ক্রাইমবাতা রিপোটঃ সাতক্ষীরা জেলা মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যত্রম জাতীয়করন না করে আউটসোসিং করার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৩ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে
সাতক্ষীরা জেলা শ্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে শতশত শিক্ষক ও শিক্ষিকারা মানব বন্ধনে অংশ নেয়। মানববন্ধনে দাবী দাওয়া তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন, ফিল্ড অফিসার শাহজান সিরাজ, আবু হানিফ প্রমুখ।
পরে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারক লীপি প্রদান করা হয়।
স্মারক লিপিটা হলো-
মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
মাধ্যম: জেলা প্রশাসক, সাতক্ষীরা।
স্মারক লিপি
ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ৩২ বছর যাবৎ চলমান মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম (৭ম পর্যায়) শীর্ষক সমাপ্ত প্রকল্পের জনবলকে রাজস্বকরণ ও আউটসোর্সিং এর আওতাধীন না করে দ্রুত প্রস্তাবিত ৮ম পর্যায়ে প্রকল্প অনুমোদন।
মহোদয়,
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ।
মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পটি ১৯৯৩ সাল থেকে শুরু হয়ে ৭ম পর্যায় (৩১/১২/২০২৪ খ্রি.) পর্যন্ত অত্যন্ত সফলতা ও সুনামের সাথে সারা দেশব্যাপী ৭৩,৭৬৮টি শিক্ষা কেন্দ্র ও ২,০৫০টি রিসোর্স সেন্টারের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়েও বর্তমানে এর কার্যক্রম চলমান রয়েছে। দেশব্যাপী বৈষমা বিরোধী ছাত্র জনতার গণ আন্দোলনের মাধ্যমে বৈষম্যের স্বীকার হওয়া চাকরিজীবী ও আমজনতার উপর জগত্বল পাথরের মতো চেপে বসা বৈষম্যের অবসান হতে শুরু হয়েছে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন “মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকয়টি জাতীয় শিক্ষানীতির আলোকে সাড়া দেশের মসজিদ অবকাঠামো ব্যবহার করে দারিদ্র, সুবিধা বঞ্চিত ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিশুষেরকে বিনামূল্যে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির হার বৃদ্ধি, শিক্ষার্থী যারে পড়া রোধ, কিশোর কিশোরী ও বয়স্কদের পবিত্র কুরআন শিক্ষা, নৈতিকতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ শিক্ষা দান করে আসছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন, আলেম ওলামা ও সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত বেকার নারী ও পুরুষের দারিদ্র্যতা দূরীকরণ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টি মানবিক ও নৈতিকতায় উন্নয়ন, সামাজিক নিরাপত্তা নেটওয়ার্ক তৈরি করা, সরকারের উন্নয়ন কৌশল সম্পর্কে জনগণকে ধারণা প্রদান ও উন্নয়নকর্মসূচীতে সম্পৃক্তকরণে এ প্রকল্পটি ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে।
সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি ধর্ম ও নৈতিকতা শিক্ষার একটি জনগুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হিসেবে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রকল্পে নিয়োজিত জনবল অত্যন্ত দক্ষতা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া জঙ্গীবাদ-সন্ত্রাস প্রতিরোধ, যৌতুক ও বাল্য বিবাহ রোধ, ইভটিজিং, যৌন নির্যাতন, নারী ও শিশু পাচার, মাদক ও চোরাচালান রোধসহ জনসাধারণের ইতিবাচক মনোভাব তৈরিতে ইমামদের মাধ্যমে মসজিদে জুমার মুৎযায় আলোচনা, সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে আলেম-ওলামাদের অংশগ্রহণ, কোভিত ১৯ কারোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মৃত ব্যাক্তিদের জানাযা, কাফন দাফন ইত্যাদি পুরুম্পূর্ণ কাজ সম্পাদন করে আসছে।
