আপ্যায়ন আর বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন মুস্তাফিজ

ক্রাইমবার্তা রির্পোটঃক্রিকেট নিয়ে ব্যস্ততার কারণে গ্রামের বাড়িতে আসার সুযোগ খুব একটা মেলে না কাটার মাস্টার মুস্তাফিজের। এবারের ঈদ উল ফিতর সেই সুযোগটাই এনে দিল। তবে বর্ষণমুখর দিনে এ আনন্দে কিছুটা ভাটা পড়ে।19489596_1720599777968246_107441093_n_50480_1498454277

বাহাতি পেসার এখনও গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের তারালি ইউনিয়নের তেতুলিয়ায়। সোমবার ঈদ জামাতে হাসিমুখে হাজির হলেন মুস্তাফিজুর রহমান।

জামাতে অংশ নিয়ে কোলাকুলি করলেন সবার সঙ্গে এই পেসার। মনে হল দীর্ঘকালের পরিচয়ে একটা ছেদ পড়ে ছিলো। ঈদের আনন্দ সেই দূরত্বটাকে দূরে ঠেলে দিয়েছে।

মুস্তাফিজ হাত নেড়ে নেড়ে সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন। এখানেই শেষ নয়, নিজ হাতে অতিথিদের আপ্যায়ন করে হাসির ফোয়ারা তুললেন।

মায়ের হাতের রান্না খেতে খুব পছন্দ মুস্তাফিজের। বললেন, ‘মা যা রান্না করে তাই ভাল লাগে।’

মুস্তাফিজের বাবা আবুল কাসেম জানান, ‘ওর খুব পছন্দ মায়ের হাতে রান্না দেশী মুরগী আর গরুর মাংস।’

বন্ধু হাফিজুর রহমান জানান, ওকে (মুস্তাফিজ) নিয়ে আমরা সুন্দরবনে বেড়াতে যাচ্ছি।

এমনিতেই ক্রিকেট নিয়ে ব্যস্ততার কারণে গ্রামে খুব একটা আসা হয়ে ওঠে না কাটার মাস্টারের। আইপিএল খেলে ভারত থেকে ফেরার পর চলে যান আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে। এর পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভালো বোলিং করতে না পারার কষ্টটা ভুলে যেতেই মুস্তাফিজ ছুটে এলেন বাবা-মার কাছে।

সাতক্ষীরার মুস্তাফিজ এখন গ্রামের ছায়া ঢাকা তরুতলে। গ্রামে না এলে যে তার ভাল লাগে না। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা না দিলে তার মন ভরে না।
তবে ক্রিকেট নিয়ে কোনো কথা বললেন না মুস্তাফিজ।

শুধু শুভেচ্ছা বিনিময়, ‘কেমন আছেন’, ভাল আছি’ আর হাসির মধ্যে স্বজনদের আপ্যায়ন করেই বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে সময় কাটিয়ে দিচ্ছেন তিনি।

সাতক্ষীরা ছেড়ে কবে যাবেন ঢাকায় তাও বলতে পারলেন না কাটার মাস্টার। শুধু বললেন, ‘পরে কথা হবে।’

Please follow and like us:

Check Also

নিঃস্ব সাতক্ষীরার হাজার হাজার মানুষ: ভূক্তভোগীরা জানতে চান, এভাবে চলবে আর কতদিন?

উপকূলের ভয়ংক্তার মে আবু সাইদ বিশ্বাস: সাতক্ষীরা: উপকূলের ভয়ংক্তার মে। মে মাস মানেই উপকূল বাসীর …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।