১ জুলাই থেকে শুরু হয় শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন। এই আন্দোলন ১৫ জুলাই থেকে সহিংসতায় রূপ নেয়।
ঢাকা মেডিক্যালে নতুন ২৬ লাশগত রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত হাসপাতালে আসা সাত পুলিশ সদস্যের মধ্যে রয়েছেন সুজন চন্দ্র দে (৪২)। তাঁকে পিটিয়ে হত্য করা হয়। যাত্রাবাড়ী থেকে তাঁর লাশ মর্গে নেওয়া হয়। এ ছাড়া যাত্রাবাড়ী এলাকার পুলিশ সদস্য ফিরোজ হোসেনের (৪২) গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়।
দুই র্যাব সদস্যের মধ্যে পুলিশ ইন্সপেক্টর হাসমত আলী (৪০) ও র্যাব সদস্য বিজিবির জেসিও আনোয়ারের (৪১) মরদেহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে নেওয়া হয়।
একজন ডিবি সদস্য হলেন উত্তরা ডিবির ইন্সপেক্টর রাসেল (৩৮), একজন আনসার সদস্য হলেন যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে গুলিবিদ্ধ আবু জাফর (৪৩)।
এ ছাড়া সাধারণ মানুষের মধ্যে রয়েছেন পারভেজ মিয়া (৩০)। তাঁর বাড়ি ঢাকার যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলে। তিনি শনির আখড়া এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন। যাত্রাবাড়ী থেকে সুমন ইসলাম (৩০), উত্তরা থেকে মো. আবু হাসনাত রনি (২৪), উত্তরা থেকে গুলিবিদ্ধ খগেন্দ্র চন্দ্র সরকার (৪৯), উত্তরা থেকে হাফেজ মো. মাহমুদুল হাসান (২৬), মতিঝিল থেকে রাব্বি (২১), গুলশান থেকে আসিফ (১৬), কামরাঙ্গীর চর থেকে নুর আলম (২১), বংশাল থেকে শাওন (২২), হাতিরঝিল থেকে বাপ্পি আহমেদের (৩৫) লাশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে নেওয়া হয়।
অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের মধ্যে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল থেকে একজন (২২), যাত্রাবাড়ী থেকে একজন (৩০), হাতিরঝিল থেকে একজন (৩৫), উত্তরা থেকে একজন (৩২) রয়েছেন।
গতকাল বুধবার রাতে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এসব ঘটনায় আহত হয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিল ২৬৮ জন।