চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে সচিবালয় অবরুদ্ধ করে ভাঙচুর ও হামলার মামলায় গ্রেফতার ৩৯০ জন আনসার সদস্যকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখা সূত্রে জানা গেছে, এদিন শাহবাগ থানার মামলায় গ্রেফতার ১৯১ জন, রমনা থানার মামলায় ৯৮ জন, পল্টন থানার মামলায় ৯৫ জন ও বিমানবন্দর থানার মামলায় গ্রেফতার দেখানো ৬ জন আনসার সদস্যকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এ চার থানার মামলায় অন্তত ৪৩৭ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া অন্তত ৪ হাজার অজ্ঞাতনামা আনসার সদস্যদের আসামি করা হয়েছে।
সোমবার ঢাকার শাহবাগ, রমনা, পল্টন ও বিমানবন্দর থানায় মোট চারটি মামলা দায়ের হয়। এখানে নাম উল্লেখ করে আসামী করা হয়েছে ৪২৬ জনকে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা হিসাবে কয়েক হাজার আনসার সদস্যকে আসামি করা হয়েছে।
এরমধ্যে শাহবাগ থানায় ২০৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং দুই/তিন হাজার অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে, পল্টন থানায় ১১৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং তিন/চার হাজার অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে, পল্টন থানায় ৯৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং দুই/তিন হাজার অজ্ঞাতনামার বিরুদ্ধে এবং বিমানবন্দর থানায় ছয় জনের নাম উল্লেখ করে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলায় আসামীদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে দলবদ্ধ হয়ে অবরুদ্ধ ও সহিংসতায় লিপ্ত হওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
চাকরি স্থায়ীকরণসহ কয়েকটি দাবিতে আনসার সদস্যরা রোববার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সচিবালয় ঘেরাও করে রাখে। এসময় ভেতরে সচিবালয়ের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক আটকা পড়েন।
পরে সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ফেসবুকে এ সংক্রান্ত পোস্ট দিলে হাজার হাজার শিক্ষার্থী সচিবালয়ে পৌঁছায়।
এসময় আনসার সদস্যদের সাথে তাদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। দুপক্ষের সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হন।
রাত থেকেই আনসার সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের প্রক্রিয়া শুরু করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