সম্প্রতি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ক্রাইম বার্তায় প্রকাশিত একটা রিপোর্ট আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে। সেখানে আমাকে বিভিন্ন সমিতির কমিশনের টাকা অত্মসাৎ সহ বিভিন্ন অনিয়ম দূর্ণীতি ব্যাপারে অভিযুক্ত করা হয়েছে। মুলত আমি এই সমস্ত কোনো কাজের সাথে কখনই জড়িত ছিলাম না। আমার অধীনে থাকা সকল সমিতির ম্যানেজারগণ কিম্বা অন্য কেও আমার নিকট কোনো টাকা পয়সা পাবেন না। এবং আমি কেনো প্রকান দুর্ণীতির সাথে জড়িত নই। কোনো একটি স্বার্থন্বেষী মহল আমাকে হেয় করার জন্য সংবাদ সংগ্রাহককে ভুল তথ্য সরবরাহ করার কারণে এমনটি হয়ে থাকতে পারে। আমি এই সংবাদের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
লিটন কুমার ঘোষ
উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার
তালা, সাতক্ষীরা।
——_—-/———–/-/———–
কামরুজ্জামান মিঠু, তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধিঃতালা উপজেলায় বিঅরডিবি কর্মকর্তা লিটন কুমার ঘোষের বিরুদ্ধে অর্থ অতœসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে তালা উপজেলা বি.আর.ডি.বি. কর্মকর্তা অতিরিক্ত দায়িত্ব লিটন কুমার ঘোষ কর্তৃক মহিলা সমবায় সমিতির কমিশনের ৮ লক্ষাধিক টাকা আতœসাতের বিচার চেয়ে ৪৩ টি গ্রামের সমিতির সম্পাদিকা তালা প্রেস ক্লাবে এসে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন। এবং পরে তাদের দাবীর স্বপক্ষে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে তারা সকলেই বিআরডিবি অফিস ঘেরাও করে।
উপস্থিত সাাংবাদিকগণ অভিযোগের সত্যতা যাচাই করার জন্য বিআরডিবি অফিসে গেলে বিআরডিবির সাতক্ষীরা জেলা কর্মকর্তা জনাব আবু আফজাল মোঃ সালেহ এর উপস্থিতিতে কর্মকর্তা লিটন কুমার ঘোষ ও সমিতির সভাপতি মোঃ জাকির হোসেন এর কাছে মহিলাদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রথমে অস্বীকার করেন। পরে মহিলাদের সম্মিলিত দাবী ও অর্থ আতœসাতের প্রমাণ উপস্থাপন করলে তিনি ও সভাপতি অকপটে সমুদয় অর্থ আতœসাতের কথা স্বীকার করেন। ক্ষতিগ্রস্থদের তাৎক্ষনিকভাবে আতœসাৎকৃত অর্থ ফেরৎ চান এবং না দিলে জেলা কর্মকর্তা সহ অফিসের সকল কর্মকর্তাকে অফিসে অবরুদ্ধ করে রাখা হবে বলে ঘোষনা দেন।
মহিলা সমিতির সাথে ট্রেনিং সিভিডিপি সহ অন্যান্য প্রকল্পের অর্থ আতœসাতের কথাও দূর্ণীতিবাজ কর্মকর্তা লিটন কুমার ঘোষ স্বীকার করেন এবং আগামী ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে আতœসাৎকৃত সকল অর্থ ফেরৎ দিবেন মর্মে নিজ ব্যাংক হিসাবের একখানা চেক প্রদান করেন। ৫ আগষ্টের পূর্বে আওয়ামীলীগ সরকারের জনৈক মন্ত্রীর সাথে তার সম্পর্ক আছে এই কথা বলে বিআরডিবি অফিসে ত্রাসের রাজ্য কায়েম করেছিলো। অফিসকে দূর্ণীতির আখড়া বানিয়ে ফেলেছিল। অফিস পিয়ন আব্দুল গফুরের কাছ থেকে গ্রাচুইটির কয়েক লক্ষ টাকা অত্বসাৎ করেছেন।
ভুক্তভোগী সমিতির সদস্যরা সংবাদ পেয়ে তালা উপজেলা বিআরডিবি কার্যালয়ে আসছেন এই খবর পেয়ে অনাকাংখিত পরিস্থিতি এড়াতে লিটন কুমার দাশ সটকে পড়ার চেষ্টা করেও ব্যার্থ হয়। ভুক্তভোগীরা গরীব জনসাধারণের অর্থ ফেরৎ প্রদান পূর্বক উক্ত দূণীতিবাজ কর্মকর্তা লিটন কুমার ঘোষ ও সভাপতি মোঃ জাকির হোসেন কে দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।