সাতক্ষীরায় জাতীয় মহিলা সংস্থার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কর্মচারীদের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ

শ্যামনগর প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরা’র সুন্দরবন উপকূল শ্যামনগর উপজেলার মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে জাতীয় মহিলা সংস্থার তৃণমূল পর্যায়ে অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে নারী উদ্যোক্তাদের বিকাশ সাধন প্রকল্পের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে চেয়ার চুরির অভিযোগ উঠেছে দুই প্রশিক্ষকের বিরুদ্ধে।

অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা যায় শ্যামনগর সদরের নকিপুর কাচাঁ বাজার সংলগ্ন হায়বাতপুর গ্রামের উমায়ের হোসেন নামের এক কম্পিউটার প্রশিক্ষকের বাড়ির ভিতরে একটা রুমে ৫ টি ট্রেনিং চেয়ার প্লাস্টিকের বস্তা দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। তার কাছে চেয়ারের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে বলেন মহিলা অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের, হাফিজ ও নাহিদ স্যার। আমার এখান থেকে ১ মাস আগে বিকাল টাইমে ফোন দিয়ে বলে আপনার ওখানে ভ্যানে করে চেয়ার পাঠাচ্ছি, একটু নামিয়ে নেন। কিছুক্ষণ পরে একটা ভ্যান ওয়ালা চেয়ার রেখে যায়। এবিষয়ে তাদের কাছে জিজ্ঞেস করেন।
খোঁজখবর নিয়ে জানা যায় চেয়ার সরানো দুই ব্যক্তি হলেন শ্যামনগরের জাতীয় মহিলা সংস্থার তৃণমূল পর্যায়ে অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে নারী উদ্যোক্তাদের বিকাশ সাধন প্রকল্পের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ইন্টেরিয়ার ডিজাইন ট্রেডের প্রশিক্ষক হাফিজুর রহমান ও বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ট্রেডের প্রশিক্ষক নাহিদ হাসান।

এ বিষয়ে জানার জন্য নাহিদ হাসানের কাছে একাধিকবার ফোন করলে তিনি রিসিভ করেননি হাফিজ রহমানের কাছে ফোন করে জিজ্ঞেস করলে বলেন আপনি অফিসে আসেন কথা বলছি। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বেলা ১২ টার সময় হাইবাতপুর গ্রামের মরহুম প্রফেসর মোনাজাত হোসেনের বাড়ির দুই তালায় অবস্থিত অফিসে গিয়ে হাফিজুর রহমানের কাছে জানতে চায়লে তিনি চাকরির পাশাপাশি সাংবাদিকতা করেন পরিচয় দিয়ে বলেন ৫ আগস্টের পরে কোটি কোটি টাকার জিনিস পত্রের ঝামেলা আছে সেসব বাদ দিয়ে কয়টা চেয়ার নিয়ে পড়ে আছেন। বলে তার বিরুদ্ধে চেয়ার সারানোর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন আমি এ বিষয় কিছু জানিনা।
যে বাড়িতে চেয়ার গুলো পাওয়া গেছে সেই বাড়ির একজন নারী ক্যাটারিং ও ইন্টেরিয়র ডিজাইন বিসয়ে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন উমায়ের স্ত্রী মেহেরুন নেছা।

যেখানে শ্যামনগরের শিক্ষিত বেকার অসহায় নারীরা একাধিক বার আবেদন করে কাজ করতে পারছে না। সেখানে অফিসের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে অর্থ বাণিজ্যের বিনিময়ে জাতীয় মহিলা সংস্থা’র অধিনে তৃণমূল পর্যায়ে অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে নারী উদ্যোক্তাদের বিকাশ সাধন প্রকল্পে আওতায় হায়বাতপুর গ্রামের উমায়ের স্ত্রী মেহেরুন নেছা তিন তিনটি ট্রেডে কাজ করেছেন, বিজনেস ম্যানেজমেন্ট, ক্যাটারিং ও ইন্টেরিয়র ডিজাইন (চলমান) কাজ চলছে। এটি দুঃখজনক বলে প্রকাশ করেছে অন্যান্য আবেদনকারীরা

প্রকল্পের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা শাহেদ আহমেদ এর বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অভিযোগ ট্রেনিং নিতে আসার প্রশিক্ষনে দের সাথে আচরণ অসন্তুষ্ট জনক, তার বিরুদ্ধে নারীদের প্রতি খারাপ আচরণের অভিযোগ রয়েছে। যা ইতিপূর্বের কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির দীর্ঘ দিন কাজ করলেও তার বিরুদ্ধে শোনা যায়নি। অফিসের মালামাল সারিয়ে চুরির ঘটনায় খোপ প্রকাশ করেছেন।

প্রকল্পের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা শাহেদ আহমেদ বলেন আমি বাহিরে আছি আমি বিষয় টা নিয়ে হালকা পাতলা শুনেছি বিষয় টা নিয়ে উর্ধতন কর্মকর্তা কে জানানো হবে।

গোলাম মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ, মাঠসমন্বয়কারী।
জাতীয় মহিলা সংস্থার উপজেলা কর্মকর্তা এই ঘটনার সাথে জড়িত। একটি নির্ভরশীল সূত্র জানায় চেয়ার সরানোর পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির ও অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে জাতীয় মহিলা সংস্থার উপজেলা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন এ বিষয় কিছু জানিনা ওটা একটা প্রকল্প আর আমি অন্য অধিদপ্তরে চাকরি করি।

Check Also

বিজিবি-বিএসএফের উদ্যোগ সীমান্তে শূন্যরেখায় মাকে শেষবিদায় জানালেন শরীফা

সাতক্ষীরার ভোমরা ইমিগ্রেশনের শূন্যরেখা; গতকাল বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টা। বিজিবির উপস্থিতিতে একটি অ্যাম্বুলেন্স এসে থামল। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।