টানা বৃষ্টিপাত ও পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে আসা পানিতে সাতক্ষীরার বেতনা, কপোতাক্ষ, মরিচ্চাপ ও শালিখা নদীর অববাহিতায় গ্রামের পর গ্রাম পানিতে ডুবে রয়েছে। এসব নদ-নদীর পানি নিষ্কাশনের সক্ষমতা না থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি বিনেরপোতা এলাকায় বেতনা নদীর বাঁধ ভেঙে তলিয়ে যায় অন্তত ৫০টি গ্রাম। ভেসে যায় অসংখ্য মাছের ঘের ও পুকুর। সূত্রমতে বেতনা নদীর বাঁধ ভেঙে ক্ষতি হয়েছে ২হাজার ৬৩৩ কোটি টাকার সম্পদ। এতে প্লাবিত হয়েছে অন্তত ৫০টি গ্রাম। পানিবন্ধি হয়ে পড়েন লক্ষাধিক মানুষ। ভেসে গেছে ছয় হাজার মৎস্যঘের ও দেড় হাজার পুকুর। একই সাথে তলিয়ে গেছে শতশত বিঘা আমন ধানের ক্ষেত। পাশাপাশি সাতক্ষীরার বেতনা নদীর বাঁধ ভেঙে ও অতিবৃষ্টিতে কমবেশি ৭০ থেকে ৮০টি গ্রাম প্লাবিত হয়। বিধ্বস্ত হয়েছে কয়েকটি কাঁচা ঘর। জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, সদর উপজেলার বিনেরপোতা এলাকার শ্মশানঘাটের পাশের বেতনা নদীর পাউবোবাঁধ গত রোববার সন্ধ্যায় ভেঙে গিয়ে লোকালয়ে পানি ঢুকতে থাকে। ভেঙে যাওয়া বাঁধ দিয়ে আহসাননগর, হরিণখোলা, গোয়ালপোতা, গাছা, দক্ষিণ নগরঘাটা, হাজরাতলা, পালপাড়া, গাবতলা, দোলুয়া, নগরঘাটা, রথখোলা, কাপাসডাঙ্গা, বিনেরপোতা, খেজুরডাঙ্গা, গোপীনাথপুর, তালতলা, নিমতলাসহ কমপক্ষে ৫০থেকে ৬০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া সাতক্ষীরা সদর উপজেলার পুরোনো সাতক্ষীরা এলাকার ঘুড্ডিরডাঙ্গী, রামচন্দ্রপুর, লবণগোলা, পাথরঘাটা, দামারপোতা, জিয়ালা, ধুলিহর, বালুইগাছা, ফিংড়ি, ফয়জুল্লাহপুর, দরবাস্তিয়া, কোমরপুর, তেঁতুলডাঙ্গী, মাছখোলা, শ্যালেসহ ৩০টি গ্রাম ও পৌর এলাকার অর্ধেক এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে কমপক্ষে ২০-২৫ হাজার পরিবার পানিবন্ধি হয়ে পড়ে। ওই এলাকাসহ সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকার মাছ ও কাঁকড়ার ঘের তলিয়ে যায়। তলিয়ে গেছে পুকুর ও আমন ধানের ক্ষেত। সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য বিভাগের উপ-পরিচালক আনিসুর রহমান জানান, ৪ হাজার ৭৮২ হেক্টর আয়তনের ৫ হাজার ৭২১টি মাছের ঘের ও ৭৯৭ হেক্টর আয়তনের ১হাজার ৮২৩টি পুকুর-দিঘি তলিয়ে একাকার হয়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে ঘের ও পুকুরের মাছ, স্লুইসগেটসহ সব মিলিয়ে ক্ষতির পরিমাণ ২হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তালার ইসলামকাটি ইউনিয়নে খরাই বিলের ৩০টি মাছের ঘের তলিয়ে যায়। খলিসখালী, দোলুয়া, দক্ষিণ নগরঘাটা, রথখোলা বিলেরও একই অবস্থা।
সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ মাঠসহ আশপাশের রাজারবাগান ও পুরোনো সাতক্ষীরা সড়ক তলিয়ে রয়েছে। তলিয়ে যায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলা চত্ত্বর। সাতক্ষীরা শহরের ইটেগাছ, মধুমল্যারডাঙ্গী, মেহেদীবাগ, রসুলপুর, পলাশপোল, মেঠোপাড়া, কাটিয়া, মিলবাজার, থানাঘাটা, পুরোনো সাতক্ষীরা, রথখোলা, কুকরালি, দোহখোলা, চালতেতলা, বাটকেখালীসহ পৌর এলাকায় পানি উঠেছে। এসব এলাকার ৬০-৭০ হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্ধি হয়ে পড়েছেন। তাঁরা বাইরে বের হতে পারছেন না।
