সাতক্ষীরায় যৌথবাহিনীর গুলীতে জামায়াত-শিবিরের দুই নেতাকর্মী নিহত
# ওসি নিজের পিস্তল দিয়ে কালাম ও মারুফকে গুলী করে
আব্দুর রাজ্জাক রানা, সাতক্ষীরা থেকে ফিরে : আবুল কালাম আমার খুব আদরের সন্তান। পাঁচ ছেলের মধ্যে বড় ছেলে মাওলানা আবু জাফর সড়ক দুর্ঘটনায়, সেঝো ছেলে আবু সাঈদ নিউমোনিয়ায় এবং নোয়া ছেলে আসাদুল পানিতে ডুবে মারা যায়। এরপর মেঝো ছেলে শফিকুল ইসলাম দুবাইতে চলে গেছে। আর কালাম ছিল আমার ছেলেদের মধ্যে ছোট। সে শিয়ালীডাঙ্গা কারিমীয়া মাদরাসা থেকে ২০১০ সালের দাখিল পরীক্ষায় গোল্ডেন-এ প্লাস আর নওয়াপাড়া সিদ্দিকীয়া সিনিয়র মাদরাসা থেকে ২০১২ সালের আলিম পরীক্ষায় এ প্লাস পেয়েছিল। বড় স্বপ্ন নিয়ে আমার এই আদরের বাবাকে ভর্তি করাই সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে। এখন সে অর্থনীতি বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমার ছোট মেয়ে ঝর্ণার পড়ালেখা বন্ধ করে দিয়ে কালামের মাথা ভালো থাকায় মানুষের ক্ষেত-খামারে কাজ করে টাকা জোগাড় করে বড় অফিসার বানানোর জন্য স্বপ্ন দেখেছিলাম। কিন্তু সেই স্বপ্ন সরকারের লোকেরা শেষ করে দিলো। গত শুক্র-শনিবার দুই রাত ও একদিন ধরে আমার বাচ্চার উপর তারা নির্মম নির্যাতন চালিয়েছে। তার সারা শরীর ক্ষত-বিক্ষত হয়ে গেছে। সে তো একজন ছাত্র। তার কাজ ছিল পড়ালেখা করা আর মানুষকে সৎ পথে ডাকা আর নামায-কালাম পড়ানো। মাঝেরপাড়া এলাকার মানুষ ও তার কলেজের বন্ধুরা কেউ আমার ছেলেকে খারাপ বলতে পারবে না। আযান দিলেই সে পাড়ার সকলকে নিয়ে মসজিদে যেত। নামায শেষে মুসল্লিদের কুরআন-হাদিস শেখাতো। আর এই কারণেই কি তাকে এভাবেই জীবন দিতে হলো বলে হাউমাউ করে কেঁদে ওঠে কালামের বৃদ্ধ পিতা মোঃ আকবার আলী গাজী। তিনি চোখ মুছতে মুছতে বড় নিঃশ্বাস ছেড়ে বললেন, আমার ছেলেকে যৌথবাহিনী শুক্রবার আসরের সময় তার মা’র কাছ থেকে ধরে কালোটুপি পরিয়ে তুলে নিয়ে যায়। আর আজ (রোববার) ভোরে তার বুকে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলী করে হত্যা করল। এই দুনিয়ায় আমার ছেলের হত্যার বিচার চাই না। তিনি বলেন, এই জালিম সরকার প্রতিদিনই কোন না কোন মা-বাপের কোল খালি করছে। আমার বাচ্চারে যারা খুন করেছে তাদের কোলও আল্ল¬াহ তায়ালা একদিন খালি করবে। এ জন্য এর বিচার আল্ল¬াহ তায়ালার কাছেই দিলাম এই বলতে বলতে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেললেন। এভাবেই সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া মাঝেরপাড়ার আধাপাকা বাড়ির বারান্দায় বসে যৌথবাহিনীর গুলীতে শাহাদাৎবরণকারী মোঃ আবুল কালামের বৃদ্ধ পিতা মোঃ আকবার আলী গাজী হাউমাউ করে কান্নাকাটি করছিলেন। এ সময় ঘরের মধ্যে শহীদ আবুল কালামের মা লতিফা বেগম অজ্ঞান অবস্থায় পড়েছিল। পাশে বোনেরা বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। তাদের প্রশ্নের যেন উত্তর কেউ দিতে পারছে না। পাশের বাড়ির কয়েকজন হাউমাউ করে কাঁদছে আর বলছে, কোন দেশে বাস করছি আমরা। যে সরকার মানুষের নিরাপত্তা দেবে, সেই সরকার নাকি মানুষদের খুন করার হুকুম দিচ্ছে। সরকারের হুকুমের পর, যৌথবাহিনী যারে পাচ্ছে, তারে গুলী করে মারছে। আর না পাইলে বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিচ্ছে। গাড়ি, টাকা, স্বর্ণালংকার সব লুটপাট করে নিয়ে যাচ্ছে। এ যেন সেই রক্ষীবাহিনীর মতো। বড়ই ভালো ছিল কালাম। কারোর সাথে কোন দিন গ-গোল করেনি। তার গায়ের রং কালো হলেও সকলের সাথে হেসে আর ছালাম দিয়ে কথা বলতো। এটি ছিল তার বড় গুণ।
