সূত্র ঃ তারিখ ঃ ২০-১০-২০২৪ ইং
বরাবর
জেলা প্রশাসক
সাতক্ষীরা।
বিষয় ঃ বিধিবহির্ভূত এডহক কমিটি বাতিল প্রসঙ্গে।
জনাব,
যথা বিহিত সম্মান প্রদর্শণ পূর্বক নিম্মস্বাক্ষরকারী শিক্ষকবৃন্দের আবেদন এই যে, আমরা এ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান কলেজের শিক্ষকমন্ডলি দীর্ঘদিন শিক্ষকতা জীবনে বিভিন্নভাবে হয়রানী ও প্রাতিষ্ঠানিক অনিয়মের স্বীকার হইয়াছি যাহা কাম্য নয়। আমাদের কলেজ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হওয়ায় এবং বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়, ঢাকা কর্তৃক জারিকৃত স্মারক নং ০৫.৪১.৩০০০.০২১.৯৯.০০২.২৪-৮৫ তাং-২৭-০৮-২০২৪ পত্রের নির্দেশনা অনুযায়ী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বেসরকারি কলেজ/শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের গভর্নিং বডি বাতিল করা হয়। প্রজ্ঞাপনের নির্দেশনা অনুযায়ী গত ১৮-০৯-২০২৪ ইং তারিখে আমাদের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) সকল শিক্ষকমন্ডলির সাথে পরামর্শ করে, যথাযথ নিয়মানুযায়ী ও বিধিমোতাবেক জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বরাবর বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত ফরম পূরণপূর্বক এডহক কমিটি গঠনের লক্ষ্যে সভাপতি ও বিদ্যোৎসাহী সদস্য মনোনয়নের জন্য প্রস্তাবনা প্রেরণ করেন। কিন্তু গত ২৫-০৯-২০২৪ ইং তারিখে আমরা জানিতে পারিলাম, কে বা কারা বিধিবহির্ভুতভাবে এবং অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) এর স্বাক্ষরবিহীন এডহক কমিটির প্রস্তবনা প্রেরণপূর্বক মোঃ সিরাজুল ইসলামকে সভাপতি করে কমিটি চূড়ান্ত করিয়াছেন, যাহা আমাদের বিস্মিত করেছে। উল্লেখ্য গত ২০০৭ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত কলেজের সভাপতি থাকা কালে মোঃ সিরাজুল ইসলাম কলেজের সংরক্ষিত তহবিল (এফডিআর) এর ১,০০,০০০/= (এক লক্ষ) টাকা আত্মসাৎ করেন যে কারণে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা হয়, যার মামলা নং-২৭৯/২০২১ যা পিবিআই কর্তৃক তদন্ত পূর্বক প্রাথমিক ভাবে দোষী প্রমানিত হওয়ায় আদালতে চার্জশীট প্রদান করেন এবং বর্তমানে মামলা চলমান। গত ০৭/১০/২০২৪ ইং তারিখে তিনি কলেজের অধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে হঠাৎ ২০/২৫ জন অচেনা ব্যক্তি বর্গের সাথে নিয়ে অধ্যক্ষের কক্ষে তালা লাগিয়ে দেন এবং শিক্ষক মিলনায়তনে যেয়ে শিক্ষকের জোর পূর্বক সাদা কাগজে স্বাক্ষর করান। অদ্য ২০/১০/২০২৪ ইং তারিখে তিনি পূর্ব ঘোষণা ব্যতিত হঠাৎ কলেজে যেয়ে শিক্ষকদের সাথে পরামর্শ ব্যতীত, উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃর্তৃক নিয়োগকৃত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুল মজিদ (সহকারী অধ্যাপক, ইংরেজি) এর স্থলে অবৈধ্যভাবে ২০ নং ক্রমিকধারী প্রভাষক জনাব সুরাইয়া সুলতানাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসাবে ঘোষনা করেন। এ অবস্থায় শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে শিক্ষকবৃন্দের প্রতিবাদের মুখে তিনি কলেজ ত্যাগ করেন। এমতাবস্থায় কলেজের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা এবং শান্তিপূর্ণ শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে বিধিবহির্ভুতভাবে গঠিত এডহক কমিটি বাতিলের নির্দেশনা প্রদান ও সুপারিশের জন্য আপনার সহযোগীতা কামনা করিতেছি।
অতএব, মহোদয়ের নিকট আমাদের আবেদন যাহাতে বিধিবহির্ভূতভাবে এ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান কলেজের এডহক কমিটি বাতিলকরণ ও কলেজের শান্তিপূর্ণ শিক্ষা পরিবেশ বজায় রাখার জন্য আপনার হস্তক্ষেপ ও সুদৃষ্টি কামনা করিতেছি।