এদিকে তালা উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের ১৭টি গ্রামই পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন ৩ হাজারের অধিক পরিবার। বিপাকে পড়েন দিনমজুর ও নি¤œ আয়ের মানুষেরা।
টানা বর্ষণের ফলে তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের মধ্যে বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিরাশুনী, লাউতাড়া, পাঁচরোখি, শুভাষিনী, মদনপুর, সুমজদিপুর গ্রাম। এছাড়া অন্যান্য গ্রামগুলোতে উঠান পর্যন্ত পানি উঠেছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে উপজেলা সদরের সঙ্গে। কিছু কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ও বিদ্যুতের মিটার ছিঁড়ে পড়েছে।
এদিকে ধারাবাহিক বৃষ্টিতে বেসরকারি হিসেব অনুযায়ী প্রায় ১ হাজার মৎস্য ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে। সুপেয় পানির অভাব দেখা দিয়েছে ইউনিয়ন জুড়ে। এলাকাজুড়ে পানি থাকায় স্যানেটারি ব্যবস্থায় পড়েছে বিরূপ প্রভাব। এছাড়াও বেড়ে গেছে চর্ম, ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত নানা রোগ।
এদিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার গোপীনাথপুর এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে হাজার হাজার মানুষ পানিবন্ধি হয়ে পড়েছেন। সীমাহীন ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন স্থানীয় লোকজন।
পাউবো বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, বেতনা নদীর অনেক স্থানে পলি জমে ভরাট হয়ে গেছে। ফলে পানিনিষ্কাশন হচ্ছে না। তবে যেসব স্থানে পলি জমেছে, সেসব স্থানে এ সপ্তাহে খনন করে পানি সরানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।
গোপীনাথপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, যেদিকে চোখ যায় শুধু পানি আর পানি। পানির মধ্যে যেন বাড়িগুলো জেগে আছে, তবে বাড়িগুলোতে তেমন মানুষ চোখে পড়েনি। সড়কের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। হাঁটুসমান পানি মাড়িয়ে লোকজনকে চলাচল করতে হচ্ছে। কেউ কেউ আবার ভেলায় করে যাতায়াত করছেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সাতক্ষীরার তালার ইসলামকাটি, খলিশখালি দোদুয়া, শ্রীমন্তকাটি, দক্ষিণ নগরঘাটা, আহসাননগর, হরিণখোলা গোলাপোতা, গাছা, হাজরাতলা, পালপাড়া, গাবতলা, তলুয়া, রথখোলা, কাপাসডাঙ্গা, বিনেরপোতা, খেজুরডাঙ্গা, গোপীনাথপুর, তালতলা, মেটেরডাঙ্গা, ঘুটেরডাঙ্গি, রামচন্দনপুর, লবণখোলা, পাথরঘাটা, দামারপোতা, জিয়ালা, মাছখোলা, ধুলিহর, শ্যালে, দামারপোতা, বালুইগাছ, ফিংড়ি, ফয়জুল্লাহপুর, দরবেসতিয়া, কোমরপুর, তেঁতুলডাঙ্গি, মেঠোপাড়াসহ ৫০গ্রামে প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া সাতক্ষীরা পৌরসভা এলাকার ইটাগাছা, কুকরালি, মেহেদিবাগ, খানপুর, পলাশপোল, রসুলপুল, রথখোলা, রাজারবাগান, বদ্দিপুর কলোনি, সুদরডাঙ্গিসহ ২৫টি গ্রাম প্লাবিত অবস্থায় আছে। এসব এলাকার অর্ধলক্ষাধিক মানুষ পানিবন্ধি হয়ে পড়ে।
সাতক্ষীরা শহরের ইটেগাছা এলাকার বাসিন্দা ও জেলা নাগরিক কমিটির যুগ্ম সদস্যসচিব আলী নূর খান বলেন, তাঁর বাড়িতে যাতায়াত করতে হচ্ছে হাঁটুসমান পানি মাড়িয়ে। ড্রেনেজব্যবস্থা না থাকায় এবং যেখানে–সেখানে ঘের দিয়ে মাছ চাষ করায় পৌর এলাকার তিন ভাগের এক ভাগে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এতে মানুষ চরম কষ্টের মধ্যে বসবাস করছেন।
