সাতক্ষীরার কাশেমপুরে জামায়াতকর্মী শহিদুল ইসলামকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবর রহমান ও সাবেক পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীরসহ ৩২ জনকে আসামী করে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে।
সাতক্ষীরার জৈষ্ঠ্য বিচারিক হাকিম নয়ন বড়ালের আদালতে বুধবার মামলাটি করেন শহিদুল ইসলামের ভাই ইমাদুল হক। বিচারক অভিযোগটি এফআইআর হিসেবে রেকর্ড করতে সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অন্য আসামীরা হলেন, সাতক্ষীরার সাবেক সহকারী পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান, সদর থানার সাবেক ওসি এনামুল হক, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল মান্নান, তার ভাই আব্দুল হান্নান, এসআই স্বপন কুমার দাশ, কনস্টেবল রথিম চন্দ্র শারমা, শাহমুদ শারমা, কাশেমপুুরের অহিদুল ইসলাম, ইটাগাছার শেখ শাহাঙ্গীর হোসেন শাহীন, কাশেপুরের হাসানুজ্জামান শাওন, শেখ আনোয়ার হোসেন, শিকড়ির আক্তারুল ইসলাম, শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, একই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ সভাপতি শওকত আলী, বৈকারীর সাবেক চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামন অসলেসহ মোট ৩২ জন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি আসামীরা কালো মাইক্রোবাসে এসে শহিদুল ইসলামকে শহর উপকণ্ঠের কাশেমপুর গ্রাম থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাকে গুলি করে হত্যা করে যশোর শহর উপকণ্ঠের পিকনিক কর্নারের সামনে তার মরদেহ রেখে ক্রসফায়ারের নাটক সাঁজায়।
আসামীপক্ষের আইনজীবী এড. আকবার হোসেন জানান, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এজাহার হিসেবে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।