শ্যামনগরে ৯টি চোরাই মটরসাইকেল উদ্ধার, চোর চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার

সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানার পুলিশ পৃথক আভিযানে আন্তঃবিভাগীয় মোটরসাইকেল চোর চক্রের হোতাসহ চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। এসসময় তাদেও কাছ থেকে ৯টি চোরাই মটরসাইকেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৮ মার্চ) এক প্রেসব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির মোল্যা।

গ্রেপ্তারকৃত মটরসাইকেল চোররা হলেন- চক্রের মূলহোতা আবু বক্কর সিদ্দিক গাজী (৫৫), তার সহযোগী সালাউদ্দিন গাজী (৩৮), মোস্তাফিজুর রহমান নান্নু (৩৫), শাহাজাহান গাজী (৩৫) ও আতিকুর রহমান সাজু (৩৮)। তাদের বাড়ি শ্যামনগর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।

পুলিশ সূত্র জানায়, শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ এলাকার একটি মসজিদের সামনে থেকে গত ২৫ মার্চ শাহিনুল ইলাম নামে এক ব্যক্তির একটি মোটরসাইকেল চুরি হয়। এই ঘটনায় শাহিনুল ইসলামের দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে আন্তঃবিভাগীয় মোটরসাইকেল চোর চক্রের হোতাসহ চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে শ্যামনগর থানা পুলিশ। এ সময় তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শ্যামনগরের গাবুরাসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে চুরি হওয়া ৯টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

সূত্র আরো জানায়, যেসব মোটরসাইকেলে অতিরিক্ত লক থাকে না এবং দুর্বল লক সেসব মোটরসাইকেলকে টার্গেট করতো চক্রটি। এরপর তাদের কাছে থাকা মাস্টার চাবি দিয়ে ২ থেকে ৫ মিনিটের মধ্যেই মোটরসাইকেল চুরি করে পালিয়ে যেত। পরবর্তীতে ২০ থেকে ৪০ হাজার টাকায় চোরাই এসব মোটরসাইকেল বিক্রি করতো তারা।

শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির মোল্যা বলেন, গত ২৫ মার্চ উপজেলার মুন্সিগঞ্জের জয়াখালি এলাকার একটি মসজিদের সামনে থেকে শাহিনুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির মোটরসাইকেল চুরি হয়। শ্যামনগর থানায় চুরির অভিযোগ দায়ের করলে শুরু হয় তদন্ত কার্যক্রম। তদন্তের ধারাবাহিকতায় প্রথমে মুন্সিগঞ্জ এলাকা থেকে চোর চক্রের সদস্য সালাউদ্দিন গাজীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চিংড়িখালি এলাকা থেকে এই চক্রের হোতা আবু বক্কর সিদ্দিককে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাদের জিজ্ঞাসাবাদে উপজেলার গাবুরা এলাকা থেকে চক্রের বাকী ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার হয়।

তিনি আরো বলেন, চোর চক্রের অন্যতম হোতা আবু বক্কর সিদ্দিক আন্তঃবিভাগীয় মোটরসাইকেল চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন স্থানে মোটরসাইকেল চুরিসহ ২৭টি মামলা রয়েছে। এছাড়াও তার সহযোগী সালাউদ্দিন গাজীর বিরুদ্ধে ১৫টি, মোস্তাফিজুর রহমান নান্নুর বিরুদ্ধে তিনটি, আতিকুর রহমান সাজুর বিরুদ্ধে তিনটি ও শাহজাহান গাজীর বিরুদ্ধে অস্ত্র ও ডাকাতিসহ তিনটি মামলা রয়েছে। এই চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

Check Also

ঝাউডাঙ্গা শিবিরের ঈদ র‍্যালি অনুষ্ঠিত

আসাদুর রহমান: ঝাউডাঙ্গা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সদরের ঝাউডাঙ্গা বাজারে ঝাউডাঙ্গা ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে ঈদ র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।