কোস্টাল লাইভলিহুড অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল অ্যাকশন নেটওয়ার্ক (ক্লিন) এবং বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ইকোলজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিডব্লিউজিইডি)-এর সহযোগিতায় সাতক্ষীরায় চীনা নববর্ষ ২০২৫ উদযাপন করেছে।
এই অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সাংস্কৃতিক বিনিময় প্রচার এবং টেকসই ভবিষ্যতের জন্য নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগের আহ্বানের অংশ। সকাল ১০ টায় সাতক্ষীরা জেলা পাবলিক লাইব্রেরীর সামনে হতে এক বর্ণাঢ্য র্যালী ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
“পুনর্জীবন, সমৃদ্ধি এবং টেকসই উন্নয়ন” থিমের অধীনে, এই আয়োজনটি বিভিন্ন খাতের অংশীদারদের একত্রিত করেছে। এটি নবায়নযোগ্য শক্তিতে রূপান্তরের জরুরি প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে, যা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে সাতক্ষীরার মতো ঝুঁকিপূর্ণ উপকূলীয় এলাকাগুলির জন্য।
উদযাপনের অংশ হিসেবে, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ এবং নবায়নযোগ্য শক্তি থেকে প্রাপ্ত সুযোগ নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় নেতারা এবং বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশে সবুজ প্রযুক্তি উন্নয়নে চীনের সঙ্গে অংশীদারিত্বের গুরুত্বও তুলে ধরেন।
স্বদেশ সাতক্ষীরার নির্বাহি পরিচালক মাধব চন্দ্র দত্ত বলেন, “চীনা নববর্ষ পুনর্জন্ম এবং স্থিতিস্থাপকতার প্রতীক, যা জলবায়ু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়ে আমাদের সম্প্রদায়ের সঙ্গে গভীরভাবে মিলে যায়।”
ফোরাম অন ইকোলজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সাতক্ষীরার আব্দুস সামাদ, স্বপন পান্ডে, জয় সরদার, উমা হোড়, মাইদা মিজান, সাংবাদিক রাহাত রাজাসহ বিভিন্ন ছাত্র শিক্ষক পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন, “সাতক্ষীরার জনগণ জলবায়ু পরিবর্তনের ফ্রন্টলাইনে রয়েছে। এমন উদ্যোগগুলো নবায়নযোগ্য শক্তি সমাধানের মাধ্যমে একটি টেকসই ভবিষ্যত গড়ার জন্য আশা এবং সহযোগিতার বার্তা দেয়।”
স্থানীয় জনগণ, পরিবেশবিদ, শিক্ষার্থী এবং সাংবাদিকদের অংশগ্রহণে এই আয়োজনটি একটি সবুজ, টেকসই বাংলাদেশের প্রয়োজনীয়তার প্রতি একত্রিত প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করে। প্রেসবিজ্ঞপ্তি