এদিকে যৌথবাহিনীর ভয়ে কেউ আবার হাসপাতালে লাশও আনতে যেতে পারছে না। পুলিশ দেবহাটা উপজেলা (উত্তর) সেক্রেটারি মোঃ আবুল কালাম ও কুলিয়ার জামায়াতকর্মী মারুফ হোসেন ছোটন’র লাশ হস্তান্তর করে দূর সম্পর্কের লোকজনের কাছে তাদের রক্তমাখা লাশ হস্তান্তর করে। কালামের লাশ কুলিয়া মাঝেরপাড়াস্থ নিজ বাড়িতে এবং মারুফ হোসেনের লাশ কুলিয়া গাঙআটিতে পৌঁছালে তাদের পিতা-মাতা, ভাই-বোনসহ আত্মীয়-স্বজনের আহাজারীতে পরিবেশ ভারি হয়ে ওঠে। স্বল্প পরিসরে জানাযা শেষ করে আবুল কালামকে তার বড় ভাই কুলিয়া মাঝেরপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আবু জাফরের মসজিদ সংলগ্ন কবরের পাশে আর মারুফ হোসেনকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। কালামের পরিবারের অসচ্ছলতার কারণে কেউ উচ্চ শিক্ষিত না হলেও তার স্বপ্ন ছিল সে লেখাপড়া করে বড় হয়ে পিতা-মাতার মুখ উজ্জ্বল করবে আর সকলের মাঝে কুরআন-হাদিসের জ্ঞান ছড়িয়ে দেবে। তার এ আশা-আকাক্সক্ষা পূরণ হতে দিল না এই নাস্তিক সরকার-এ কথা বলতে বলতে তার সহপাঠিরাও হাউমাউ করে কেঁদে ওঠে। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা উৎসুক লোকজনও চোখের পানি আর ধরে রাখতে পারেনি। সকলেই যেন একাকার হয়ে যায় এই শোকাহত পরিবারের সদস্যদের আহাজারীর সাথে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসীরা জানায়, দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকা আবুল কালাম (১৭) শুক্রবার বিকেলে মায়ের সাথে দেখা করতে যায়। এসময় তার মা বলে, বাবা তুমি খেয়ে না খেয়ে থাকো। আজ যখন বাড়িতে এসেছো, তখন দু’টো ভাত খেয়ে যাও। এসময় কালাম বলে, মা পুলিশ আমাকে খুঁজছে তাড়াতাড়ি চলে যেতে হবে। মা চোখ মুছতে মুছতে বলে, বাবাকে দু’টো ভাত খেতে সময় লাগবে না। ভাতের প্লেট সামনেও দিয়েছিল। কিন্তু এরমধ্যে বাড়ির চারপাশ ঘিরে ফেলে যৌথবাহিনী। তারা ঘরের ভেতরে ঢুকে তাকে ধরে কোন কিছু না বলেই কালো টুপি পরিয়ে গাড়িতে তোলে। এর আগে দুপুরে একই উপজেলার ইল্লারচরস্থ শ্বশুড়বাড়ি থেকে কুলিয়ার বাসিন্দা ক্বারী আশরাফুল আলমের ছেলে জামায়াতকর্মী মারুফ হোসেন ছোটনকে (২২) গ্রেফতার করে এবং মাথায় কালো টুপি পরিয়ে থানায় নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাদেরকে শুক্রবার রাত শনিবার দিন ও দিবাগত রাতে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে অভিযান এবং তাদের উপর নির্যাতন চালায়। রোববার ভোর সোয়া ৫টার দিকে যৌথবাহিনীর সদস্যরা আবুল কালাম ও মারুফ হোসেনকে সখীপুর ইউনিয়নের নারিকেলি গ্রামে এনে দু’জনের বুকে গুলী করে। পরে পর পর আরও ৮/১০ রাউড গুলী করে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে। তাদের এই গুলীর শব্দে এলাকায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে ভয়ে কেউ বাড়ি থেকে বের হয়নি। আবুল কালাম ও মারুফ হোসেনকে গুলীবিদ্ধ অবস্থায় যৌথবাহিনী প্রথমে সখীপুর হাসপাতাল