদের উপর উগ্রবাদী সন্ত্রাসী সাদ পন্থীদের বর্বরোচিত হামলা ও পরিকল্পিত …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।