দেশের ৫৯ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ তুলে সচিবালয়ে উপসচিব পর্যায়ের একদল বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তা হট্টগোল করেছেন।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব কেএম আলী আযমের কক্ষে হট্টগোল করেন বিক্ষুব্ধ উপসচিবরা।
জানা গেছে, সোমবার (০৯ সেপ্টেম্বর) দেশের ২৫ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দেওয়া হয়। আজ মঙ্গলবার আরও ৩৪ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দেওয়া হয়। তালিকায় নিজেদের নাম না দেখে হতাশ হন একদল উপসচিব।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় পদোন্নতিবঞ্চিত ছিলেন এসব কর্মকর্তা। অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রতি তাদের উপসচিব পদে পদোন্নতি দিয়েছেন। ডিসি হওয়ার জন্য তাদের প্রত্যাশা ছিল।
মঙ্গলবার দেশের ৩৪ জেলায় জেলা প্রশাসক (ডিসি) প্রত্যাহার করা হয় এবং সে সঙ্গে নতুন করে প্রত্যাহার করা ডিসিদের জায়গায় ৩৪ জনকে পদায়নও করা হয়েছে।
এর আগে গতকাল সোমবার (০৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকা, সিলেট, বগুড়া, গোপালগঞ্জসহ দেশের ২৫ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন শাখা থেকে এক প্রজ্ঞাপনে এ পদায়নের কথা জানানো হয়।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ২০ আগস্ট এসব জেলার ডিসিদের প্রত্যাহার করে তাদের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে বদলি করা হয়। তার কয়েক দিনের মধ্যে মোট ৫৯ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ দিল সরকার।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব তানভীর আহমেদকে ঢাকার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট করা হয়েছে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সংযুক্ত মোহাম্মদ কামরুল হাসান মোল্যাকে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট করা হয়েছে।
এ ছাড়া জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হোসনা আফরোজা হয়েছেন বগুড়ার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট; আর গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পেয়েছেন ঢাকা হজ অফিসের পরিচালক মুহম্মদ কামরুজ্জামান।
উল্লেখ্য, প্রবল গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। ৮ আগস্ট অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যাত্রা শুরু করে। এরপর প্রশাসন থেকে শুরু করে শিক্ষা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, পুলিশ, আইন-আদালতসহ বিভিন্ন জায়গায় বড় পরিবর্তনে হাত দেয় অন্তর্বর্তী সরকার।