পরে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে কালাম ও মারুফের গ্রেফতার খবর শনিবার অনেক মিডিয়াতে প্রচার ও প্রকাশিত হয়। এরপরও তাদেরকে থানায় আটকে রাখা হয় অজ্ঞাত কারণে আদালতে চালান দেয়া হয়নি। এনিয়ে তাদের পরিবার-পরিজন উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠায় ছিল। এরমধ্যে রোববার ভোর রাতে গুলীর শব্দ পেয়ে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ-খবর নিতে শুরু করে। একপর্যায়ে টিভিতে দ্যাখে সাতক্ষীরার দেবহাটায় আবুল কালাম ও মারুফ হোসেন নামের দু’জন যৌথবাহিনীর গুলীতে নিহত হয়েছে। পরবর্তীতে পুলিশের কাছে খবর নিয়ে জানতে পারে কালাম ও মারুফকে গুলী করে হত্যা করা হয়েছে। তাদের বুকে, পিঠে গুলীর চিহ্ন এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নিহত মোঃ আবুল কালাম সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র। সে ৫ ভাই ও ৪ বোনের মধ্যে অষ্টম। আর মারুফ হোসেন ছোটন কুলিয়ার গাঙআটির ক্বারী আশরাফুল আলমের ছেলে। সে ২০১২ সালে ইল্লারচরের তাসলিমাকে বিয়ে করে। তার আট মাসের বয়সের তামিমা নামের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালিয়ে সংসার চালাতো। ছোট এই সংসার চালানোর পাশাপাশি নামায-রোজা করতো। আর আল্লাহ তায়ালাকে খুশি করতে ইসলামী আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত হন। মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ওয়াজের ভক্ত ছিল সে। যেখানে শুনতো সাঈদী সাহেবের ওয়াজ হবে সেখানেই ছুটে যেতো। সেই সাঈদী সাহেব জেলে থাকবে আর সে বাড়িতে বসে থাকবে তা হয় না বলেই মিছিল-মিটিংয়ে যেতো। আর এভাবেই এলাকার আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের কাছে সে শত্রু হয়ে ওঠে। শেষ পর্যন্ত যৌথবাহিনীকে দিয়েই তাকে হত্যা করা হলো- এমনই কথা বলে জ্ঞান হারিয়ে ফেললেন শহীদ মারুফ হোসেন ছোটনের স্ত্রী তাসলিমা খাতুন। যৌথবাহিনীর অভিযানে অংশ নেয়া একাধিক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, গত ২৪ জানুয়ারি নিয়মিত মামলার আসামী গ্রেফতারের জন্য যৌথবাহিনী দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া এলাকায় অভিযান চালানো হয়। উক্ত এলাকা থেকে আবুল কালাম ও মারুফ হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাদের নিয়ে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়। রোববার ভোর রাতে তাদেরকে সখীপুর ইউনিয়নের নারিকেলি গ্রামে নিয়ে কালাম ও মারুফের বুকে ওসি তারকনাথ বিশ্বাস নিজে গুলী করে। এসময় যৌথবাহিনীর সদস্যরা আরও ৮/১০ রাউন্ড গুলীবর্ষণ করে। পরে তাদেরকে সখীপুর হাসপাতালে নেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তারা আরো জানায়, ওসি নিজে তাদেরকে গুলী করে হত্যা করে।
এ ব্যাপারে দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারকনাথ বিশ্বাস বলেন, কালাম ও মারুফকে গ্রেফতার করে ভোর রাতে সখীপুর ইউনিয়নের নারিকেলি গ্রামে নিয়ে অভিযান চালানো হয়। এসময় তাদের লোকজন টের পেয়ে আমাদের উপর গুলী চালায়। পাল্টা গুলী চালাই। এসময় তারা গুলীবিদ্ধ হয় এবং আমাদের দু’জন আহত হয়। তিনি জানান, ঘটনার সময় শর্টগানের ৬ রাউন্ড, পিস্তলের ২ রাউন্ড, চাইনিজ রাইফেলের ৫ রাউন্ড গুলী করা হয়। উদ্ধার করা হয়েছে ২টি পাইপগান, ৫টি হাতবোমা, ৫টি বন্দুকের কার্তুজ, ৬টি বন্দুকের খোসা ও ২টি চাপাতি। ১৫/২০ মিনিট ধরে এ ঘটনা ঘটে। তিনি বলেন, কালামের বিরুদ্ধে ১০টি ও মারুফের বিরুদ্ধে ৯টি মামলা রয়েছে।
