এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি(সাতক্ষীরা)।।আশাশুনি সদরের দয়ারঘাটে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৪নং পোল্ডারে খোলপেটুয়া নদীর ভাঙ্গন কবলিত বেড়ী বাঁধ এর নির্মানকাজ পুনরায় শুরুর লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দয়ারঘাট বাজারে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সাথে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাবৃন্দের সাথে উক্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জাইকার অর্থায়নে বাঁধের ১২৭০ মিটার পুনঃ নির্মান কাজ ২১ কোটি ৯২ লক্ষ ৯০ হাজার ১৫০ টাকা বরাদ্দে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এনটি-এমএলটি-জেভি কাজটি পেয়েছে। ডিজাস্টার রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ইনহ্যাসমেন্ট প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রাম বিজকল লিঃ কাজটি বাস্তবায়ন করছে। গত ১৫/১/২৩ তারিখ কাজ শুরু করা হয় এবং ৩১/৫/২৪ তারিখের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা ছিল। মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেলেও কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। কাজের অগ্রগতি হতাশাজনক। কাজের জন্য ব্লক তৈরীর কাজও অর্ধেক হয়নি। ব্লকের কাজে অনিয়ম, মালামাল পরিবহনকালে সড়ক ক্ষতিগ্রস্থ করা এবং শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ না করা, দুর্ব্যবহারসহ বিভিন্ন অভিযোগে স্থানীয়রা কাজ বন্ধ করে দেন। ফলে অভিযোগ শ্রবণ, অনিয়মের প্রতিকার ও কাজ পুনরায় শুরু করার লক্ষ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড এর কর্মকর্তাবৃন্দ বিষয়টি নিয়ে মতবিনিময় করতে বুধবার (৫ সেপ্টেম্বর) আশাশুনিতে গমন করেন। মতবিনিময় কালে বক্তব্য রাখেন, নির্বাহী প্রকৌশলী পাউবো-২ মনিরুল ইসলাম, উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী রাশিদুল ইসলাম, জাইকার কনসাল্ট্যান্ট প্রকৌশলী মইনুল ইসলাম, প্রজেক্ট ইঞ্জিঃ রাশেদ ইসলাম, উপজেলা জামায়াতের আমীর আবু মুছা তারিকুজ্জামান তুষার, যুবদলের আহবায়ক শরিফুল আহসান টোকন,সদস্য সচিব আবু জাহিদ সোহাগ, সাদিক আনোয়ার ছোট, যুগ্ম আহবায়ক হাফিজুল ইসলাম,রবিউল ইসলাম রুমি প্রমুখ। বক্তাগন কাজের নানা অনিয়ম, সড়কের ক্ষয়ক্ষতি, শ্রমিকদের পাওনা টাকা না দেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরে এর প্রতিকারের দাবী জানিয়ে দ্রুত কাজ শুরুর কথা উত্থাপন করেন। এসময় পাউবো কর্মকর্তাবৃন্দ প্রশ্নের জবাবে জানান, দেড় বছর আগে কাজ শুরু করা হলেও ধারা ব্যাহত হয়েছে, ব্লক নির্মানে পাথর গ্রেডেশান ঠিক ছিলনা। ৯৮ হাজার ১ শত ৯৩ টি ব্লক তৈরির কথা থাকলেও ঠিকাদার ৩৪ হাজার ৬৬৪ টি ব্লক এর কাজ করতে পেরেছেন। যার মধ্যে ৬ হাজার ৮৬৫ টি রিজেক্ট করা হয়েছে। নষ্ট ব্লকগুলো পুনরায় করতে হবে এবং নষ্টগুলোর কোন বিল ঠিকাদার পাবেননা। তবে সকল ব্লক কাজে লাগানো হবে। পাওনা টাকার ব্যাপারে প্রকৃত পাওনাদারের তালিকা, কিজন্য টাকা পাবে ও টাকার অংক তৈরি করে তাদের কাছে দেওয়ার জন্য জামায়াতের আমীরকে বিনয়ের সাথে দায়িত্ব অর্পন করে তিনি বলেন, ঠিকাদারের সাথে কথা বলে পাওনা টাকা আদায়ের ববস্থা করা হবে। কোয়ালিটির ব্যাপারে কোন ছাড় দেওয়া হবেনা। ছোট রাস্তায় ট্রাক না ঢুকলে অন্য ব্যবস্থায় মালামাল পরিবহন করতে হবে। রাস্তা নষ্ট হওয়ায় ঠিকাদার ঠিক করে দেওয়ার কথা বলে থাকলে তার সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে কর্মকর্তাবৃন্দ জানান। নিয়ম মেনে কাজ শুরু করা হবে ওয়াদা করে কারা সকলের সহযোগিতা কামনা করেন
Check Also
আশাশুনি সদর ইউনিয়ন জামায়াতের ৮টি ওয়ার্ডে আংশিক কমিটি গঠন
এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি প্রতিনিধি।।বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আশাশুনি সদর ইউনিয়নের ৮টি ওয়ার্ডে আংশিক কমিটি গঠন করা …