দক্ষিণবঙ্গ সাতক্ষীরার আধুনিক নিরাপদ ও পরিবেশ বান্ধব বাণিজ্যিককেন্দ্র ভোমরা স্থল বন্দর। আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনে ভোমরা বন্দরের গুরুত্ব অপরিসীম। আমদানি বাণিজ্য সম্প্রসারণের মধ্য দিয়ে গতিশীল হচ্ছে এ বন্দরের রাজস্ব প্রবৃদ্ধি। ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টিতে ফিরে আসছে আমদানি রপ্তানি প্রাণচাঞ্চল্য। অধিক রাজস্ব প্রাপ্তির প্রত্যাশা রয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের। কাক্সিক্ষত প্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্যে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে ভোমরা বন্দরে ১ হাজার ৯ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বেঁধে দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা পূরণের সফলতা আসছে রাজস্ব আহরণে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই মাসে ভারত থেকে ১লক্ষ ৬০ হাজার ৭২৫ মেট্রিক টন বিভিন্ন প্রকার পণ্য আমদানি হয়। আমদানিকৃত পণ্য থেকে সরকার রাজস্ব আহরণ করেছে ৮৬ কোটি ৭০ লাখ ৮৮ হাজার ৬৪৩ টাকা। আগস্ট মাসে ভারত থেকে আমদানি পণ্যের পরিমাণ ১ লখ ২৫ হাজার ৬৮২ মেট্রিক টন। যা থেকে রাজস্ব অর্জিত হয়েছে ৯৩ কোটি ২০ লাখ ৫৮ হাজার ৪০৮ টাকা। সেপ্টেম্বর মাসে ভারত থেকে আমদানি পণ্যের পরিমাণ ১ লাখ ৪৯ হাজার ৫১২ মেট্রিক টন। যা থেকে রাজস্ব অর্জিত হয়েছে ৮৯ কোটি ৮৮ লাখ ৭০ হাজার ৬৮৫ টাকা। একই অর্থবছরের অক্টোবর মাসে আমদানি পণ্যের পরিমাণ ১ লাখ ৪২ হাজার ৫২৬ মেট্রিক টন। যা থেকে রাজস্ব অর্জিত হয়েছে ১২৭ কোটি ৮১ লাখ ৮৭ হাজার ৫১ টাকা। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ৪ মাসে আমদানি পণ্যের মোট পরিমাণ ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৬০৫ মেট্রিক টন। যা থেকে রাজস্ব অর্জিত হয়েছে ৩৯৭ কোটি ৬১ লাখ ৪০ হাজার ৭৮৭ টাকা। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানান, প্রশাসনিক জটিলতা কমে যাওয়ায় আর আমদানিকারকদের নিকট থেকে চাঁদাবাজি বন্ধ হওয়ায় বেড়েছে আমদানি বাণিজ্য। পাশাপাশি অধিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে রাজস্ব আহরণ। ভোমরা কাস্টমস সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু মুছা জানান, ব্যবসায়ীদের জন্য ভোমরা এখন নিরাপদ বাণিজ্যিক বন্দরে পরিণত হয়েছে। দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীরা উৎসবমুখর পরিবেশে ব্যবসা পরিচালনা করছে এ বন্দর দিয়ে। সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবু হাসান জানান, বিগত দিনে চাঁদাবাজি বেড়ে যাওয়ায় এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে আমদানি বাণিজ্যের ওপর। চাঁদাবাজির কালো থাবায় শত শত ব্যবসায়ীরা মুখ ফিরিয়ে নেয় এ বন্দর থেকে। ফলে শ্রমজীবী মানুষের জীবন জীবিকা অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে। অনেকে কর্ম হারিয়ে বন্ধ ছেড়ে অন্য বন্দরে পাড়ি জমায়। এমন দুর্বিষহ অবস্থায় পড়েছিল এ বন্দরটি। বর্তমানে চাঁদাবাজি বন্ধ হওয়ায় পুনরায় ব্যবসায়ীদের ফিরে এসেছে ব্যবসা পরিচালনার মানসিকতা। দেশের অধিকাংশ ব্যবসায়ীরা ভোমরা বন্দরকে ব্যবহার করে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য অব্যাহত রাখছে।
Check Also
সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন এর আয়োজনে বিজয় দিবস পালন ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান
নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় বিজয় দিবস উপলক্ষে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা,পুরুষ্কার বিতারণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। …