সাতক্ষীরায় এক নারীতে গণধর্ষণ করার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় ৪ পলাতক আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৬এর সদস্যরা। মঙ্গলবার গভীর রাতে শহরের পলাশপোল নিউমার্কেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার বেলা ১২টায় র্যাব-৬ এর সাতক্ষীরা ক্যাম্পের কমান্ডার এ.এস.পি নাজমুল হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয় সাংবাদিকদের।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা হলেন, শহরের পলাশপোল এলাকার মন্টু কারিকরের পুত্র সুলতান আহমেদ, ছাত্তার গাজীর পুত্র আব্দুল গফুর গাজী, পলাশপোল দক্ষিণপাড়ার কামাল হোসেনের পুত্র আব্দুল্লাহ হোসেন জনি এবং কামালনগর গ্রামের সিদ্দিকুল ইসলাম বাবুর পুত্র জুম্মাতুল ইসলাম বনি।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আশাশুনি উপজেলার চাপড়া গ্রামের ভুক্তভোগী এক নারী মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হয়ে ভারসাম্যহীন অবস্থায় চলাফেরা করে। একপর্যায়ে গত ২৬ আগস্ট সন্ধ্যার সময় ওই নারী নিজ বাড়ি হতে কাউকে কোন কিছু না বলে ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে সাতক্ষীরা শহরে চলে আসে। ওই নারীর বাবা তাকে না পেয়ে অনেক খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে একব্যক্তি মোবাইল করে জানায় তার কন্যা সাতক্ষীরা শহরস্থ নিউ মার্কেটের পিছনে রয়েছে।
পরদিন সকালে নির্যাতিতা ওই নারীর বাবা সাতক্ষীরা শহরে এসে নিউ মার্কেটের পিছনে জনৈক এক ব্যক্তির বাড়ির নিচতলার মাঝখানের রুম থেকে তাকে উদ্ধার করে।
উদ্ধারের পর তার কন্যা তাকে জানায়, রাতের আধারে নিউ মার্কেটের পিছনে হাটতে হাটতে চলে আসে এবং পুকুরের মধ্যে পা পিছলে পড়ে যায়। এ সময় মোঃ সুলতান আহম্মেদ, মোঃ শান্ত, মোঃ ফয়সাল বাবু, মোঃ আব্দুল্লাহ হোসেন জনি, মোঃ আব্দুল গফুর গাজী ও মোঃ জুম্মাতুল ইসলাম বনি পুকুর থেকে তাকে তুলে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে মুখ চেপে ধরে পালাক্রমে জোর পূর্বক গণধর্ষণ করে।
এ ব্যাপারে নির্যাতিতা ওই নারীর বাবা বাদী হয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব-৬ সাতক্ষীরা ক্যাম্পের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে উক্ত ৪ আসামীকে গ্রেপ্তার করেন।