‘সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙ্গা ছিল বিশ্বাসঘাতকতা, অপরাধ’ : গর্ভাচেভ

ক্রাইমবার্তা আন্তর্জাতিক ডেস্ক :অবিভক্ত সোভিয়েত ইউনিয়নের শেষ নেতা মিখাইল গর্ভাচেভ বলেছেন, রক্তাক্ত এক গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছিল। পরমাণু অস্ত্রধর একটি দেশে বিপজ্জনক রক্তপাত এড়াতে ২৫ বছর আগে তিনি ক্ষমতা ছেড়েছিলেন।

১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে পড়ার সময় তিনি ছিলেন দেশের প্রেসিডেন্ট।
২৫ বছর পর গুরুত্বপূর্ণ সেই অধ্যায় সম্পর্কে মস্কোতে বিবিসির সংবাদদাতা স্টিভেন রোজেনবার্গের সাথে কথা বলেন গর্ভাচেভ।

শীতল যুদ্ধ শেষ করার জন্য সে সময় পশ্চিমাদের বাহবা কুড়িয়েছিলেন এই নেতা। তাকে নোবেল শান্তি পুরকার দেয়া হয়। স্ন্কিন্তু এখন তিনি সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙ্গার জন্য অনুশোচনা করেন।
“সেটি ছিল অভ্যুত্থান… বিশ্বাসঘাতকতা… অপরাধ। দেশকে গৃহযুদ্ধের দোরগোড়ায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আমাদের মত একটি পারমানবিক অস্ত্রধারী দেশে ক্ষমতার লড়াই, বিভেদ কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে আপনি তা কল্পনাও করতে পারবেন না… আমি রক্তপাত এড়াতেই পদত্যাগ করেছিলাম।”
৮৫ বছরের গর্ভাচেভ এখন পশ্চিমা বিশ্বের কড়া সমালোচক হয়ে উঠেছেন।
তিনি বলেন, তিনি নিশ্চিত ভ্লাদিমির পুতিনকে দুর্বল করার জন্য পশ্চিমা দেশগুলো উঠেপড়ে লেগেছে।
“পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমগুলোকে এ ব্যাপারে বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমি নিশ্চিত বিবিসিকেও সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে … তারা পুতিনকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চায়।”
মি গর্বাচফ বলেন, পশ্চিমাদের এই নীতির কারণেই পুতিন দিন দিন রাশিয়ানদের কাছে জনপ্রিয় হচ্ছেন। “৮৬ শতাংশ মানুষ পুতিনকে সমর্থন করেন।”
মি পুতিন কি কখনো কোনো পরামর্শের জন্য তার দ্বারস্থ হন? এই প্রশ্নে গর্ভাচেভ বলেন, “সে (পুতিন) সব কিছু জানে.. আসলে সব মানুষই তার মত করে কাজ করতে চায়।”
তার হাত দিয়েই সোভিয়েত ইউনিয়ন শেষ হয়েছিলো, কিন্তু এখনো ঘরে বসে সোভিয়েত আমলের পুরনো গান শোনেন মিখাইল গর্ভাচেভ।
সূত্র : বিবিসি

Please follow and like us:

Check Also

রাফায় ইসরাইলি হামলায় একই পরিবারের ৯ জন নিহত

ফিলিস্তিনের রাফায় ইসরাইলি হামলায় একই পরিবারের ৯ সদস্য নিহত হয়েছেন। তবে বেঁচে গেছে ওই পরিবারের …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।