সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা সিটি কলেজ এলাকায় মিছিলে বিএনপি কর্মী মাহামুদুল হাসানকে গুলি করে হত্যার ১১ বছর পরে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের পিতা সদর উপজেলার বালিয়াডাঙা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক বাদি হয়ে সাবেক পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর ও সদর সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামানসহ ৪৪ জনের নামে সোমবার সাতক্ষীরার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম প্রথম আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। বিচারক নয়ন বড়াল মামলাটি এফআইআর হিসেবে নিতে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অন্যান্য অন্যতম আসামীরা হলেন, সাতক্ষীরা সদর থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহম্মেদ।
মামলার বিবরণে জানা যায়, জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর ফাঁসির রায়কে ঘিরে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকেল চারটার দিকে কদমতলা মোড় থেকে কয়েক হাজার মানুষের মিছিল বের হয়। মিছিলটি সাতক্ষীরা শহরের দিকে প্রবেশের চেষ্টাকালে সিটি কলেজ এলাকায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্র্মীদের ছোড়া গুলিতে নিহত হন মাহমুদুল হাসান।
সাতক্ষীরা জজ কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাড. আব্দুস সামাদ জানান, মাহমুদুল হাসানকে হত্যার অভিযোগে তিন পুলিশ কর্মকর্তা, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবু আহম্মেদসহ ৪৪ জনের নামে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিচারক মামলাটিকে এফআইআর হিসেবে গণ্য করার জন্য সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।