উপকূলীয় অঞ্চল (শ্যামনগর): পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জ থেকে অনুমতি নিয়ে বঙ্গোপসাগরের দুবলার চরে রাস মেলায় গেছেন পূণ্যার্থীরা। সকাল থেকে বুড়িগোয়ালীনি ও কোবাদক ফরেস্ট স্টেশন থেকে এই অনুমতি দেয়া হয়। দুপুর পর্যন্ত ৪০১ জন পূণ্যার্থী দুবলায় গমন করেন।
সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারি বন সংরক্ষক এজেডএ হাসানুজ্জামান জানান, ১৫ ও ১৬ তারিখ দুবলার চরে রাসমেলায় অংশ নিতে পূণ্যার্থীরা যাচ্ছেন। ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে বন বিভাগের টহল রয়েছে। এসব পূণ্যার্থীরা আজ প্রবেশ করবেন ও আগামী ১৬ নভেম্বর ফিরে আসবেন।
১৪ নভেম্বর সকাল থেকে বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে পূণ্যার্থী বহনকারী ট্রলারে কোনো প্রকার অবৈধ মালামাল আছে কি না সেখানে অভিযান পরিচালনাসহ সনাতন ধর্মাবলম্বীগণদের আইডিকার্ড যাচাই, বাছায় করে পাস পারমিট দেওয়া হয়েছে।
তবে তিনজন মুসলিম ধর্মাবলম্বীকে সনাক্ত করে তাদেরকে ট্রলার হতে নামিয়ে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান। এবিষয়ে জিয়াউর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন শুধুমাত্র সনাতন ধর্মাবলম্বী ছাড়া মুসলিম ধর্মবলম্বীদের কোনো ভাবেই রাস পূজায় যাওয়ার সুযোগ নাই।
সাতক্ষীরা রেঞ্জের বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট স্টেশনের বনবিভাগের সদস্যগণ তল্লাশি চালিয়ে যাদেরকে শনাক্ত করেছেন তারা হলেন, সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার মৃত রাজাউল্লা সরদারের ছেলে মোঃ জিল্লুর রহমান(৪৪), সাতক্ষীরা সদরের মৃত জাহাঙ্গীর কবিরের ছেলে কাজী ইসমাইল হোসেন(২৬) সাতক্ষীরা কুকরালী গ্রামের মৃত শেখ আনোয়ার হোসেনের ছেলে শেখ আতিকুর রহমান(২৭)।