ফিরোজ হোসেন, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরা সদর উপজেলার উত্তর কাটিয়া মিলবাজার এলাকায় প্রেমের অভিনয় করে এক যুবককে বাসায় ডেকে নিয়ে মারধর করে টাকা, মোবাইল ছিনতাই করে দুই লক্ষ টাকা চাঁদাদাবীর অভিযোগ উঠেছে এক চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট পরিবারের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি বুধবার সন্ধ্যার পর মিলবাজার এলাকার ছিদ্দিকের ভাড়াটিয়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনা সূত্রে জানা যায়, মিলবাজার এলাকার ছিদ্দিকের বাড়ির ভাড়াটিয়া সেতু বেগম ফোনে বাঁশদহা কুলিয়াডাঙ্গা এলাকার জাদব বিশ্বাসের ছেলে তাপস বিশ্বাসের সাথে প্রেমের সম্পর্ক করে। এক পর্যায়ে বুধবার বিকালে সেতু বেগম তাপসকে ফোনে তার ভাড়া বাসায় দেখা করার কথা বলে ডেকে এনে তার ছেলে সোহান ও একটি চক্র মারধর করে দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে বেধড়ক মারপিট করে। মারপিটের চিৎকার শুনে এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে গিয়ে কথিক প্রেমিক তাপসকে উদ্ধার করে। এ বিষয় কথিক প্রেমিক তাপসের কাছে সেতুর বাসায় আসার কারণ জানান, যে মোবাইলে দুই সন্তানের জননী সেতুর সাথে কথা বলা শুরু করেন কয়েকদিন আগে থেকে। সেতু আমাকে বলেননি সে বিবাহিত। সে বুধবার বিকালে তার বাসায় ফোনে তার বাসায় আসার কথা বললে আমি তার মিলবাজারস্থ ছিদ্দিকের ভাড়া বাসায় দেখা করতে যায়। একপর্যায়ে সেতু তার ঘরে ডেকে নিয়ে তার ছেলে সোহানসহ কয়েকজন আমার মোবাইল ও মানিব্যাগে ২৬ শত টাকা ছিনিয়ে নিয়ে বেধড়ক মারপিট করে দুই লক্ষ টাকা চাঁদাদাবী করে। আর বলে দুই লক্ষ টাকা দিতে হবে না হলে তোকে ইয়াবা দিয়ে চালান দিবো।
তার চিৎকারে এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হইলে সেতুর ছেলে সোহান
পাকা প্রাচীর টপকিয়ে পালিয়ে যায়।
ঘটনার সংবাদ পেয়ে সাতক্ষীরা সদর ফাড়ির ইনচার্জ এস আই পিন্টু ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে মুচলেকা দিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়। মিলবাজার এলাকার মনোয়ার হোসেনসহ এলাকাবাসী জানান, সেতু এর দীর্ঘদিন যাবত তার বাসায় অসামাজিক কার্যকলাপ করে আসছে।
এদিকে শহরের উত্তর কাটিয়া মিলবাজার এলাকায় এমন ঘটনায় মানুষের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। ভাড়াবাসায় অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার সচেতন মহল। এ বিষয় কাটিয়া ফাড়ির ইনচার্জ এসআই পিন্টু জানান, এলাকাবাসীর মাধ্যমে মুচলেকা নিয়ে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আর সেতুকে সতর্ক করা হয়েছে। এ বিষয় সেতু বলেন, তাপস বিশ্বাস ফোনে কথা বলে আমার সাথে দেখা করতে চাইলে আমি তাকে আসতে বলি। এছাড়া তেমন কিছু হয়নি।