আছিয়া বেগম (৮০) দেবহাটা উপজেলা সদরের মৃত আহম্মদ আলীর স্ত্রী। গতকাল বুধবার ভোরে বার্ধক্যজনিত রোগে আছিয়া বেগমের মৃত্যু হয়। এ দম্পতির ছয় ছেলেমেয়ে। এর মধ্যে শরীফা বেগমের বিয়ে হয়েছে ভারতের বসিরহাট মহকুমার হরিপুর গ্রামে। তিনি এখন ওই দেশের নাগরিক। ভিসা না থাকায় মায়ের মৃত্যুর খবর শুনেও শরীফা বাংলাদেশে আসতে পারছিলেন না। পরে শরীফা ও তাঁর স্বজনদের আবেদনে সাড়া দেয় দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফ। শেষবারের মতো মায়ের মুখ দেখার সুযোগ পান শরীফা।

বিজিবি ও বিএসএফের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মেহেদি হাসান বলেন, ‘দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর এ উদ্যোগ সম্প্রীতির বড় উদাহরণ। এভাবে সম্প্রীতির মধ্য দিয়ে চলতে চায় সীমান্তের মানুষ। বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তের লোকজনের উভয় দেশে আত্মীয়স্বজন আছে। মৃত্যুর মতো এ রকম পরিস্থিতি যদি ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ কয়েক ঘণ্টার জন্য ভিসা কিংবা দেখা করার অনুমতির ব্যবস্থা করে, তাহলে সবার জন্য সুবিধা হয়।’
বিজিবির ভোমরা কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আফজাল হোসেন খান আজ বৃহস্পতিবার মুঠোফোনে বলেন, আছিয়া বেগম মারা যাওয়ার পর তাঁর নাতি মেহেদি হাসান একটি মানবিক আবেদন জানিয়েছিলেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের নির্দেশনামতো ভারতের ঘোঝাডাঙ্গা কোম্পানি কমান্ডার এসি নবীন কুমারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। দুই বাহিনীর মধ্যস্থতায় ভারতের নাগরিক শরীফা বেগম তাঁর মাকে শেষবারের মতো দেখতে পেলেন।
আফজাল হোসেন খান আরও বলেন, ‘এর আগে কখনো এমন ঘটনা ঘটেনি। এ মহতি উদ্যোগে শরিক হতে পেরে আমি আনন্দিত ও গর্বিত।’