ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর আমীর ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নিছক দুই একটা এমপি, মন্ত্রীত্বের জন্যে, সম্মান ও সম্পদের জন্যে রাজনীতি করে না। রাজনীতি করে দেশ, মানবতা ও ইসলামের কল্যাণের জন্য। জনগণরে প্রত্যাশা ছিল ৫৩ বছরে যারা বার বার আমাদেরকে বোকা বানিয়ে ধোকা দিয়ে মাথায় নুন রেখে বরই খাওয়ার প্রবণতা দেখিয়েছে এর পরিবর্তনের মাধ্যমে বাংলাদেশ হবে কল্যাণকর সুন্দর রাষ্ট্র। এই দেশটা হবে বিশ্বের মধ্যে মাথা সম্মানের সাথে উচু করে দাড়িয়ে থাকার রাষ্ট্র। এই জন্যই আমরা রাজনীতির মাঠে রাজনীতি করছি।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) গণ সমাবেশ বিকেলে নগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বরে অনুষ্ঠিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর ও জেলার উদ্যোগে দুর্নীতিবাজদের গ্রেপ্তার ও অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত গণহত্যার বিচার, বন্ধকৃত সকল মিলকারখানা চালু, সংখানুপাতিক (পি আর) পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ইসলামী সমাজ ভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
চরমোনাই পীর বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার তিনবার ক্ষমতায় থেকে দেশ পরিচালনা করেছে। তারা বাংলাদেশের জনগনের ভোটে নির্বাচিত সরকার হয়নি। দিনের ভোট রাতে বাক্সে ভিতরে ঢুকিয়ে ঘোষণা দিয়ে জোর করে ডাকাতের মতো দেশ পরিচালনা করেছে। এই ফ্যাসিস্ট সরকার, খুনি সরকার, টাকা পাচারকারী এবং বিদেশীদের দালার সরকার। ভবিষ্যত প্রজন্ম ইসলামের ব্যাপারে যাতে ভূল ম্যাসেজ পায়, ইসলামের বিরুদ্ধাচারণ করে এই আচরণগুলো শিক্ষা সিলেবাসে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
তিনি বলেন, এদেশে শতকরা ৯২ জন মুসলমান বসবাস করে। বাংলাদেশে ইসলামের সুন্দর ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। বিগত দিনের পরীক্ষিত দুর্নীতিবাজ, খুনি, স্বার্থান্বেষী মহল তাদের আর ক্ষমতায় আমরা দেখতে চাই না। তিনি মানুষকে হাত পাখা প্রতীকের পক্ষে কাজ করার জন্য আহবান জানান।
ছাত্রদের হত্যার প্রসঙ্গ তুলে ধরে চরমোনাই পীর বলেন, আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের মেধাবী সন্তানগুলো ন্যায্য অধিকার আদায়ে রাজপথে নেমেছিল, ঠান্ডা মাথায় গুলি করে পাখির মতো রাস্তায় লুটিয়ে ফেলা হয়েছে। এরা মানুষ নামে পশুর চেয়েও খারাপ।
তিনি আরও বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের একটিও এমপি সংসদে যায়নি। এর অর্থ কি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দূর্বল ? বার বার ওরা আমাদেরকে বোকা পেয়ে ধোকা দিয়ে সিড়ি বানিয়ে ক্ষমতায় যেয়ে টুনটুনাটুন শব্দ ব্যবহার করেছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ওদের বার বার ধোকা, খুন, টাকা পাচারের জন্য সহযোগি শক্তি হতে চাইনি। এ জন্য ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কখনো লেজুড়ভিত্তিক পরগাছা হতে চাইনি। আমরা পরগাছা কেন হবো। এ দেশ আমার, এ দেশ স্বাধীন করেছে ওলামায়েকেরাম। শাহজালাল, শাহপরান, খানজাহান আলীর জন্মভূমি। এদেশে নাস্তিকরা মাথা উচু করবে আর মুসলমান দেবে থাকবে এটা হতে পারে না।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও খুলনা মহানগর সভাপতি হাফেজ মাওলানা আব্দুল আউয়ালের সভাপতিত্বে এবং নগর সহ সভাপতি শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন, নগর সেক্রেটারি মুফতী ইমরান হুসাইন, জেলা সেক্রেটারি হাফেজ আসাদুল্লাহ আল গালীবের যৌথ সঞ্চলনায় গণসমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা শোয়াইব হুসাইন, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মোঃ আমিনুল ইসলাম, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল মুফতী মানসুর আহমেদ সাকী, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় সভাপতি নুরুল বশর আজিজী।
ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব হাফেজ মাওলানা অধ্যক্ষ ইউনুস আহমাদ বলেন, খালিশপুর শিল্পাঞ্চল কারা বিরান ভূমিতে পরিণত করেছে? দেশের টাকা কারা পাচার করেছে? যারা মানুষ হত্যা করেছে তাদের বিচার করতে হবে। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে তাদের বিচার করতে হবে। বিতর্কিত উপদেষ্টাদের প্রত্যাহার করতে হবে।
গণসমাবেশে বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা জেলা সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল্লাহ ইমরান, দারুল উলুম মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মুসতাক আহমেদ, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ খুলনা মহানগর সভাপতি মুফতী গোলামুর রহমান, জেলা সভাপতি মাওলানা শেখ আব্দুল্লাহ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা নগর সহ-সভাপতি মুফতী আমানুল্লাহ, আবু তাহের, জেলা সহ-সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, মাওলানা আসাদুল্লাহ হামিদী, প্রভাষক আবু গালিব, এস এম রেজাউল করিম, মাওলানা দ্বীন ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, মাওলানা সাইফুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুস সাত্তার, মোঃ মঈন উদ্দিন, মাওলানা আশরাফুল ইসলাম, এইচ এম আরিফুর রহমান, মোঃ হুমায়ুন কবীর, মোহা. নাজমুল হুদা, মাওলানা হাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ মহিবুল্লাহ, মাওলানা মাহবুবুল আলম, মোঃ আবুল কাশেম, মাওলানা হারুন অর-রশিদ, মাষ্টার মঈন উদ্দিন ভূইয়া, মাস্টার জাফর সাদেক, এ্যাডভোকেট মোঃ কামাল হোসেন, মোঃ আক্তার হোসেন, মোহা. আলী, আব্দুর রহমান, আমজাদ হোসেন, মুফতি ইলিয়াস হোসেন মাঞ্জুরী, মাওলানা মাসুদুর রহমান, মাওলানা ফজলুল হক ফাহাদ, মাওলানা নাসিম উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা জি, এম কিবরিয়া, মোহাম্মদ রোশন আলী, সরোয়ার হোসেন বন্দ, আবু দাউদ, আব্দুস সালাম, শফিকুল ইসলাম, হাফেজ আঃ লতিফ, মাওলানা ওমর আলী, মোহা. নাজমুস সাকিব, মোল্লা রবিউল ইসলাম তুষাার, মোঃ কবির হোসেন হাওলাদার, আবু রায়হান, মোঃ এনামুল হাসান সাঈদ, মোঃ গাজী মিজানুর রহমান, গাজী ফেরদাউস সুমন, মাওলানা ইলিয়াস হোসেন, মাওলানা আবু সাঈদ, শেখ মারুফ রহমান, মোঃ কামরুল ইসলাম, মোঃ জাহিদুল ইসলাম টুটুল মোড়ল, মোঃ সাইফুর রহমান, মোঃ বাদশাহ খান, মোঃ ইউসুফ আলী, জামিল আহমেদ, মোঃ আশরাফ আলী, কারী আব্দুস সামাদ, হাফেজ কারীমুল ইসলাম, হাফেজ জাহিদুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল মালেক, মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মাসুম, মোঃ তরিকুল ইসলাম কাবির, আলফাত হোসেন লিটন, কাজী তোফায়েল, আব্দুস সালাম, মমিনুল ইসলাম নাসিব, মোঃ শহিদুল ইসলাম সজিব, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের নগর সভাপতি এস এম আবুল কালাম আজাদ, মাওলানা ইলিয়াছুর রহমান, ইব্রাহিম খান, মোহাম্মদ রেজাউল করিম, ইসলামী যুব আন্দোলনের নগর সভাপতি মুহা. ইমরান হোসেন মিয়া, জেলা সভাপতি মুফতি ফজলুল হক, সাইফুল্লা খালিদ নাজমুল, মুহা. আব্দুস সবুর, মোঃ মামুনুর রশিদ, মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের নগর সভাপতি মুহা. আব্দুল্লাহ আল মামুন, জেলা সভাপতি মোঃ ফরহাদ মোল্লা, মাহদী হাসান মুন্না, মোহাম্মদ নাঈমুল ইসলাম, মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, নগর সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আল গালীব, জেলা সাধারণ সম্পাদক মোঃ শরিফুল ইসলাম, মোঃ বনি আমিন, মোঃ হাবিবুল্লাহ মেসবাহ প্রমুখ।