এদিকে দেবহাটা উপজেলা (উত্তর) সেক্রেটারি মোঃ আবুল কালাম ও জামায়াতকর্মী মারুফ হোসেন ছোটকে নির্মমভাবে গুলী করে হত্যা করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাতক্ষীরা জেলা আমীর সাবেক এমপি অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল খালেক ও সেক্রেটারি শেখ নুরুল হুদা, ছাত্রশিবিরের শহর সভাপতি মোঃ আবু তালেব ও জেলা সভাপতি মোঃ রুহুল আমিন, দেবহাটা উপজেলা জামায়াতের আমীর মোস্তফা আসাদুজ্জামান মুকুল ও সেক্রেটারি ইউপি চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ সরদার। নেতৃবৃন্দ এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, শুক্রবার বিকেলে যৌথবাহিনীর সদস্যরা ছাত্রশিবির নেতা আবুল কালাম ও জামায়াতকর্মী মারুফ হোসেন ছোটকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায়। পরে তাদেরকে শুক্রবার রাত শনিবার দিন ও দিবাগত রাতে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে অভিযানের নামে নির্যাতন চালায়। রোববার ভোর রাতে সখীপুর নারিকেলি গ্রামে নিয়ে আবুল কালাম ও মারুফ হোসেনের বুকে ওসি তারকনাথ বিশ্বাস পিস্তল ঠেকিয়ে গুলী করে। এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করার জন্য আরো ৮/১০ রাউড গুলী করে। তাদের এই গুলীর শব্দে এলাকার কেউ ভয়ে বের হতে পারেনি। পরে ওসি মিডিয়াকে খবর দিয়ে জানিয়ে দেয়, যৌথবাহিনীর সাথে বন্দুকযুদ্ধের সময় জামায়াত-শিবিরের দু’জন মারা গেছে। এটি সম্পূর্ণ একটি বানোয়াট নাটক ছাড়া অন্য কিছুই নয়। ২৫ জানুয়ারি তারা কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা ইউনিয়নের ইন্দ্রনগর জামায়াত নেতা মাওলানা আকবার আলীকে বাড়িতে না পেয়ে তার প্রাইভেটকারটি ও ঘরের আসবাব পত্র ভাংচুর করে। একই সময় পূর্বনলতার জামায়াত নেতা ওসমান আলীকে বাড়িতে না পেয়ে আরএক্স ইয়ামাহ মোটরসাইকেলটি ও এক ভরি ওজনের স্বর্ণের অলংকার ওসি আলী আযম নিয়ে যায়। এ সময় তারা ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে। ভয়ে এলাকার কেউ কিছুই বলতে সাহস পায়নি। ১৫ ডিসেম্বর থেকে যৌথবাহিনী আওয়ামী লীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সাথে নিয়ে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের বাড়ীঘর বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিচ্ছে এবং আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিচ্ছে। আর এবার তারা নেতা-কর্মীদেরকে গুলী করে হত্যা করছে। তারা বিরোধীদল নিধনে নেমেছে। সরকারের হুকুমে পুলিশ যারে পাচ্ছে তারে গুলী করে মারছে। যেন তাদের বাংলাদেশে বাঁচার কোন অধিকার নেই। নেতৃবৃন্দ বলেন, এসব নেতা-কর্মীকে হত্যা করে যৌথবাহিনী বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং মানবধিকারকে হত্যা করছে। নেতৃবৃন্দ এই জঘন্য, বর্বর, ঘৃণ্য এবং আইন ও গণতন্ত্র বহির্ভূত হত্যার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানান।