নাছির উদ্দিন শোয়েব : প্রতিদিনের মতো সেদিনও কর্মব্যস্ত ছিলেন দৈনিক সংগ্রামের নিউজরুমসহ অন্যান্য বিভাগের সংবাদকর্মীরা। আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর হওয়ায় ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের রোষানলে ছিল দেশের প্রাচীনতম পত্রিকা দৈনিক সংগ্রাম। প্রতিদিন অন্যান্য পত্রিকায় কী লেখা হতো- তার চেয়ে বেশি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখা হতো দৈনিক সংগ্রাম-এ কি লেখা হয়েছে। মূলত বিগত ১৫ বছর ধরে বিনা ভোটে ক্ষমতা দখল করে থাকা অবৈধ হাসিনা সরকারের উদ্দেশ্যই ছিল দেশের সার্বভৌমত্ব এবং ইসলাম ও জাতীয়তাবাদের পক্ষে থাকা প্রাচীনতম পত্রিকাটি যে কোনো অজুহাতে বন্ধ করে দেয়া। দীর্ঘ ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে ফ্যাসিবাদের দোসরদের দিয়ে পত্রিকা অফিসে হামলা ও ভাংচুর চালিয়ে দৈনিক সংগ্রামের প্রকাশনা বন্ধ করে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল।
২০১৯ সালের ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের দোসর ‘মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ’ নামে একটি ভূঁইফোড় সংগঠনের নেতা-কর্মী পরিচয়ে কতিপয় দুর্বৃত্ত জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে অতর্কিতে রাজধানীর মগবাজারে দৈনিক সংগ্রামের প্রধান কার্যালয়ে ঢুকে নির্বিচারে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। প্রবীণ সম্পাদক ও প্রকাশক, লেখক, কলামিস্ট আবুল আসাদকে লাঞ্চিত করে অন্যায়ভাবে ধরে নিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয় তারা। এসময় পত্রিকার কম্পিউটারসহ প্রকাশনার সমস্ত যন্ত্রাংশ অচল করে দেয়া হয়। হামলাকারীরা প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা ধরে পত্রিকাটির অফিসের বার্তাকক্ষসহ বিভিন্ন কক্ষে ব্যাপক ভাংচুর করে। তা-ব চলাকালে সংবাদকর্মীরা কার্যালয়ের ভেতরে অসহায়ের মতো অবস্থান করেন। তারা পত্রিকাটির সম্পাদকের কক্ষ, বার্তাকক্ষ, চীফ রিপোর্টারের কক্ষ, সম্পাদনাসহকারী, সহ-সম্পাদকের কক্ষসহ প্রতিটি কক্ষে তা-ব চালায়। এতে প্রায় দেড় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। তবে এই হামলা চলাকালে দৈনিক সংগ্রাম কার্যালয়ের সামনে বিপুলসংখ্যক পুলিশ উপস্থিত থাকলেও তারা সেদিন সাংবাদিকদের রক্ষায় এগিয়ে আসেনি। পুলিশ সদস্যরা বাইরে থেকে হামলাকারীদের রক্ষার দায়িত্বে ছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়। সম্পাদক ও প্রবীণ সাংবাদিক আবুল আসাদকে জোরপূর্বক অফিস থেকে ধরে বাইরে নিয়ে পুলিশে দেয়ার পর তাকে হাতিরঝিল থানা হেফাজতে নেয়া হয়। বয়োজ্যেষ্ঠ এই সম্পাদককে থানা হেফাজতে রেখে পরদিন আদালতে পাঠানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা যায়, সেদিন বিকেল সোয়া ৫টা থেকে ‘মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ’ নামের ওই ভূঁইফোড় সংগঠনের নেতাকর্মীরা জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে মগবাজারে দৈনিক সংগ্রাম কার্যালয়ে প্রবেশ করে। এর আগে বিকাল থেকে ৫০-৬০ জন যুবক মগবাজার ওয়ারলেস রেল গেট সংলগ্ন সংগ্রাম অফিসে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঘেরাও করে হুমকিমূলক স্লোগান দেয়। মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির নামে সংগঠনটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও সাধারণ সম্পাদক আল-মামুনের নেতৃত্বে এ ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় পত্রিকার সাংবাদিকরা যখন প্রতিদিনের মতো সংবাদপত্র প্রকাশের জন্য নিজ নিজ ডেস্কে কাজ করছিলেন ঠিক তখনই ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে গেট ভেঙে অতর্কিতে তারা অফিসে ঢুকে পড়ে। এসময় সংবাদ কর্মীরা ভয়ে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়। একপর্যায়ে তারা দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়ে। তাদের হাতে রড-লাঠি ছিল। অফিসে ঢুকে প্রথমেই তারা সম্পাদককে খুঁজতে থাকে।
