ভোমরা স্থলবন্দরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১ ডিসেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত গত চার দিনে ভারত থেকে এ বন্দর দিয়ে ৯০০ ট্রাক পণ্য আমদানি হয়েছে। যেখান থেকে সরকার রাজস্ব পেয়েছে ১০ দশমিক ২৯ কোটি টাকা। আর ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) ৭ লাখ ৮৭ হাজার ৮৯৬ মেট্রিক টন পণ্য আমদানি হয়েছে। এ সময় রাজস্ব আয় হয়েছে ৫১৯ দশমিক ৭৮ কোটি টাকা। তুলনামূলকভাবে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে ১০ লাখ ৯৮ হাজার ৭০১ মেট্রিক টন পণ্য আমদানি হলেও রাজস্ব আয় ছিল ৩৪১ দশমিক ৯০ কোটি টাকা। অর্থাৎ, এই বছর পণ্য আমদানি কম হলেও রাজস্ব আদায় বেড়েছে ১৭৭ দশমিক ৮৭ কোটি টাকা।
অন্যদিকে, গত নভেম্বর মাসে ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তিন কোটি সাত লাখ ৫০ হাজার ৯৭৫ মেট্রিক টন পণ্য ভারতে রপ্তানি হয়েছে। এসব পণ্য পরিবহনে ব্যবহৃত হয়েছে দুই হাজার ৮৪টি ট্রাক।
এ বিষয়ে ভোমরা স্থলবন্দরের ভোমরা স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মোহাম্মদ রুহুল আমীন বলেন, কূটনৈতিক সম্পর্কের গুজব নিয়ে কোনো প্রভাব পড়েনি বন্দরের কার্যক্রমে। আমরা বাণিজ্য কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি। রপ্তানিকারকদের সেবায় কোনো বিঘ্ন ঘটছে না। বরং কার্যক্রম আরও দ্রুততার সঙ্গে পরিচালনা করা হচ্ছে।
ভোমরা স্থলবন্দর ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ভোমরা সি এন্ড এফ এজেন্টস্ এসোসিয়েশনের অর্থ সম্পাদক আব্দুল গফুর সরদার বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন ইসুতে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বৈরী অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে দুই দেশের ব্যবসায়ীরা আমদানি-রপ্তানি নিয়ে অনেকটা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। নানা প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দরের আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক রয়েছে।