প্রকল্পের ১ম ও ২য় পর্যায়ে নিয়োগপ্রাপ্ত অনবদ ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক ১৫/০৬/২০১৮খ্রি আরিখে জারীকৃত পত্রের মাধ্যমে ভূতাপেক্ষভাবে ০১/০৭/২০০০খ্রি থেকে রাজস্বখাতের আওতাভুক্ত হয়েছে। প্রকল্পের ৩য়, ৪র্থ, ৫ম ৬৪ ও ৭ম পর্যায়ের জনবল দীর্ঘদিন কাজ করার পরও তাদেরকে রাজস্বখাতের আওতাভুক্ত করা হয়নি। চাকগ্রা জীবনে ১৯৯৩ সাল থেকে পর্যায়ক্রমে পরবর্তীতে নিয়োগ প্রাপ্ত কোন জনবলের পদোন্নতি হয়নি।
প্রকল্পের ৭টি পর্যায় সফলতার সাথে বাস্তবায়িত হওয়ার পরও প্রকল্পের ৩য়, ৪র্থ, ৫ম, ৬৪ ও ৭ম পর্যায়ের জনবল রাজস্ব খাতভূক্ত করা হয়নি। জনগুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পটি দীর্ঘ ৩২ বছর যাবত চলমান থাকলেও প্রকল্পে কর্মরত জনবলের মূল বেতন বছর বছর কখনো বৃদ্ধি করা হয়নি। সরকারের প্রতিটি দপ্তরের কর্মচারীদের মত সমহারে কাজ করেও কেবলমাত্র প্রকল্পে কর্মরত থাকার কারণে বেতন বৈষমোর স্বীকার হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে। প্রকল্পের বিদ্যমান জনবল অন্যত্র চাকুরীর বয়স হারিয়ে প্রকল্প শেষে চাকুরী হারানোর ভয়ে চরম হতাশায় জীবন যাপন করছে। এছাড়া প্রকল্প কর্মরত জনবলের স্বাভাবিকভাবে ইনক্রিমেন্ট, টাইম স্কেল, পদোন্নতি না থাকায় সামাজিক মর্যাদাহানিসহ পরিবার পরিজন নিয়ে চরম অর্থ কষ্টে রয়েছে প্রকল্পের বঞ্চিত ও হতাশাগ্রস্থ অবশিষ্ট জনবলকে রাজস্বখাতে স্থানান্তরিত করা হলে তারা মাঠ পর্যায়ে সরকারের সফল পলিসি বাস্তবায়নে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে।
বর্তমানে নৈতিকতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ উন্নয়নে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম (৮ম) পর্যায় শীর্ষক প্রকল্পটি অনুমোদনের প্রক্রিয়াধীন হলেও দীর্ঘ ৩২ বছরের এই শিক্ষামূলক প্রকল্পটিকে আউটসোর্সিং করার চিন্তা ভাবনা চলছে। এখানে একটি বিষয় উল্লেখ্য যে, ৯% হিন্দুদের মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পটি আউটসোর্সিং করা হয়নি অথচ ৯০% মুসলমানের দেশে কুরআন শিক্ষা প্রকল্পকেন আউটসোর্সিং করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলে কুরআন শিক্ষার প্রকল্পটি ধধ্বংস করা হবে যা আলেম ওলামাদের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ বিশৃংখলায় দেখা দিতে পারে।
অতএব মহোদয় সমীপে সবিনয় আরজ, জনবলকে রাজস্বখাতে স্থানান্তর, কর্মী-কেয়ারটেকারদের স্কেল ভিত্তিক বেতন প্রদান ও শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধিসহ আটসোর্সিং ব্যতিরেকে প্রকল্পটি ঈদের পূর্বেই অনুমোদন পূর্বক বকেয়াসহ বেতন-বোনাস প্রদানে মহোদয়ের সদয় মর্জি কামনায় করছি।
বিনীত নিবেদক
মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কেয়ারটেকার-শিক্ষক ঐক্য পরিষদ, সাতক্ষীরা এর পক্ষে-
২০৩৬০৩
মোই হাসানুজ্জামीम ফিল্ড অফিসার ইসলামিক কাটামশন, নারকীয়।
মাঃ আবুল কালাম) মাষ্টার ট্রেইনার ইসলাহিক ভাইয়েপন সাতানীরা। সাতক্ষীয়া জেলা কার্যালয়
26/06/20 মোঃ শামসুর রহমাদ ফিল্ড সুপারভাইজার বাসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা হলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন সাতক্ষীরা।
ফিল্ড সুপারভাইজার ১ মাজিদভিত্তিক শিশু ও গর্বশিক্ষা ব্যার্যক্রম ইসলামিক ফাউন্ডেশন,
3 ফিল্ড সুপার ইসলামিক ফাউদ্রেশ