মোস্তাকীম হোসাইন,ধুলিহর: ধুলিহর হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.)ইসলামিয়া মাদ্রাসায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপিত হয়েছে।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে র্যালি,আলোচনা-সভা,বিশেষ দোয়া-মোনাজাতসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে উদযাপন করা হয়েছে দিবসটি।
আলোচনা-সভা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অত্র প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা ওসমান গণি।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন মাওলানা মনিরুল ইসলাম বিলালী, মাওলানা আব্দুস সবুর,সহকারী শিক্ষক ফরিদ উদ্দিন মাসউদ,আরিফুল ইসলাম,মেহেরুল্লাহ, আবুল হাসান,খালিদ সাইফুল্লাহ সহ মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ।
এসময় বক্তারা ১৯৫২ সালের ইতিহাস স্মরণ করে বলেন, ভাষা আন্দোলন ছিল ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রথম ধাপ। তৎকালীন পাকিস্তানের শতকরা ৫৬ জন মানুষের মুখের ভাষা ছিল বাংলা।তার পরেও ভাষার প্রশ্নে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেছিলো উর্দু এবং একমাত্র উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা।তার বক্তব্যের প্রতিবাদে ছাত্র-জনতা ফেব্রুয়ারির ২১ তারিখ ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে রাজপথে মিছিল বের করে।
আইন ভঙ্গের দায়ে পুলিশ মিছিলে গুলি করে। শহীদ হন সালাম,রফিক,জব্বার, সফিক, বরকত সহনাম না জান আরো অনেকে।তাদের সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছিলাম বাংলা ভাষা।
এ সময় উপস্থিত শিক্ষার্থীদের ইতিহাস জানানোর উদ্দেশ্যে বক্তারা আরো বলেন, ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস করার প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। এ ব্যাপারে বিশ্বের ১৮৮টি দেশ সমর্থন জানালে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
তারই ধারাবাহিকতায় ২০০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে দিবসটি বাংলাদেশ সহ জাতিসংঘের সদস্যদেশসমূহে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়ে আসছ।
অনুষ্ঠানের শেষে দোয়া-মোনাজাতে উপস্থিত সকলে ১৯৫২ সালের ভাষা শহীদ এবং ২০২৪ সালের বিপ্লবে নিহত সকল ছাত্র জনতার জন্য আল্লাহর কাছে জান্নাতের সর্বোচ্চ সম্মাননা কামনা করেন।