ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে মুখোশ পরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে করা মিছিলের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। এছাড়া ১৭ জুলাই ‘ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস প্রতিরোধ দিবস’ ঘোষণার দাবি জানিয়েছে তারা।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক হোসাইন আহমাদ জুবায়েরের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবাদ ও দাবি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার ভোরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে ছাত্রলীগের আনুমানিক ১০ জন ক্যাডার মুখে মাস্ক ও মাথায় ক্যাপ পরে মিছিল বের করে। ফাঁকা ক্যাম্পাসে মুখ লুকিয়ে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ ছাত্রলীগের মিছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার জন্য চরম হুমকি। বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নিরাপত্তা জোরদার করার দাবি জানিয়ে বলা হয়, বিগত ১৬ বছর ধরে খুন, জুলুম, নির্যাতন, নিপীড়ন এবং জুলাই গণহত্যার মধ্য দিয়ে ছাত্রলীগ দেশ ও মানবতার চরম শত্রু হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের হাতে রক্তাক্ত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী। তাই ১৭ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ক্যাম্পাসকে ছাত্রলীগ মুক্ত করে। ক্যাম্পাসে এই সন্ত্রাসী সংগঠনের বিচ্ছিন্ন মহড়া ছাত্র-জনতার নিরাপত্তার জন্য হুমকি স্বরূপ। এমতাবস্থায় বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবির বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে দুইটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের দাবি জানায় ঢাবি ছাত্রশিবির। দাবিগুলো হলো-
ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস, নৈরাজ্য সৃষ্টি, বিগত ১৬ বছরের নিপীড়ন-সন্ত্রাস, ছাত্রদের মৌলিক ও মানবাধিকার হরণ এবং জুলাই গণহত্যার দায়ে সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আইন করে নিষিদ্ধ করতে হবে।
ঢাবি ক্যাম্পাস থেকে ১৭ জুলাই সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ মুক্তকরণ এবং যৌথবাহিনীর নৃশংস হামলার ভয়াবহতা স্মরণ করে ‘১৭ জুলাই’-কে ‘ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস প্রতিরোধ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে।