দুই মাস আগ থেকেই বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে মতানৈক্যের আন্ডারকারেন্ট বইছিল। কিন্তু গত সপ্তাহে এটি প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে। এখন দেখা যাচ্ছে যে, বিএনপি জামায়াতের পায়ে পা লাগিয়ে ঝগড়া করছে। গত ৩০ ডিসেম্বর সোমবার এ ভাষ্য লেখার সময় একটি গুরুত্বপূর্ণ টেলিফোন পেলাম। সাম্প্রতিককালে বিএনপিকে অলআউট সাপোর্ট দেওয়া একটি প্রাচীন দৈনিকের কর্ণধারের বরাত দিয়ে আমাকে জানানো হলো যে, বিএনপির এ জামায়াতবিরোধিতায় অনেক মানুষ- যারা এতদিন বিএনপিকে সমর্থন করছিলেন, তারা বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছেন।
৫ আগস্ট বিপ্লবের সফল সমাপ্তি পর্যন্ত বিএনপির ভূমিকা ভারত ও আওয়ামী লীগবিরোধী সর্বমহলে সমাদৃত হচ্ছিল। কিন্তু ৫ আগস্টের ২ দিন পর বিএনপি হঠাৎ করে নয়াপল্টন অফিসের সামনে একটি বড় জনসভা করে। ঐ জনসভা থেকে ৩ মাসের মধ্যে দেশে নির্বাচন দাবি করা হয়। ঐ সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত করা হয় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপম্যান তারেক রহমান এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে। এ সমাবেশের একটিই দাবি ছিল, সেটি হলো তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন দেওয়া। অন্যান্য রাজনৈতিক দল তো বটেই, সচেতন সাধারণ মানুষও এ দাবিতে বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন। কারণ বিপ্লবী ছাত্র ও জনতার রক্তের দাগ তখনো শুকায়নি। সেই তিন দিনের মাথায় ইলেকশন দাবি করা সাধারণ মানুষও ভালো চোখে নেননি। তারা মনে করেন, এটা হবে শহীদের রক্তের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে ক্ষমতার লালসার বহিঃপ্রকাশ।
আমার অত্যন্ত বিশ্বস্ত সূত্র, যে সূত্রের বিএনপির ওপরতলার করিডোরে অবাধ যাতায়াত আছে, সেই সূত্র জানায়, বিএনপি তার বিভিন্ন সূত্র থেকে এ আর্লি ইলেকশনের ব্যাপারে নেতিবাচক ফিডব্যাক পাচ্ছে। মানুষ এটা ভালো চোখে নিচ্ছেন না। আমার সূত্র বলছে, এসব ফিডব্যাকে বিএনপির স্ট্যান্ডিং কমিটির টনক নড়ে। তারা তিন মাসের মধ্যে ইলেকশনের দাবি থেকে সরে যায়। তারা নতুন করে বলতে শুরু করে, যত দ্রুত সম্ভব অন্তর্বর্তী সরকার যেন নির্বাচন দেয়।
এর মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার জানায়, জুলাই-আগস্ট বিপ্লব বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের মনে নতুন আশার সৃষ্টি করেছে। তারা মনে করেন যে, অতীতের গৎবাঁধা রাজনীতির ট্র্যাজেক্টরি থেকে বেরিয়ে আসার সময় হয়েছে। সুযোগ এসেছে নতুন করে এই দেশটি বিনির্মাণ করার। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর সাথে একটি ইতিবাচক বক্তব্য জুড়ে দেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার মতো ফ্যাসিস্ট দানবকে তরুণদের নেতৃত্বে জানবাজি ধরে যেভাবে হটানো হয়েছে, তার ফলে তরুণদের ইমেজ অনেক উজ্জ্বল হয়েছে। তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেন, দেশের ভবিষ্যৎ এখন তরুণদের হাতেই ছেড়ে দেওয়া উচিত। সম্ভবত ড. ইউনূসের এ চিন্তাধারাই তাকে উদ্বুদ্ধ করেছে তার উপদেষ্টা পরিষদে ৩ তরুণকে অন্তর্ভুক্ত করাতে। এরা হলেন নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং মাহফুজ আলম। ১৭ কোটি ৪০ লাখ মানুষের মধ্যে ড. ইউনূসই প্রথম বলেন, জুলাই ও আগস্ট বিপ্লব এবং ৫ আগস্ট অর্জিত হয়েছে বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতা। বাংলাদেশ শেখ হাসিনার লৌহকঠিন শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয়েছে।
বিপ্লবকে ঘিরে জনগণের মনে যে নতুন আশা ও উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে, সেই আশা, উদ্দীপনা ও অভিপ্রায়কে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের সংস্কার প্রয়োজন। সেই সংস্কার করার জন্য তিনি প্রথমে ৬টি সংস্কার কমিশন গঠন করেন। পরবর্তীতে আরো ৪টি কমিশন গঠিত হয়। এসব কমিশনকে তাদের রিপোর্ট দাখিল করার জন্য সময় দেওয়া হয় গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত। ড. ইউনূস এ বিষয়টি পরিষ্কার করেন যে, সংস্কার কমিশন যে রিপোর্ট দেবে, সেটি জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হবে না। চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করার পর সেই রিপোর্ট নিয়ে স্টেকহোল্ডারদের সাথে তিনি আলোচনা করবেন। সেই অংশীজন হতে পারেন পলিটিশিয়ান, ব্যবসায়ী, বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবী, ছাত্রনেতৃবৃন্দসহ সমাজের সংশ্লিষ্ট স্তরের জনগণ। প্রতিটি কমিশনের রিপোর্ট নিয়ে আলাদাভাবে তিনি অংশীজনদের সাথে আলোচনা করবেন। রিপোর্টের যেসব অংশের সাথে স্টেকহোল্ডাররা মতৈক্যে পৌঁছাবেন, সেই সব অংশ বা প্রস্তাব বাস্তবায়িত করা হবে।
এভাবে দেড় থেকে দুই মাস পার হয়ে যায়। এরপর বিএনপি আবার তার অবস্থান পাল্টায়। আবার তারা দ্রুত নির্বাচন চায়। সংস্কারের কথা বলা হলে তারা বলে, ন্যূনতম যেসব সংস্কার না করলেই নয়, সেই সব সংস্কার করে দ্রুততম সময়ে নির্বাচন দেওয়া হোক। এ ব্যাপারে জামায়াত তার অবস্থান পরিষ্কার করে বলে, তারাও দ্রুত নির্বাচন চায়। তবে সংস্কার করার জন্য সরকারকে যৌক্তিক সময় দিতে হবে। এরপর বিএনপি বলে, সেই যৌক্তিক সময়টি কতদিনের, সেটি সরকারকে পরিষ্কার করতে হবে।
এরপর বিএনপি তাদের দাবি আরও এগিয়ে নিয়ে যায়। তারা বলে, তারা নির্বাচনের একটি তারিখ এবং রোডম্যাপ চায়। সংস্কারের জন্য নির্বাচন বসে থাকতে পারে না। সংস্কার এবং নির্বাচনের কাজ পাশাপাশি এগিয়ে চলতে হবে। এরপর সরকার নতুন করে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করেন। নির্বাচন কমিশনের সামনে কাজ বিরাট। গত তিনটি ভুয়া এবং জালিয়াতির নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। ২০১৪ সালের ফাঁকা মাঠের নির্বাচনে যে কিশোরটির বয়স ছিল ৮ বছর, আজ তার বয়স ১৮ বছর। ঐ সময়ে যাদের বয়স ৮ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে ছিল, তারা বিগত তিনটি নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি। এদের ভোটার লিস্টে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এটি একটি কঠিন কাজ। এছাড়া আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের একচ্ছত্র কর্তৃত্ববাদী শাসনে আওয়ামী এমপিরা তাদের নির্বাচনী এলাকা ইচ্ছামতো বাড়িয়েছেন বা কমিয়েছেন। এ নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ সঠিকভাবে করতে হবে। এটিও একটি বিরাট কাজ। সুখের বিষয়, পুনর্গঠিত নির্বাচন কমিশন ইতোধ্যেই এসব কাজ শুরু করেছেন।
ড. ইউনূস বারবার বলেছেন, তিনি রাজনীতি করবেন না এবং নির্বাচনও করবেন না। একটি সুন্দর বাংলাদেশ উপহার দিয়ে তিনি তার পুরনো কাজে ফিরে যেতে চান। তিনি আরও বলেন, তার উপদেষ্টা পরিষদের প্রায় সব সদস্যের নিজ নিজ পেশা আছে। তারাও দ্রুত স্ব স্ব পেশায় ফিরে যেতে চান। তারাও কেউ রাজনীতি করবেন না বা নির্বাচন করবেন না।
কিন্তু বিএনপি এসবেও তুষ্ট হয় না। দেশব্যাপী সভা-সমাবেশ বা মিছিলে একটিই মাত্র দাবি। সেটা হলো আর সময় নষ্ট না করে অবিলম্বে নির্বাচন। বিএনপির এ বিরামহীন নির্বাচনের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতৃবৃন্দের মধ্যে অসন্তোষের সৃষ্টি হয়। তাদের কেউ কেউ বলেই ফেলেন যে, দেড় হাজার ছাত্র-জনতা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে শহীদ হয়েছেন, ২৬ হাজার ছাত্র-জনতা আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে অনেকে হাত-পা হারিয়েছেন, আবার অনেকে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। এদের এ বিরাট কুরবানি কি শুধুমাত্র আওয়ামী লীগকে সরিয়ে একটি নির্বাচনের মাধ্যমে আরেকটি সরকারকে বসিয়ে দেওয়ার জন্য?
এর মধ্যে দেশের মেইনস্ট্রিম গণমাধ্যমে প্রতিনিয়ত খবর বের হতে থাকে যে, এতদিন যেসব সেক্টরে আওয়ামী ক্যাডাররা চাঁদাবাজি করত, এখন আওয়ামী সরকার বিতাড়িত হওয়ার পর ঐসব চাঁদাবাজদের হাতবদল হয়েছে মাত্র। বিপ্লবের আগে যেসব পত্রপত্রিকা আওয়ামী লীগের পায়রবী করত এখন সেই সব পত্রপত্রিকা বলছে, বাসস্ট্যান্ড, বালুমহাল, জলমহাল ইত্যাদি ক্ষেত্রগুলোর চাঁদাবাজির দখল নিয়েছে বিএনপির কর্মীরা। এসব প্রচারণায় জামায়াতের বিন্দুমাত্র সম্পৃক্ততা নাই।
কিন্তু দেখা যায় যে, বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে আরও হার্ডলাইন নিয়েছে। আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সোজাসাপ্টা বলে দিয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কোনোরকম সংস্কারের দরকার নেই। তাদের একমাত্র কাজ হলো ইলেকশন করা। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা এসে সংস্কার করবেন।
এর মধ্যে কয়েকটি ঘটনা বিএনপির অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। যেমন তারা প্রেসিডেন্টের অপসারণের বিরোধিতা করে। কারণ সাংবিধানিক জটিলতা সৃষ্টির আশঙ্কা। তারা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাবের বিরোধিতা করে। এমনকি যে পদ্ধতিতে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, সেই পদ্ধতিরও তারা সমালোচনা করে। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণেও তাদের আপত্তি নেই।
বিএনপির এসব উক্তিতে জনমনে যতই বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হোক না কেন, জামায়াত এসব প্রচারণার ধারেপাশেও ছিল না। তারা বিপ্লবের পর থেকেই তাদের আদর্শ নিয়ে জনগণের দুয়ারে পৌঁছানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তারা জনসভা করছেন, আন্দোলনে আহত ও নিহতদের বাড়ি যাচ্ছেন এবং তাদের সাধ্যমতো অর্থ সাহায্য করছেন।
এমন পটভূমিতে বিএনপি অকস্মাৎ জামায়াতবিরোধী ভূমিকা নিয়েছে এবং সেটিও প্রকাশ্যে। গত ২৯ ডিসেম্বর রোববার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী জামায়াতের বিরুদ্ধে যে ভাষায় সমালোচনা করেছেন, সেই ভাষা জামায়াতের বিরুদ্ধে ব্যবহার করত পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ। বিএনপি এতদূরও বলেছে, ‘ভারতের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে হাসিনাকে ক্ষমা করতে চায় জামায়াত।’ যে দলের সাবেক আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অবদুল কাদের মোল্লা, সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, সাবেক নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলী প্রমুখ শীর্ষনেতাকে জুডিশিয়াল কিলিংয়ে হত্যা করা হয়েছে, তারপর কি আর আওয়ামী লীগের সাথে আপস করার কারো কোনো সুযোগ থাকে? যে দলের সর্বজনশ্রদ্ধেয় নেতা অধ্যাপক গোলাম আযম এবং কুরআনের পাখি নামে অভিহিত বাংলার আপামর জনসাধারণের কাছে অতি প্রিয় মুখ আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে জেলখানার ভেতরে মৃত্যুবরণ করতে হয়, সেই আওয়ামী লীগকে জামায়াতের ক্ষমা করার প্রশ্নই ওঠে না।
রুহুল কবির রিজভীর জবাব যতদূর সম্ভব নম্র ভাষায় প্রতিবাদ করেছেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মওলানা রফিকুল ইসলাম খান। প্রথমেই বলেছি, বিএনপি পায়ে পা লাগিয়ে ঝগড়া করতে চায়। জামায়াত বিএনপির সাথে বিবাদ যতদূর সম্ভব পরিহার করতে চায়। বাংলাদেশ অফিসিয়ালি শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার জন্য ভারতের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে। সকলেই জানেন, ভারত এ অনুরোধ রাখবে না। তাই নিকট ভবিষ্যতে ভারতের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। বিএনপি কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়াই যেভাবে জামায়াতের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করছে এবং সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর ভাষা প্রয়োগ করছে, এর ফলে সুযোগ নেবে ভারত, শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশে ঘাপটি মেরে থাকা আওয়ামী লীগ ও ভারতের বর্ণচোরা দালালরা। অন্যান্য ইসলামী দলও বিএনপির এ ভূমিকা পছন্দ করছে না।
সাধারণ জনগণ আন্তরিকভাবে চান যে, বিএনপি যেন প্রকাশ্যে এমন মারমুখো আচরণ না করে। এখনো বিডিআর ম্যাসাকার, শাপলা ম্যাসাকার, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সহস্র মানুষের শহীদ হওয়া এবং গুম কমিশনের মন্তব্য অনুযায়ী বিভিন্ন আয়নাঘরে ৩ হাজার ৫০০ বন্দির খুন ও টর্চারের বিচার কেবল শুরু হয়েছে। এসব বিচারের জন্যও তো সরকারকে মিনিমাম টাইম দিতে হবে। সেই টাইম না দিয়ে বিএনপি যদি সরকারকে ডিস্ট্যাবিলাইজ করে বা সরকারের স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করে, তাহলে ইতিহাসের নিকট তার জবাবদিহি করতে হবে।
সব রাজনৈতিক মহল মনে করেন, দেশের বৃহত্তর স্বার্থে আগামীর একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সার্বিক সংস্কারের পরই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে হবে। তারা মনে করেন, দেশের বৃহত্তর দলটিকে একটু ধৈর্য ধরে সংস্কারের কাজটি সম্পন্ন করার সুযোগ দেয়া উচিত। তাহলে আখেরে দেশ, জাতিসহ সকলেরই কল্যাণ হবে।
Check Also
বাগেরহাট কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন ৬৪ ভারতীয় জেলে
বাগেরহাট জেলা কারাগার থেকে ৬৪ জন ভারতীয় জেলে মুক্তি পেয়েছে। বুধবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে তাদের …