বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেননকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশান থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখার অতিরিক্ত উপকমিশনার ওবায়দুর রহমান জানান, রাজধানীর নিউমার্কেট থানার একটি হত্যা মামলায় রাশেদ খান মেননকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
এর আগে ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা মোস্তফা আলমগীর রতন সাংবাদিকদের বলেন, বিকেল সোয়া ৫টার দিকে সাদা পোশাকের পুলিশ সদস্যরা তাঁকে বাসা থেকে আটক করে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেন। আজ শুক্রবার তাঁকে আদালতে হাজির করার কথা রয়েছে।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ এনে গতকাল এক মামলায় মেননকেও আসামি করা হয়। জিয়াউল হক নামে এক আইনজীবী ঢাকা মহানগর হাকিম সাইফুল ইসলামের আদালতে মামলাটি করেন। মামলায় সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুকেও আসামি করা হয়েছে।
শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর বেশ কয়েকজন শীর্ষ রাজনীতিক গ্রেপ্তার হয়েছেন। এর মধ্যে নিউমার্কেট থানার হত্যা মামলায় ১৩ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন ১৪ আগস্ট পল্টন থানার হত্যা মামলায় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক, সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ১৯ আগস্ট রাতে রাজধানীর বারিধারা থেকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী দীপু মনি এবং সাবেক ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আরিফ খান জয়কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ছাড়া ২০ আগস্ট রাতে বনশ্রী থেকে সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন এবং চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানা এলাকা থেকে সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ছাড়া ১৫ আগস্ট খিলক্ষেত থেকে সেনাবাহিনী থেকে সদ্য অব্যাহতি পাওয়া মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আর ২০ আগস্ট মধ্যরাতে নৌবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েলকে গ্রেপ্তার করা হয়।