জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ক্ষমতায় যাওয়া তাদের লক্ষ্য নয়, বরং দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠাই তাদের মূল উদ্দেশ্য। তিনি আরও বলেন, জনগণের কাছ থেকে চারটি জিনিস চান—ভালোবাসা, সমর্থন, সহযোগিতা, এবং জাতীয় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পাশে থাকার অঙ্গীকার। যদি এই চারটি উপহার পাওয়া যায়, তবে তিনি জনগণের কাছে চিরকৃত
শুক্রবার সকালে যশোর ঈদগাহে জেলা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক গোলাম রসুলের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ সম্মেলনে ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, যদি জামায়াতে ইসলামী দেশসেবার সুযোগ পায়, তবে দেশে চাঁদাবাজি, দখলদারি এবং ঘুষের মতো অপরাধগুলো থাকবে না। তারা এমন একটি জাতি গড়তে চান যেখানে ফ্যাসিবাদ এবং সাম্রাজ্যবাদ কোনো প্রশ্রয় পাবে না।
তিনি উল্লেখ করেন, ৫ আগস্টের আগে দেশ দুঃশাসনে ভুগছিল, এবং আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনকালে দুঃশাসন আরও প্রকট হয়েছে। তবে, যুবসমাজের নেতৃত্বে ফ্যাসিস্ট রেজিম পতন হয়েছে, যা দেশ ও জাতির জন্য গৌরবের বিষয়।
যশোর জেলার উন্নয়ন নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, প্রাচীন জেলা হওয়া সত্ত্বেও যশোর উন্নয়নের ছোঁয়া পায়নি। পার্ক, মাঠ বা জলধারা নেই, যা উন্নয়নের অভাব নির্দেশ করে। ক্ষমতায় আসার আগে নেতারা মানুষের পা ছুঁয়ে সমর্থন চায়, কিন্তু পরে তাদের কথা ভুলে যায়।
ডা. শফিকুর রহমান নেতাকর্মীদের সতর্ক করে বলেন, চাঁদাবাজি, দখল এবং দুর্নীতির মতো কাজ করলে তা শহিদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি হবে। নেতাকর্মীদের এমন ঘৃণিত কাজ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, মিথ্যা মামলায় নিরীহ মানুষকে হয়রানি বন্ধ করা উচিত এবং প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। দেশের সকল নাগরিকের সমান অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
নারীর অধিকারের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলাম নারীদের মায়ের জাতি হিসেবে মূল্যায়ন করে এবং তাদের মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দেয়।
এই সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্যসহ অন্যান্য নেতারা।