নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শামসুন্নাহার হল শাখার সাবেক সভাপতি নিশিতা ইকবাল নদীসহ চারজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
দু’দিনের রিমান্ড শেষে আজ মঙ্গলবার তাদের ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সেফাতুল্লাহ তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
অন্য আসামিরা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল-ফাতারা কাজল, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এআইইউবির শিক্ষার্থী ও সাবেক ছাত্রলীগ কর্মী শোভন রহমান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কর্মী হাসান ইমাম শোভন।
এর আগে, শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। পরদিন তাদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর রাজধানীর কলাবাগান থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল করে জামিন আবেদন করেন এবং রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে প্রত্যেকের দু’দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড আবেদনে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, গত ১৩ ডিসেম্বর ভোর ৬টায় রাজধানীর কলাবাগান এলাকায় আল বারাকা রেস্তোরাঁর সামনে থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মিছিল করে। এ ঘটনায় এজাহারভুক্ত আসামিরাসহ অজ্ঞাতনামা ১০০-১৫০ জন অংশ নিয়ে সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেন। সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলার জন্য তারা আরো বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা করছে। এর পেছনে মদদদাতা, অর্থের জোগানদাতা, পরিকল্পনাকারীদের বের করার জন্য তাদের সাত দিনের রিমান্ডে নেয়া প্রয়োজন।