বিনেরপোতা বসুন্ধরা এলাকায়  চাঁদাবাজি, লুটপাট ও সাধারণ মানুষকে হয়রানিকারীদের শাস্তির দাবী 

নিজস্ব প্রতিনিধি: বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দলীয় বাহিনী কর্তৃক চাঁদাবাজি, লুটপাট ও সাধারণ মানুষকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। সাতক্ষীরা সদর উপজেলা লাবসা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডর বিনেরপোতা বসুন্ধরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গিয়েছে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ১৩ নং লাবসা ইউনিয়ানের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জিয়াউর রহমান জিয়া ও  আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মান্নানসহ এলাকায় প্রভাবশালী আওয়ামী লীগের নেতারা  সরকারি খাস জমিতে ঘর বানিয়ে দেওয়া  প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ ও বিএনপি -জামায়াতের  সমর্থকদের বিভিন্ন নাশকতা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছেন বলে ভুক্তভোগীরা জানান।  বিনেরপোতা  বসুন্ধরা এলাকার আব্দুল হান্নান বিশ্বাস এ প্রতিবেদককে বলেন, ৩ বিঘা খারস জমি বন্দোবস্ত নিয়ে চাঁষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করতাম কিন্তু ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক  জিয়াউর রহমান জিয়া  ২০১৩ সালে নাশকতা মামলায় আমাকে জড়িয়ে  কারাগারে পাঠিয়ে জমি দখল করে বিভিন্ন ব্যক্তির দখলে দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। একই এলাকার হাসানুর রহমান হাসান বলেন, দোকান করার সময় জিয়াউর রহমান জিয়াসহ আওয়ামী লীগনেতারা নাশকতা মামলার ভয় দেখিয়ে ৮০ হাজার টাকা চাঁদা নেয়,আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যাতে আমার টাকা ফেরত পায়। একই এলাকার ইসকান্দার মির্জা বলেন, জিয়াউর রহমান জিয়া ২০০৮ সালে বিনেরপোতা মাছ বাজার এলাকায় আমার জায়গা দখল করে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের কার্যালয় বানায়। এছাড়া তারা আমাকে নাশকতায় মামলায় জড়িয়ে জেলে পাঠায়। ৭০ বছরে বৃদ্ধ কেঁদে কেঁদে জানান, বুড়ো বয়সে ৪ মাস জেল খাটিয়েছে  তারা। তিনি আরো বলেন, ২০১৯ সালে আওয়ামীলীগনেতা মান্নান তার জমিতে আমাকে দিয়ে কাজ করিয়ে ৪২ হাজার টাকা মজুরী দেয়নি। টাকা চাইলে মান্নান বলে জামায়াতের কর্মী টাকা কিসের। আমি তার বিচার চাই। নজরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি জানান আমি বিএনপির সমর্থক হওয়ায় দলীয় পাওয়ার দেখিয়ে জিয়াউর রহমান জিয়া, আব্দুল মান্নান, ইমাম বারী আমাকে মামলার ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন সময়  ৮ লক্ষ টাকা নিয়েছে। একই এলাকার আলীরাজ জানান, আমার কাছ থেকে খাস জমি দেওয়ার নাম করে ৬০ হাজার টাকা নিয়ে সেই  জমি একই এলাকার মফিজুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির কাছে ৩০ হাজার টাকায় দখলে দেয় জিয়াউর রহমান জিয়া । কিন্তু আমার ৬০ হাজার টাকা আজও ফেরত দেয়নি জিয়াউর রহমান বাবু।
গোলাম বারী ও হাসান আলী জানান, সাংবাদিক রেজাউল ইসলাম বাবলু ও আওয়ামীলীগনেতা জিয়াউর রহমান, মান্নান মামলার ভয় দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করলেন বাধ্য হয়ে  ১০ হাজার টাকা দিয়েছি। আমি আমার টাকা ফেরত চাই। সালমা বেগম নামে এক মহিলা জানান, আমার ছেলেকে পুলিশে ধরিয়ে  দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আমার কাছ থেকে আব্দুল মান্নান ৫০ হাজার টাকা নিয়েছিলো। আমি আমার টাকা ফেরত চাই। ভূক্তভোগীরা আওয়ামীলীগনেতা জিয়াউর রহমান, মান্নানসহ যারা দীর্ঘ দিন অর্থলুটপাট, জমি দখল,  জুলুম নির্যাতন চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Check Also

আশাশুনি উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

সভাপতি-অধ্যাপক শাহজাহান,সেক্রেটারী বোরহান উদ্দীন মনোনীত এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি প্রতিনিধি।।বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন আশাশুনি উপজেলার দ্বি-বার্ষিক …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।