গেল ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার প্রবল গণআন্দোলনের তোপের মুখে দেশে ছেড়ে ভারতে পালিয়ে আত্নরক্ষা করেন পালিয়ে যাওয়া সাবেক স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।সেসময় সেই আন্দোলনে মুখ্য ভূমিকা পালন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানার।
গেল ১৪ সেপ্টেম্বর আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের উদ্যোগে আত্মপ্রকাশ করে জাতীয় নাগরিক কমিটি। তখন থেকেই আলোচনা-সমালোচনা, তবে কি এই নামেই নতুন রাজনৈতিক দল গঠন হচ্ছে।
তবে শিক্ষার্থীরা বলছেন, আগামী ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল। এখনও নাম চূড়ান্ত হয়নি। ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে নিয়ে দল গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। জানুয়ারির মধ্যে দেশের সব থানায় কমিটি দেওয়া হবে।
জাতীয় নাগরিক কমিটি বলছে, দল গঠন হবে ভিন্ন নামে। এখনও নাম ঠিক হয়নি। বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে দল গঠন হতে যাচ্ছে।
নাগরিক কমিটির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আকরাম হুসেইন বলেন, ‘এখানে যারা আমাদের সঙ্গে কাজ করছে এবং তারা গত ১৫-১৬ বছরে ফ্যাসিবাদ বিরোধী পরীক্ষিত শক্তি। যারা দীর্ঘসময় ফ্যাসিবাদ আন্দোলনে নানা আত্মত্যাগ করেছে এবং শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যারা লড়াই করেছে আগামী দিনে যেকোনো রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তারা সবচেয়ে ভালো নেতৃত্ব দিতে পারবে।’
জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী নতুন দল কাজ করবে। এরই মধ্যে ১৪৬টি থানায় কমিটি দেওয়া হয়েছে। জানুয়ারির মধ্যে সব থানায় কমিটি দেওয়ার লক্ষ্য তাদের।
নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন বলেন, ‘মাঠে আমাদের দাবি জানানো থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার যারা আছে, তাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করা, সেই সাথে সাংগঠনিক পরিধি বিস্তার সেটাও আমরা করার চেষ্টা করছি। এবং এই সাংগঠনিক পরিধি বিস্তার করতে গিয়ে আমাদের উপলব্ধি হয়েছে যে, এই অভ্যুত্থান পরবর্তী একটা রাজনৈতিক দলের প্রত্যাশা সকলের মধ্যে আছে।’
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন দল করার আগে যথাযথ ভাবে গবেষণা করতে হবে। পরিষ্কার করতে হবে তাদের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য।
অবশ্য সর্বশেষ, শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে পঞ্চগড় সরকারি অডিটোরিয়ামে জাতীয় নাগরিক কমিটির এক মতবিনিময় সভায় দলটির মুখ্য সংগঠক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম জানিয়েছেন,জাতীয় নাগরিক কমিটি রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম নয় এবং আগামীতেও এটি রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম হবে না ।