এরপর তারা রড-লাঠি দিয়ে একে একে সব কয়টি কক্ষে ভাংচুর চালায়। হামলাকারীরা ৫৮টি কম্পিউটার, ৩টি টেলিভিশন, এয়ার কন্ডিশনার, পত্রিকার সার্ভার, প্রিন্টার, দরজা-জানালা আসবাবপত্র ভাংচুর করে। পত্রিকা অফিসের ভেতরে তারা প্রায় একঘণ্টা ধরে এ তা-ব চালায়। এছাড়া কক্ষগুলোতে থাকা চেয়ার-টেবিল, টেলিভিশন, এ্যালুমেনিয়ামের দরজা-জানালায় ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এরপর হামলাকারীরা সম্পাদক আবুল আসাদের কক্ষে যায়। তারা শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে প্রবীণ এই সম্পাদককে। এ সময় কয়েকজন হামলাকারী সম্পাদক আবুল আসাদকে টেনে হেঁচড়ে দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত তার কক্ষ থেকে অফিসের বাইরে নিয়ে যায়। তার সাথে থাকা সহকারী মো. কামরুজ্জামানকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুঁষি ও লাথি মারতে থাকে। হামলাকারীরা প্রবাীণ এই সম্পাদককে বিভিন্ন মিডিয়ার সামনেও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তাকে জোরপূর্বক নানা ধরনের বক্তব্য দিতে বাধ্য করে দুর্বৃত্তরা। পাশাপাশি বাতিল করা হয় দৈনিক সংগ্রামের মিডিয়িা তালিকাভুক্তি।
হামলার পর মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল দাবি করেন, পত্রিকাটি দেশের শহীদদের অবমাননা করে খবর ছাপিয়েছে। দেশের সার্বভৌমত্বে আঘাত করেছে। এ ব্যাপারে সাংবাদিক নেতাদের বক্তব্য হচ্ছে-প্রকাশিত কোনো সংবাদে কেউ সংক্ষুব্ধ হলে তারা নিয়ম মোতাবেক প্রতিবাদ দিতে পারেন। কিন্তু তা না করে পত্রিকা অফিসে জোরপূর্বক ঢুকে হামলা ভাংচুর করেছে। আইন হাতে তুলে নেয়ার অধিকার কারও নেই। এটা অন্যান্য গণমাধ্যমের জন্যও হুমকি। তিনি বলেন, যে খবরটির ব্যাপারে হামলাকারীরা আপত্তি জানিয়েছেন সেই ধরনের খবর আগে থেকেই পত্রিকায় ছাপা হচ্ছে। এর আগে তারা কখনো প্রতিবাদ করেনি, পত্রিকা কর্তৃপক্ষকেও কখনো অবহিত করেনি। হামলার পর তখন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের তখনকার সাধারণ সম্পাদক (বর্তমানে সভাপতি) শহীদুল ইসলাম জানান, বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামে একটি সংগঠনের শতাধিক কর্মী সংগ্রাম কার্যালয় ঘেরাও করে রাখে। তারা কাউকে পত্রিকা কার্যালয়ে প্রবেশ বা বের হতে দেয়নি। পরে এক পর্যায়ে বড়মগবাজারের আল-ফালাহ প্রিন্টিং প্রেসে যায় তারা। তারা ভবনের বার্তাকক্ষ, সম্পাদনা কক্ষ, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগসহ বেশ কয়েকটি বিভাগের কম্পিউটার, আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ভাংচুর ও তছনছ করে।
এই ন্যক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ হয় সাংবাদিক, লেখক, বুদ্ধিজীবী ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ ও নিন্দার ঝড় ওঠে। বিশ্লেষকদের মন্তব্য হচ্ছে- স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ মানুষের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার। প্রত্যেকেই স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ করতে পারবে এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। কিন্তু নিজের আদর্শ, চিন্তা-চেতনার বাইরে কোন কথা বলাই যাবে না এটা গণতন্ত্রবিরোধী, অসহিষ্ণুতা ও স্বৈরাচারী মানসিকতা ছাড়া অন্য কিছু নয়। দৈনিক সংগ্রাম কোনো ভুল করলে প্রেস আইনে মামলা হতে পারতো। কারো অধিকার ক্ষণœ করলে তার জন্য আইন-আদালত রয়েছে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও কতিপয় মিডিয়ার সামনে যেভাবে একজন প্রবীণ সম্পাদককে লাঞ্ছিত করা হয়েছে তা কোনো সভ্য সমাজে কল্পনা করা যায় না। আওয়ামী লীগের ইতিহাস হচ্ছে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ, সাংবাদিক হত্যা, পত্রিকা অফিস ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ইতিহাস। পুলিশ হামলাকারীদের আটকের পরিবর্তে উল্টো সংগ্রামের সম্পাদক আবুল আসাদকে আটক করে নিয়ে যায়। আবুল আসাদ একটি বহুমুখী প্রতিভার নাম। তিনি একাধারে লেখক, প্রাবন্ধিক, রাজনীতিবিদ, ইতিহাসবিদ, সাংবাদিক এবং সম্পাদক। তবে তিনি বিখ্যাত সাইমুম সিরিজের জন্য। সেই নব্বইয়ের দশক থেকে আবুল আসাদ পড়ুয়া তরুণদের হৃদয়ের মধ্যমণি হয়ে আছেন।
সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা-রিমান্ড: দৈনিক সংগ্রামে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দুর্বৃত্তরা হামলা চালালেও এ ঘটনায় মামলা করতে গেলেও ক্ষতিগ্রস্ত সংগ্রাম কর্তৃপক্ষের মামলা নেয়নি হাতিরঝিল থানা পুলিশ। সংগ্রাম কার্যালয়ে তান্ডব চালিয়ে উল্টো মুক্তমঞ্চ নামের ভূঁইফোড় সংগঠনের পক্ষ হয়ে স্থানীয় মোহাম্মদ আফজাল বাদী হয়ে হাতিরঝিল থানায় মামলা করে। মামলা হওয়ার পর পুলিশ বিভিন্ন সময়ে পত্রিকা অফিসে ঢুকে সাংবাদিকদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালায়। সাংবাদিকদেরকে গ্রেফতার ও হয়রানি করতে থাকায় অনেকে ভয়ে নিয়মিত কর্মস্থলে আসতে পারেনি। দীর্ঘ দিন পালিয়ে থাকতে হয়েছে সংগ্রামের অধিকাংশ সাংবাদিক, কর্মচারীকে। পুলিশি হয়রানির ভয়ে অনেকে রাতেও বাসায় থাকতে পারেনি। মামলা তদন্তের নামে হাতিরঝিল থানার কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা সংগ্রাম কর্র্তপক্ষকেও হুমকি দিয়ে অবৈধভাবে সুবিধা আদায় করারও চেষ্টা করেছে। মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে প্রবীণ সম্পাদককে তিন দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। এক বছর কারাবন্দী থাকার পর দৈনিক সংগ্রামের সম্পাদক আবুল আসাদ উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান। দীর্ঘ কারাভোগের কারণে প্রবীণ এই সম্পাদক বর্তমানে শারীরিকভাবে অসুস্থ। এরপর আটক হন বার্তা সম্পাদক সা’দাত হোসাইন। তিনিও ধীর্ঘ নয় মাসের বেশি সময় ধরে কারারুদ্ধ ছিলেন। ২০২২ সালের অক্টোবরে পত্রিকা অফিস থেকে চিফ রিপোর্টার ও বিশেষ প্রতিবেদক বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি রুহুল আমিন গাজীকে (মরহুম) গ্রেফতার করে নিয়ে যায় হাতিরঝিল থানা পুলিশ। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার ১৭ মাস পর জামিনে মুক্তি পান তিনি। তবে মামলা, হামলা ও পুলিশি হয়রানির মাঝেও একদিনের জন্যও বন্ধ থাকেনি দৈনিক সংগ্রামের প্রকাশনা। শত বাধা ও অবৈধ হাসিনা সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে সংগ্রামের নিবেদিতপ্রাণ নির্ভিক সংবাদকর্মীরা যেকোনো উপায়ে নিয়মিত পত্রিকা প্রকাশে পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছেন। আর্থিক সঙ্কটসহ নানা প্রতিকুলতার মাঝেও সংবাদকর্মীরা কখনো থেমে থাকেনি।
ভূঁইফোড় সংগঠনের ভূঁইফোড় নেতা : কথিত সংগঠন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নামে রয়েছে বহু সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সন্ত্রাসী বাহিনী হিসেবে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ব্যক্তিকে টার্গেট করে তারা হামলা চালিয়েছে। এসব করে বিরোধী মতের লোকজনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল ও চাঁদাবাজি করতো দুর্বৃত্তরা। সংগ্রামে হামলার পর ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরসহ তার অনুসারীদের ওপর হামলার ঘটনায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আল মামুন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন আরাফাত তূর্যকে আটক করে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। ২০১৯ সালের ২২ ডিসেম্বর দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ভবনে ভিপি নুরুল হক নুর ও তার অনুসারীদের ওপর হামলা চালায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিতে হয়েছে নুরসহ প্রায় পাঁচজন নেতাকর্মীকে। এ ঘটনায় বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল এবং সাধারণ সম্পাদক আল মামুনকে নৈতিক স্খলন এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী নানান অপকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগের ভিত্তিতে সংগঠনটির সাংগঠনিক সকল কর্মকা- থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আমিনুল ইসলাম বুলবুল এবং আল মামুনকে নৈতিক স্খলন এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী নানান অপকর্ম,অনিয়মে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাংগঠনিক সকল কর্মকা- থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হলো। প্রশ্ন হচ্ছে, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যূত্থানে হাসিনা সরকারের পতন হলে ফ্যাসিবাদমুক্ত হয় বাংলাদেশ। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাসহ তার দোসরদের অনেককেই গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। তবে দৈনিক সংগ্রামে হামলাকারী চিহ্নিত দুর্বৃত্তদের এখনো গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হয়নি। সংগ্রাম অফিসে হামলার নেতৃত্ব দেয়া মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক আল-মামুনসহ তার সহয়োগীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিস্টরা।
Check Also
তালায় ইউপি পরিষদ কক্ষে দুই সাংবাদিকের উপর হামলা, প্রতিবাদে মানববন্ধন
তালা প্রতিনিধি তালার ইসলামকাটি ইউনিয়ন পরিষদে সাংবাদিক আক্তারুল ইসলাম ও আতাউর রহমানের ওপর সন্ত্রাসী রমজান আলী …