চাহিদাকৃত টাকা দিতে না পারায় সাতক্ষীরায় পরিবহন চালককে হত্যার অভিযোগে সাবেক পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, জজ কার্টের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফসহ ১৮জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা,এফআইআরের নির্দেশ
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ঃ ৫ বছর আগে সাতক্ষীরার সদরের কুচপুকুর গ্রামের পরিবহন চালক হুমায়ুন কবীরকে ঢাকা থেকে তুলে এনে বাইপাস সড়কে ক্রসফায়ারের নামে গুলি করে হত্যার অভিযোগে সাতক্ষীরার তৎকালিন পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি র্অ্যাড. আব্দুল লতিফসহ ১৮জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের ভাই আজগার আলী বাদি হয়ে রোববার সাতক্ষীরার জ্যেষ্ট বিচারিক হাকিম প্রথম আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। বিচারক নয়ন কুমার বড়াল বাদির লিখিত অভিযোগ আমলে নিয়ে (১৫৬(৩) ধারা মতে) এজাহার হিসেবে গণ্য করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অপর আসামীরা হলেন,সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইলতুৎমিশ,সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহিদুল ইসলাম, সাতক্ষীরা সদরের কুচপুকুরের নেছারউদ্দিনের ছেলে রফিকুল ইসলাম, তার ভাই রবিউল ইসলাম, নজরুল ইসলামের ছেলে নবের আলীসহ ১৮ জন।
মামলার বিবরনে জানা যায়, কুচপুকুর গ্রামের মোক্তার আলীর ছেলে হুমায়ুন কবীর একজন পরিবহন শ্রমিক। ২০১৯ সালের ২৫ আগষ্ট তৎকালিন পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইলতুতমিস ও সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি র্অ্যাড. আব্দুল লতিফসহ অন্যান্য আসামীদের সাথে যোগসাজসে ঢাকা থেকে মাইক্রোবাসে হুমায়ুন কবিরকে তুলে আনা হয়। ক্রসফায়ার থেকে বাচিয়ে দেওয়ার নামে জজকোর্টের সাবেক পিপি আব্দুল লতিফ তার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা আদায় করে। চাহিদাকৃত ২০ লাখ টাকা না দেওয়ার হুমায়ুন কবীরকে ৫ সেপ্টেম্বর-২৪ ভোরে হুমায়ুনের পিঠের বাম পাশে ও বুকে গুলি করে হত্যার পর বাইপাস সড়কে ফেলে রাখা হয়। পরে ক্রসফায়ারে কবীর মারা গেছে মর্মে স্থানীয় আসামীরা উল্লাস করে। ওইদিন বিকেলে সদর হাসপাতালের মর্গে ময়না তদন্ত শেষে হুমায়ুন কবীরের লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
বাদিপক্ষের আইনজীবী অ্যাড. মশিউর রহমান জানান, চারজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১৮জনের বিরুদ্ধে আদালতে দায়েরকৃত মামলাটি এফআইআর হিসেবে গণ্য করার জন্য সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।