হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে সাম্য-সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার বার্তা নিয়ে আজ সোমবার (৩১ মার্চ) উদযাপিত হবে মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর।
এক মাস সিয়াম সাধনা শেষে বেজে উঠল ‘ও মন রমজানের ওই রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ/ তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে, শোন আসমানী তাগিদ। ’
হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে সাম্য-সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার বার্তা নিয়ে আজ সোমবার (৩১ মার্চ) উদযাপিত হবে মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর।
এবার ঈদকে আরো আনন্দমুখর করতে দেশব্যাপী নানা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। মুঘল আমলের মতো এবার রাজধানী ঢাকা শহরে ঈদের নামাজের পর আনন্দ মিছিল ও ঈদ মেলা অনুষ্ঠিত হবে।
রোববার (৩০ মার্চ) সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা ও পর্যালোচনা কমিটির বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
সভা শেষে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশের আকাশে পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। সোমবারই সারা দেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।’
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূস।
এদিন ভোরে অজু-গোসল করে পবিত্র হয়ে নতুন বা পরিচ্ছন্ন পোশাকে আতর-খুশবু মেখে ঈদগাহ ময়দানে হাজির হবে শিশু থেকে বৃদ্ধ।
একসাথে নামাজ আদায় করে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নেবেন মুসল্লিরা। ছয় তাকবিরে দু’ রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে মুসল্লিরা দুনিয়া-আখেরাত এবং দেশ-জনগণের উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করবেন। এরপর সবাই কোলাকুলি করবেন।
এদিকে ঘরে ঘরে পড়বে রান্নার ধুম। সবার প্রথম চুলোয় উঠবে সেমাই, ফিরনিসহ নানান ধরনের মিষ্টান্ন। এরপর পোলাও-কোরমা বা বিরিয়ানি ও নুডলস। কেউবা চটপটি-ফুচকার আয়োজনও করবেন। মিষ্টান্নের পর টক-ঝালের উপভোগ। পাড়া-পড়শীরা একে অপরের খোঁজ নেবেন। একে দাওয়াত করবেন অন্যকে। স্বজনরা বেড়াতে যাবেন আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি। সবমিলিয়ে আনন্দের জোয়ারে ভাসবে গোটা দেশ।