উপকূলীয় অঞ্চল (শ্যামনগর): পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সাতক্ষীরা রেঞ্জ এর আওতাধীন সুন্দরবনের বুড়িগোয়ালিনী স্টেশনের কলাগাছিয়া ফরেস্ট ইকোট্যুরিজম ও আকাশলীনাতে হাজারও পর্যটক ভিড় করেছে।
মঙ্গলবার (১ এপ্রিল ২০২৫) সকালে সুন্দরবনের কলাগাছিয়া ও আকাশলীনা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সব বয়সী নারী ও পুরুষ ভ্রমণ করতে এসেছেন। মনমুগ্ধকর ও দর্শণীয় কলাগাছিয়া ইকো ট্যুরিজম সেন্টার সুন্দরবনের মধ্যে অবস্থিত এবং আকাশলীনা সুন্দরবন সংলগ্ন চুনা নদীর পাড়ে অবস্থিত।
কলাগাছিয়া ফরেস্ট ইকোট্যুরিজমে পর্যটকের চোখে পড়ে হরিণের দল, বানরের বাদরামী, জোয়ারের ঢেউ, আর বৃক্ষরাজির সংমিশ্রণে এক অপূর্ব পরিবেশ। রয়েছে অবারিত সবুজের লীলাভূমি, পরিবেষ্টিত রয়েছে হরিণের দল ও কুমির। অতীতে সুন্দরবন অভ্যন্তরে কাঠের অফিস বিদ্যমান ছিল, বর্তমানে সেখানে পাকা দ্বিতল ভবনও নির্মিত হয়েছে।
সম্প্রতি কলাগাছিয়া বন টহল ফাঁড়ী এলাকায় দ্বিতল ভবনটি নির্মিত হয়েছে।
কলাগাছিয়া বন টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শিপন মজুমদার জানান, এক সময় কাঠের সবকিছু ছিল, এখন অনেক উন্নত, ভবিষ্যতে ট্যুরিজম সেন্টারটি দর্শণীয় করতে বন বিভাগ উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
সরকারি বিধিমালা অনুযায়ী সেখানে রেস্ট নেয়া যাবে। বিদেশি মেহমানদের জন্য থাকবে নানাবিধ সুবিধা।
পবিত্র ঈদুল ফিতরের আনন্দ ভাগাভাগি করতে সুন্দরবনের কলাগাছিয়া ইকোট্যুরিজম এলাকায় ভ্রমণ করতে আসেন শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রনী খাতুন। ভ্রমণ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাহী অফিসার বলেন কলাগাছিয়া টুরিজম সেন্টারটি অনেক সুন্দর। এখানে সকল ধর্মের মানুষ ভ্রমণ করতে আসেন এবং এই স্থানে সকল ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে রেখেছে বন বিভাগ। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সকল পর্যটকদের এই এলাকায় ভ্রমন করে দেখার আহ্বান করেন।
সুন্দরবন কলাগাছিয়া ভ্রমণে আসা পর্যটকদের বিষয়ে বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঈদ পরবর্তী সুন্দরবনের কলাগাছিয়ায় হাজার হাজার পর্যটক ভ্রমন করতে আসেন। তাদের সকল ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে নিরাপদে ভ্রমণ শেষে নিজের এলাকায় ফিরতে পারেন।