সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ৫ নং কৈখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিমকে ‘মিথ্যা ও গায়েবী’ মামলায় গ্রেফতার করে হয়রানি করার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে তার স্ত্রী মোছাঃ রোকছানা পারভীন। শনিবার (৬ এপ্রিল) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে রোকছানা পারভীন বলেন, “২৭ মার্চ ২০২৫ তারিখে উপজেলা কমিটির এক সভা শেষে ফেরার পথে পুলিশ আমার স্বামীকে ডেকে নেয়। পরে শ্যামনগর থানার ওসি মোঃ হুমায়ুন কবির ‘উপরে চাপ আছে’ উল্লেখ করে কাশিমাড়ী এলাকায় নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা শ্যামনগর থানার একটি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে চালান দেন। অথচ, ওই সময় তিনি নিজ কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন।”
তিনি বলেন, “চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরাসরি জড়িত না থাকলেও, তিনি দুইবার আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের পরাজিত করে নির্বাচিত হয়েছেন। এজন্য পূর্বে তাঁকে জামায়াতপন্থী হিসেবে চিহ্নিত করে নাশকতা মামলাসহ একাধিক মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছিল।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, পরানপুর মৌজার ৩২ একর জমি সংক্রান্ত একটি মামলায় আদালতের নির্দেশে চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিমকে রিসিভার নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি নিয়ম মাফিক লিজ প্রক্রিয়াও সম্পন্ন করেন। কিন্তু, শ্যামনগরের ইউএনও রনি খাতুন আদালতের ওই আদেশকে উপেক্ষা করে জমিতে হস্তক্ষেপ করেন এবং জমি জবরদখলের জন্য জনৈক শরিফুল ইসলামকে নির্দেশ দেন বলে অভিযোগ করেন রোকছানা পারভীন।
তিনি দাবি করেন, “ইউএনও রনি খাতুন ব্যক্তিগত আক্রোশে আমার স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাঁকে হয়রানি করছেন। প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা এখনো আগের সরকারের দোসর হিসেবে থেকে গায়েবী মামলা দিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করছেন।”
চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিমের মুক্তি ও হয়রানিমূলক মামলাগুলো প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে তিনি আইজিপি, পুলিশ সুপার সাতক্ষীরা, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন বলে জানান।
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি সাংবাদিকদের লেখনির মাধ্যমে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণের আহ্বান জানান।
