নিজস্ব প্রতিনিধি : সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষক না হয়েও জালিয়াতির মাধ্যমে এমপিও ভুক্ত করানোর অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় সাতক্ষীরা এড. আব্দুর রহমানের কলেজের তিন শিক্ষকের এমপিও বাতিল এবং বেতনভাতা সরকারি কোষাগারের ফেরতের দাবি উঠেছে। এঘটনায় দ্রæত ব্যবস্থা নিতে কলেজে গভর্নিং বর্ডির সভাপতি ও সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোয়াইব আহমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন উক্ত কলেজের একজন প্রভাষক।
অভিযোগে জানা গেছে, কলেজের প্রভাষক সুরাইয়া সুলতানা ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক হলেও জালিয়াতির মাধ্যমে গার্হস্থ্য অর্থনীতিতে এমপিও করিয়েছেন। একইভাবে কলেজের ইসলামের ইতিহাসের প্রভাষক হুমায়ুন কবির এমপিও করিয়েছেন পরিসংখ্যান এবং ভ‚গোলের প্রভাষক শাহাজান কবির এমপিও করিয়েছেন অর্থনীতি ও বাণিজ্যিক ভ‚গোলে। অভিযুক্ত সুরাইয়া সুলতানা বেতনভাতা সরকারি কোষাগারে ফেরত না দিয়ে উল্টো বহিরাগত সন্ত্রাসী দিয়ে কলেজে আধিপাত্য বিস্তারের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে ওই তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় তাদের এমপিও বাতিল এবং তাদের উত্তোলিত বেতনভাতা সরকারি কোষাগারে ফেরতের জন্য বিগত ২০১৭ সালের ২ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয় যশোর শিক্ষা বোর্ডকে চিঠি দেন। ওই চিঠির প্রেক্ষিতে ২০১৭ সালের ৩০ জুলাই যশোর শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অমল কুমার বিশ^াস স্বাক্ষরিত একপত্রে কলেজের গভার্নিং বডির সভাপতিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ বাস্তবায়ন করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করেন। এছাড়া তৎকালিন অধ্যক্ষসহ ৪ শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে পিডিআর এ্যাক্ট ১৯১৩ এ মামলা করার জন্যও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অজানা কারনে ৭বছর অতিবাহিত হলেও কলেজ কর্তৃক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সে নির্দেশ বাস্তবায়ন করেননি। তাদের বেতন ভাতা ফেরতের কার্যক্রম তো দূরের কথা এমপিও বাতিলের জন্যও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।
এবিষয়ে অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুরাইয়া সুলতানার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এসব বিষয়ে কলেজে এসে কথা বলেন। ফোনে তো সব কিছু হয় না।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোয়াইব আহমাদ বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটি ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে।
