বলাড
মুজাহিদুল ইসলাম,সাতক্ষীরা : নয় মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয়। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনের পতনের মধ্যে দিয়ে জাতি নতুন করে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয়বছর দিবস উদযাপন করেছে। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর বাংলাদেশের নবযাত্রায় জাতি নতুন উদ্যম ও উদ্দীপনা নিয়ে দিনটি পালন করছে। স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী পর অধিকাংশ দেশবাসী এ সময়টাকে ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা’ বলেও অভিহিত করছে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৬ ডিসেম্বর (সোমবার) সকাল ১০ টায় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বলাডাঙ্গা ছয়ঘরিয়া দাখিল মাদ্রাসায় সহকারী শিক্ষক মাওলানা হাবিবুল ইসলামের উপস্হাপনায় মো: রবিউল ইসলামের এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও দোয়া, মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মো: ইউসুফ হোসাইন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক মো: ইসহাক সরদার ও মুজাহিদুল ইসলাম। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত সুপার মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, সহকারী শিক্ষক মাওলানা বাবুল হোসাইন, সহকারী শিক্ষীকা মোছা: লাইলী খাতুন, জাহাঙ্গীর হোসেন,নিছার উদ্দিন, আব্দুল মালেক, সিরাজুল ইসলাম, আব্দুল হাকিম সহ অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন শিক্ষক,শিক্ষিকা ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ। এসময় সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন স্বৈরশাসককে ক্ষমতাচ্যুত করতে গিয়ে শত শত ছাত্র-জনতা শাহাদাত বরণ করেছে, সাত শতাধিক মানুষ চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে, অনেকে তাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ খুইয়েছে, কমপক্ষে ২৪ হাজার মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, বিপুলসংখ্যক মানুষকে জোরপূর্বক গুমের শিকার হতে হয়েছে, অনেক আহত মানুষ এখনও হাসপাতালের বিছানায় যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন এবং অনেকে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে কালাতিপাত করছে।
মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী হঠাতে এবং এরপর এ বছর শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনের কবল থেকে প্রিয় মাতৃভূমিকে মুক্ত করতে যেসব শহিদ সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন, জাতি তাদের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে নতুন করে শপথ গ্রহণ করবে। বক্তারা আরো বলেন বলাডাঙ্গা ছয়ঘরিয়া দাখিল মাদ্রাসা টি অনেক পুরাতন একটি মাদ্রাসা শত বাঁধা পেরিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সকলোর সহযোগিতায় এ পযার্য়ে এসে দাড়িয়েছে। তাই সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাদ্রাসাটিকে এগিয়ে নিতে সকলের প্রতি আহ্বান করেন। পরিশেষে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা আহত হয়েছেন এবং শহীদ হয়েছেন তাদের সুস্থতা, মাগফেরাত কামনা এবং দেশ এবং জাতির মঙ্গল কামনার্থে দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।