এদিকে পানি উঠে বসবাসের অনুপোযোগী হয়ে গেছে বসতঘর। সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলা কাদাকাটি ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডে পানি উঠে বসবাসের অনুপোযোগী হয়ে গেছে বসতঘর। চারদিকে পানি আর পানি। বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, পুকুর, মাছের ঘের, ফসলের ক্ষেত-সবই পানিতে তলিয়ে রয়েছে। এক মাস ধরে এমন অবস্থার মধ্যে দিন পার করছেন সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি ইউনিয়নের ৩হাজার পরিবারের ১০হাজারের বেশি মানুষ।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, কয়েক দফায় প্রবল বৃষ্টির পানি নিষ্কাশিত না হওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ইউনিয়নের প্রধান সড়কগুলোতেও তিন-চার ফুট পানি উঠেছে। বসবাসের উপযোগী না থাকায় বাড়ি ছেড়েছে অনেক পরিবার। খাবারের অভাবে গবাদিপশু মারা যাচ্ছে। পানিতে তলিয়ে যাওয়া চারটি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখা হয়েছে। কেউ কেউ আবার আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে চলে গেছেন। ৫০-৬০টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে কাদাকাটি দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্রে ও কাদাকাটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
পূর্ব কাদাকাটি গ্রামের রমজান আলী বলেন, সাতক্ষীরা সদর ও তালা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার পানি তাঁদের এই ইউনিয়নে ওপর দিয়ে বেতনা নদীতে গিয়ে পড়ে। কিন্তু স্থানীয় খালগুলো ভরাট হওয়ার পাশাপাশি নেট-পাটা দেওয়ায় ও বেতনা নদীর খননকাজ শেষ না হওয়ায় পানি নিষ্কাশিত হচ্ছে না।
কাদাকাটি ইউপি চেয়ারম্যান দীপঙ্কর কুমার সরকার বলেন, কামারখালী খাল, মোকামখালী খাল ও জানাইখালী খাল ভরাট হওয়ার পাশাপাশি নেট-পাটা দেওয়ার কারণে পানিনিষ্কাশন হতে পারছে না। এ ছাড়া মোকামখালী স্লুইসগেটটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় পানি সরতে পারছে না। আবার জামাইখালী স্লুইসগেটটির মুখে খাল খননের সময় মাটি ফেলে বন্ধ করে ফেলা হয়েছে। ফলে পানি স্বাভাবিক নিয়মে নিষ্কাশন হতে না পেরে দীর্ঘ এলাকা জলাবন্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান আরও জানান, ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের ২৪টি গ্রামের সব কটি পানিতে তলিয়ে গেছে। তবে ১৫-১৬ গ্রামে হাজার দশেক মানুষের দুর্ভোগ বেশি।
জনস্বাস্থ্য অধিপ্তরের আশাশুনি উপজেলা প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, খাওয়ার পানির সংকট মেটাতে তাঁরা কয়েক দিন ধরে দৈনিক তিন হাজার লিটার পানি সরবরাহ করছেন। গত শুক্রবার থেকে তাঁরা পাঁচ হাজার লিটার করে খাওয়ার পানি সরবরাহ করছেন।
এদিকে কাদাকাটি ইউনিয়নে ১১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় সব কয়টিতে কমবেশি পানি উঠেছে বলে জানিয়েছেন আশাশুনি উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি আরও জানান, এর মধ্যে চারটি বাধ্য হয়ে বন্ধ রাখতে হচ্ছে।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বিভাগ-২) উপসহকারী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম বলেন, মোকামখালী এলাকায় ২৫ মিটারের মধ্যে দুটি স্লুইসগেট মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ইতিমধ্যে একটি মেরামত করে খুলে দেওয়ায় পানিনিষ্কাশিত হচ্ছে। অন্যটি বৃষ্টির আগে ভেঙে ফেলা হয়। কিন্তু বৃষ্টি হওয়ায় তা আর মেরামত করা যাচ্ছে না।
আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণা রায় বলেন, সাতক্ষীরা সদর ও তালার পানি এই এলাকা দিয়ে নামছে। যেসব স্লুইসগেট আছে, সব খুলে দেওয়া হয়েছে। তারপরও পানি কমছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বলা হয়েছে, যেকোনোভাবে পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে চার-পাঁচ দিন ধরে শুকনা খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে।
এদিকে সাতক্ষীরায় শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আঙিনায় পানি উঠে গেছে। পানিতে থৈ থৈ করছে জেলার সাত উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে মাছখোলা হাইস্কুল, সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলস হাইস্কুল, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। এছাড়া আশাশুনির প্রতাপনগর ফাজিল মাদ্রাসা, প্রতাপনগর ইউনাইটেড একাডেমি ও কল্যাণপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কুড়িকাহুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুড়িকাহুনিয়া মহিলা মাদ্রাসা, প্রতাপনগর মহিলা মাদ্রাসা, কল্যাণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, প্রতাপনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান পানিতে ডুবে গেছে বলে জানান স্থানীয়রা। তারা আরও জানান, স্থানীয় প্রতাপনগর তালতলা জামে মসজিদ, কুড়িকাহুনিয়া পাঞ্জেগানা মসজিদ ও উপজেলাগামী প্রধান সড়ক এবং গড়ইমহল খালের কাঠালতলা রাস্তাটি পানিতে নিমজ্জিত। এতে করে কুড়িকাহুনিয়া, শ্রীপুর, দৃষ্টিনন্দন, গোয়ালকাটি, সনাতনকাটি, গোকুলনগর, নাকনাসহ সাত গ্রামের মানুষ নৌকায় যাতায়াত করছেন। এলাকার কবরস্থানগুলোর উপরে কোমর সমান পানি। কালিগঞ্জ, আশাশুনি, দেবহাটা, তালা ও কলারোয়ার নি¤œাঞ্চলের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও পানি উঠে গেছে।
এদিকে, সম্প্রতি ভারী বর্ষণে তলিয়ে গেছে সাতক্ষীরা জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতা দীর্ঘস্থায়ী রূপ নিয়েছে। হাজার হাজার হেক্টর মৎস্য ঘের একাকার হয়ে গেছে। এতে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতিতে পড়েছেন মৎস্য চাষিরা। গত সোমবার বিকাল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (ডুজা) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব জানিয়ে এ সংকটের স্থায়ী সমাধানের দাবি জানিয়েছেন জেলাটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ওই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দর্শন বিভাগের মো. মিকাইল ইসলাম, কারুশিল্প বিভাগের তন্ময় মন্ডল, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শেখ শাকিল হোসেন এবং চীনা ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগের বিভাগের সাকিব হোসেন।
Check Also
যশোর বেনাপোল দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় কলারোয়ার আ’লীগ কাউন্সিলর গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিনিধি :- সাতক্ষীরা: যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভার …