পরিবর্তন আসছে উপদেষ্টা পরিষদে : মার্চে নির্বাচন ও সংস্কারের রূপরেখা রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ

॥ ফারাহ মাসুম ॥
উপদেষ্টা পরিষদের নতুন বিন্যাসে অন্তত তিন উপদেষ্টা বিদায় নিয়ে ৪ জন নতুন করে অন্তর্ভুক্ত হতে যাচ্ছেন। তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এবং স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বিদায় নিয়ে ছাত্রদের নতুন দল গঠনের প্রচেষ্টায় যুক্ত হচ্ছেন। স্বাস্থ্যগত কারণে শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদও বিদায় নিতে পারেন। এর আগে ভূমি উপদেষ্টা হাসান আরিফ মৃত্যুবরণ করার পর নতুন কোনো উপদেষ্টা নেয়া হয়নি। ছাত্রদের রাজনৈতিক দল গঠনের উদ্যোগের পর তাদের কোনো প্রতিনিধি উপদেষ্টা পরিষদে থাকার বিষয়ে এর আগে বিএনপির পক্ষ থেকে আপত্তি জানানো হয়। তখনই বলা হয়, ছাত্র উপদেষ্টারা রাজনৈতিক দলের সাথে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হলে তারা সরকার থেকে সরে দাঁড়াবেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্যানুসারে, তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ছাত্রদের নতুন সংগঠনের আহ্বায়ক বা সভাপতি হতে পারেন। আসিফ মাহমুদ দলের যুগ্ম আহ্বায়ক বা সাধারণ সম্পাদক হতে পারেন। এর বাইরে অন্য ছাত্র উপদেষ্টা মাহফুজ আলম আপাতত ছাত্রদের দলের আনুষ্ঠানিক কোনো উদ্যোগে যুক্ত হচ্ছেন না। ফলে আরো কিছুদিন তিনি উপদেষ্টা পরিষদে থেকে যেতে পারেন। চলতি মাসেই এ দলের আত্মপ্রকাশ ঘটতে পারে।
এদিকে ছাত্ররা গণহত্যাকারীদের বিচারের আগে নির্বাচনের বিরোধিতা করলেও ফ্যাসিবাদবিরোধী বড় রাজনৈতিক দলগুলোর দাবির প্রেক্ষিতে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে যেতে পারে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকেও ডিসেম্বর বা জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতির কথা বলা হয়েছে। সরকারের গঠিত নির্বাচন সংস্কার সংক্রান্ত কমিশন অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের আগেই স্থানীয় সরকার পরিষদের নির্বাচনের সুপারিশ করে। এমনকি এ কমিশন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের মেয়াদকে ৪ মাস করে প্রতিটি সময়ে জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করার সুপারিশ করেছে। কমিশন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর এক জরিপের উল্লেখ করে বলেছে, ৬৫ শতাংশ মানুষ অন্তর্বর্র্তী বা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের পাশাপাশি স্থানীয় সরকারসমূহের নির্বাচন চায়।
সরকারের পক্ষ থেকে আগামী ডিসেম্বর বা পরবর্তী জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলা হলেও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ব্যাপারে কোনো কিছু বলা হয়নি। ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আলোচনা শুরু করছেন। সরকারের গঠিত ৬ কমিশনের প্রধানগণ এ কমিশনের সদস্য। সরকার চাচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করতে। এ ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টাকে সহযোগিতা করার জন্য সাংবাদিক মনির হায়দারকে বিশেষ সহকারী নিয়োগ করা হয়েছে।
সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে বেশকিছু মৌলিক সংস্কারের প্রস্তাবনা দিয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সংবিধান, নির্বাচন ও জনপ্রশাসন সংক্রান্ত সংস্কার কমিশন। সংবিধান সংক্রান্ত সংস্কার কমিশন যেসব সুপারিশ করেছে, তাতে সংবিধানে ব্যাপক পরিবর্তন আনার প্রয়োজন হবে। সংবিধান পুনঃলিখন করে এ পরিবর্তন আনা হবে নাকি সংশোধনের মাধ্যমে সেটি সম্ভব, তা নিয়ে সুস্পষ্ট কোনো বক্তব্য নেই তাতে। পুনঃলিখন করতে হলে সংবিধানের একটি কাঠামোগত রূপের খসড়া করে সেটি রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ আকারে জারি করে সাময়িকভাবে কার্যকর করতে পারেন এবং তার ভিত্তিতে নির্বাচন করতে পারেন। আর প্রথম নির্বাচনে যারা সংসদের সদস্য হবেন, তারা গণপরিষদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হবেন। আনুষ্ঠানিকভাবে সংবিধান গ্রহণ করার পর তারা মেয়াদের বাকি সময় সরকার পরিচালনা করতে পারেন। এ কমিশন সরকারের মেয়াদ চার বছর করার কথা বলেছে।
সংবিধান সংস্কারের এ প্রক্রিয়া অনুসরণ না হলে সংশোধনগুলোর যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হবে, সেসব বিষয়ে অধ্যাদেশ জারি করে সংশোধন সাময়িকভাবে কার্যকর করা হতে পারে। আর নতুন সংসদ বসে সেসব সংশোধনী অনুমোদনের মাধ্যমে কার্যকর করতে পারে। কোন পদ্ধতিতে সংবিধান সংশোধন বা পুনঃলিখন হবে, সেটি বহুলাংশে নির্ভর করবে রাজনৈতিক ঐকমত্যের ওপর। বিএনপি এখন পর্যন্ত যেসব বক্তব্য দিচ্ছে, তাতে মৌলিক সংস্কার না করে তারা নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে বলে মনে হয়। তাদের বক্তব্য অনুসারে নির্বাচিত সরকার এসেই সংস্কার কার্যকর করবে। জামায়াতসহ অন্য দলগুলোর বেশিরভাগই মনে করে, মৌলিক সংস্কারসমূহ নির্বাচনের আগেই হয়ে যাওয়া উচিত।
সংস্কারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় কাজ হবে সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে একমত হওয়া। দৃশ্যত বিএনপি দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠান করে ক্ষমতায় যাওয়ার বিষয়কে বেশি অগ্রাধিকার দিচ্ছে। এজন্য সরকারকে চাপে রাখতে এর মধ্যে জেলায় জেলায় সমাবেশ অনুষ্ঠানের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এ কর্মসূচির প্রধান দাবি হচ্ছেÑ গণতন্ত্রের পথে দ্রুত অগ্রসর হওয়া এবং নিত্যপণ্যের দাম কমানো। বিএনপি এক্ষেত্রে একদিকে সরকারকে চাপে রাখতে চাইছে; অন্যদিকে অন্তর্বর্র্তী সরকার ভেঙে পড়ে অন্য কোনো সরকার চলে আসুক, সেটিও চাইছে না। বিএনপি যখন আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করছে সেই একই সময় কর্মসূচি দিয়েছে আওয়ামী লীগও। হরতাল-সহিংসতানির্ভর আওয়ামী কর্মসূচির মূল দাবি বানানো হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের পতন ঘটিয়ে হাসিনাকে ক্ষমতায় ফেরানো। আর বিএনপি চাচ্ছে দ্রুত একটি নির্বাচন করে ক্ষমতায় যেতে। বিএনপির আকাক্সক্ষা বাস্তবায়ন করতে হলে আওয়ামী লীগের অগ্রসর হওয়ার সুযোগ দেয়ার অবকাশ নেই। এখানে বিএনপি কিছুটা ডিলেমায় রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এখন পর্যন্ত দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার পরিবর্তনের বিষয়ে প্রতিবেশী ভারতীয় লবির সমর্থন রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। এ সমর্থনের কারণে প্রশাসনে আগের সরকারের বেনিফিশিয়ারিদের পরিবর্তনের বিষয়ে বিএনপি খুব একটা আগ্রাসী ভূমিকা নিতে চায় না। বাংলাদেশ ব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন পদে যেসব নিয়োগ এ সময়ে হয়েছে, তাদের অনেকে আগের সরকারের সাথে সম্পর্কিত হলেও বিএনপির সমর্থনে তাদের এ নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের সাথে বিএনপির সরাসরি কোনো যোগসূত্র না থাকলেও ভারতীয় লবির মাধ্যমে এক ধরনের সমন্বয় হয় বলে মনে করা হয়। তবে বিএনপি অচলাবস্থা সৃষ্টি করে এ সরকারের পতন ঘটানোর কোনো আওয়ামী উদ্যোগ সফল হোক, সেটি চাইছে বলে মনে হয় না। দলের ভারপ্রাপ্ত প্রধানসহ একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে কোনোভাবে ব্যর্থ হতে দেয়া যাবে না। দলটি মনে করে, ড. ইউনূস সরকারের কাজ চালিয়ে যাওয়া মানে হলো একটি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার পরিবর্তন আর ব্যর্থতা মানে হলো আরেকটি সরকার ক্ষমতায় আসা, যেটি পরবর্তী নির্বাচনকে অনিশ্চিত করে তুলবে।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কৌশল বিপরীতমুখী হলেও প্রতিবেশী দেশটির সমর্থন কোন দিকে রয়েছে, তা নিয়ে রয়েছে অনেক সংশয়। ধারণা করা হচ্ছে প্রতিবেশীরা তাদের ডিমগুলো বহু ঝুড়িতে রাখার কৌশল নিয়েছে। ছাত্রদের রাজনৈতিক শক্তি এবং ইসলামিস্টদের তারা প্রধান শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করে কৌশল সাজিয়েছে। তাদের একটি অপশন হলো সহিংসতা ও সন্ত্রাসের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটানো গেলে সেক্ষেত্রে ভারতপন্থী জেনারেলদের মাধ্যমে হস্তক্ষেপ ঘটিয়ে সরকারের পরিবর্তন আনা। এ সরকার আওয়ামী লীগ বা ভারত কোন পক্ষের এজেন্ডা এগিয়ে নিতে সহায়ক হবে।
সেটি সম্ভব না হলে দ্বিতীয় অপশন হলো দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে ইউনূস ও ছাত্রনেতৃত্বকে ক্ষমতায় প্রভাব বিস্তারের আসন থেকে সরিয়ে এমন রাজনৈতিক নেতৃত্বকে স্টিয়ারিংয়ে নিয়ে আসা, যারা প্রতিবেশীদের সাথে বোঝাপড়া করেই মানে নতজানুনীতিতে রাষ্ট্র চালাবে। এ হিসেবে বিএনপি নেতৃত্বের সাথে গভীর যোগসূত্র বজায় রাখা হচ্ছে। একই সাথে তাদের ক্ষমতায় আসার ক্ষেত্রে সব ধরনের সহযোগিতা করার কথা বলা হচ্ছে কিছু শর্ত পালনের বিনিময়ে। যার মধ্যে প্রধান শর্তগুলো হচ্ছে ভারতের সাথে সম্পাদিত হওয়া চুক্তিগুলো বহাল রাখা এবং ইসলামিস্ট শক্তির সাথে নির্বাচন বা ক্ষমতার শেয়ারিংয়ে না যাওয়া।
ভারতীয় লবি তাদের প্রভাব-বলয়ে থাকা সেনা কর্মকর্তাদের সংগঠিত করে রাজনৈতিক ময়দানে নিয়ে আসার তৃতীয় এক ঝুড়িতে বিনিয়োগের খবরও পাওয়া গেছে। এর অংশ হিসেবে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) ইকবাল করিম ভূইয়া, জেনারেল (অব.) হাসান সোহরাওয়ার্দী, জেনারেল আবু বেলাল শফিউল হকসহ অনেক সিনিয়র অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করা হয়েছে। এই দল গঠনের ঘোষণার আগে জেনারেল ইকবাল করিম ভূইয়া ১৭ পর্বের একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে ৫ আগস্টের বিপ্লবকে লক্ষ্যচ্যুত ও বিকলাঙ্গ ফল বহনকারী হিসেবে তুলে ধরে নিজেদের প্রাসঙ্গিকতা বাড়াতে চেষ্টা করেছেন। তিনি ছাত্রদের রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃত্বের আসনে যেতে ব্যর্থ হয়ে এখন নতুন দল গঠন করতে চাইছেন বলেও কেউ কেউ মনে করছেন।
রাজনৈতিকভাবে বাংলাদেশ কোন মুখী হবে, সে বিষয়টি মার্চের মধ্যে একটি রূপ নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চলতি মাসেই রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে প্রধান উপদেষ্টা বৈঠক শুরু করবেন। এ সিরিজ বৈঠকের মাধ্যমে সংস্কারের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার একটি ফর্মুলায় পৌঁছার চেষ্টা করবে বলে মনে হচ্ছে। এক্ষেত্রে সংবিধান সংশোধনের ইস্যু ছাড়াও কোন নির্বাচন আগে করা হবে, সেই ইস্যুটি সামনে চলে আসবে। বিএনপি আগে জাতীয় নির্বাচন করে সরকার গঠন করতে সক্ষম হলে সেই সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত স্থানীয় নির্বাচনে সরকারের আধিপত্য থাকবে বলে আশা করে। আর আগে স্থানীয় নির্বাচন হয়ে গেলে সে নির্বাচনে দেশে বিদ্যমান জনমতের একটি প্রকাশ হতে পারে, যেখানে রাজনৈতিক দলের চেয়েও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিরাই বেশি জয়ী হতে পারেন। বিএনপি নেতৃত্বের ধারণা, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিএনপি আশানুরূপ ভালো নাও করতে পারে। জামায়াত স্থানীয় সরকারের ব্যাপারে জোরালো কোনো অবস্থান ব্যক্ত না করলেও অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে তারা এ নির্বাচন হওয়াকে ভালো মনে করে। এতে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে জামায়াত ভালো ফল করতে পারে বলে আশা করে। এ প্রত্যাশা বাস্তবে রূপ নিলে এর একটি প্রভাব পরবর্র্তী নির্বাচনে পড়তে পারে। তবে জামায়াত এ ধরনের ইস্যু নিয়ে বিএনপির সাথে কোনো দৃশ্যমান সংঘাতে যুক্ত হতে চায় বলে হয় না।
এখন পর্যন্ত রাজনীতির যে দৃশ্যপট দেখা যাচ্ছে, তাতে বিএনপি জুলাই-আগস্টে নির্বাচনের কথা বলে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়টি নিশ্চিত করতে চাইছে। সেইসাথে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে না করে পরবর্তী সরকারের অধীনে করবে। বড় কোনো সংস্কারে না গিয়ে কসমেটিক টাইপের কিছু সংস্কার করে নির্বাচনে যেতে চাইছে দলটি। সেটি সম্ভব না হলে যতটা কম সংস্কারের বিষয়ে সম্মতি প্রকাশ করা যায়, সেটি করতে চাইবে। তাদের এ অবস্থানকে শক্তিশালী করার জন্য ফ্যাসিবাদবিরোধী কিছু রাজনৈতিক দলকে তাদের সাথে আনতে চাইবে, যাদের প্রয়োজনে নির্বাচনী সমঝোতায় আনা হতে পারে কিছু আসনে ছাড় দিয়ে।
জামায়াত বিভিন্ন ইসলামী দল এবং সমমনা জাতীয়তাবাদী দলগুলোকে নিয়ে একটি জোট অথবা আসন সমঝোতার বোঝাপড়া তৈরির বিষয়ে ভাবতে পারে। বিএনপির সাথে আসন সমঝোতার বিষয় অন্য পক্ষ থেকে সাড়া না পাওয়ার সম্ভাবনা বেশ কম বলে মনে হয়।
ছাত্রদের রাজনৈতিক শক্তি গঠনের বিষযটি এখনো প্রক্রিয়াধীন থাকায় তাদের কেন্দ্র করে কী মেরুকরণ হবে, সেটি স্পষ্ট নয়। জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলে সেক্ষেত্রে রাজনৈতিক পক্ষগুলোর একটি অবস্থান স্পষ্ট হতে পারতো। আর সেক্ষেত্রে একটি রাজনৈতিক মেরুকরণ ও বৃহত্তর নির্বাচনী ঐক্য তৃতীয় ও দ্বিতীয় রাজনৈতিক শক্তির মধ্যে হয়ে থাকতে পারে।
আগামী মার্চে সরকার নির্বাচন ও সংস্কার নিয়ে স্পষ্ট রূপরেখা ঘোষণা করার যে কথা বলেছে, তাতে ভবিষ্যতের একটি চিত্র পাওয়া যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ সময়ের অনেক কিছু ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্বরূপ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এ সময়ে সকল পক্ষেরই পরিণামদর্শী হওয়ার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।

 

Check Also

জাতীয় স্বার্থের জায়গায় সবাইকে এক হওয়ার আহ্বান ডা. শফিকুরের

রাজনীতিবিদ ও বিশিষ্ট নাগরিকদের সম্মানে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।