মোমিনুর রহমান প্রতিনিধি শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের কালিঞ্চি ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে স্মার্ট কার্ড বিতরণকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে স্মার্ট কার্ড বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে প্রথমে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নির্বাচন অফিস থেকে কার্ড বিতরণ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়।
এরপর স্থানীয় সাধারণ মানুষ অনিয়মের বিষয়টি জামায়াত নেতাদের জানালে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে আসেন। এ সময় আওয়ামী লীগের মেম্বার আব্দুল হামিদ লাল্টু (পিতা: মৃত মান্দার আলী গাজী) ও আলী আজগর বুলু (পিতা: মৃত জিয়াদ আলী গাজী) এর নেতৃত্বে জামায়াত কর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা রড, রাম-দা ও হকিস্টিক দিয়ে মারাত্মক আঘাত করে।
এ ঘটনায় জামায়াতের ৫ জন কর্মী গুরুতর আহত হন। আহতদের মধ্যে রয়েছেন: ১. আব্দুর রহমান (২২), পিতা: আব্দুর রউফ ২. নূর আহাদ (৫০), পিতা: মৃত হামিজ উদ্দীন (তার অবস্থা আশঙ্কাজনক) ৩. আব্দুল খালেক (৪৮), পিতা: মৃত কাশেম গাজী ৪. আব্দুস সবুর (৩৮), পিতা: মৃত সাহামত আলী গাজী ৫. মুনসুর আলী গাজী (৫৩), পিতা: মৃত নহর আলী গাজী
জামায়াতের ইউনিয়ন আমীর গাজী নজরুল ইসলাম বলেন, “আওয়ামী লীগের মেম্বার লাল্টু ও বুলু দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে ডাবল মার্ডারের মামলা থাকলেও তারা এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে। আমরা এই হামলার তীব্র নিন্দা জানাই এবং প্রশাসনের কাছে তাদের গ্রেফতার ও কঠোর শাস্তি দাবি করছি।”
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ মিলন হোসেন জানান, আহতদের মধ্যে নূর আহাদসহ দুজনের অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক।
উল্লেখ্য, লাল্টু ও বুলু উভয়েই ডাবল মার্ডার মামলার আসামি। শ্যামনগর থানার ওসি তদন্ত ফকির তাজুল ইসলাম জানান, “আমরা ঘটনার বিষয়ে অবগত হয়েছি। আহতদের চিকিৎসা চলছে, এবং তদন্তের পাশাপাশি মামলার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।”