শক্তিশালী সিন্ডিকেটের যাঁতাকলে নিষ্পেষিত এখন চালের বাজার। চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে ভারত থেকে প্রতিদিন আমদানি হচ্ছে বিভিন্ন প্রকারের চাল। কিন্তুু সিন্ডিকেটের কালো থাবায় স্থিতিশীলতার প্রভাব পড়েনি চালের পাইকারি ও খুচরা বাজারে। চালবাজির প্রভাব পড়ছে চালের বাজারে। খাদ্য সংকট মোকাবেলায় সরকার ভারত থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ চাল আমদানি করলেও চালের বাজার আকাশ ছোঁয়া। চাল ক্রয়ে হিমশিম খাচ্ছে দরিদ্র মানুষ। নুন আনতে যাদের পান্তা ফুরায়, তারায় পড়েছে বিপাকে। আর এই খাদ্য সংকট মোকাবেলায় খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে দেশের শীর্ষ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয়েছে চাল আমদানির অনুমতি। এরই আলোকে অনুমোদনপ্রাপ্ত চাল আমদানিকারকরা ভোমরা বন্দর দিয়ে কয়েক দফায় ভারত থেকে আমদানি করছে হাজার হাজার মেট্রিকটন চাল। অনুমোদনপ্রাপ্তদের মধ্যে ঢাকার পুরানো পল্টন মজুমদার এগ্রোটেক ইন্টারন্যাশনাল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ১৯ নভেম্বর ৪৩০ মেট্রিক টন এবং ২১ নভেম্বর ৮৭৮ মেট্রিক টনসহ মোট ১৩০৮ চাল আমদানি করে। যশোরের ঝিকরগাছা ইসমাইল হোসেন মিলন আমদানিকারক ২০ নভেম্বর ২০০ মেট্রিক টন চাল আমদানি করে। সাতক্ষীরার কলারোয়া মুকুল এন্টারপ্রাইজ প্রতিষ্ঠান ২০০ মেট্রিক টন চাল আমদানি করে। যশোরের মজুমদার এন্ড সন্স প্রতিষ্ঠান ১৯ নভেম্বর ২৬৫ মেট্রিকটন চাল আমদানি করে। যশোরের বেনাপোল এসএমএম ইন্টারন্যাশনাল আমদানিকারক ২০০ মেট্রিকটন এবং যশোরের মজুমদার ফুড প্রোডাক্ট প্রাইভেট লিমিটেড ২০ নভেম্বর ৪৬৩ মেট্রিকটন চাল আমদানি করে। এছাড়া যশোরের রেজাউল অ্যান্ড সন্স আমদানিকারক ২০ নভেম্বর ৭৫ মেট্রিক টন এবং ২১ নভেম্বর ১৭৪ মেট্রিক টন চাল আমদানি করে। দেশের শীর্ষ ৭টি আমদানি কারক প্রতিষ্ঠান শুল্কমুক্ত কোটায় ৩দিনে ভারত থেকে ৩২৮৫ মেট্রিকটন চাল আমদানি করে ভোমরা বন্দর ব্যবহার করে। সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু মুছা এ জানান, দেশে খাদ্য সংকট মোকাবেলায় সরকার চালের উপর থেকে শুল্কমুক্ত করায় আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা চাল আমদানি বাণিজ্যে উৎসাহিত হয়েছেন। সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের সভাপতি আবু হাসান বলেন, দেশের খাদ্যনীতি সুরক্ষা করার জন্য ব্যবসায়ীদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
Check Also
সাতক্ষীরা টু শ্যামনগর মহাসড়ক সংস্কারের দাবিতে দেবহাটায় মানববন্ধন
দেবহাটা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা টু শ্যামনগর মহাসড়ক সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। মঙ্গলবার (১৯ …