এবার গুড়পুকুর মেলা হবে ১৫ দিন

নিজস্ব প্রতিনিধি: ডেঙ্গুর কারণে এবার ঐতিহ্যবাহী গুড়পুকুরের মেলা হবে ১৫ দিনব্যাপী। যা আগে হতো মাসব্যাপী। বৃহস্পতিবার এ উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, দৈনিক পত্রদূতের সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি অধ্যাপক আনিসুর রহিম, পৌরসভার প্যানেল মেয়র আব্দুস সেলিম, কাউন্সিলর কাজী ফিরোজ হাসান, ফারহা দিবা খান সাথী, জোৎন্সা আরা প্রমুখ।
এসময় পৌরসভার প্যানেল মেয়র আব্দুস সেলিম, ব্যবসায়ীদের কথা মাথায় রেখে গুড়পুকুরের মেলা দুই মাস চালানোর জন্য প্রস্তাব উত্থাপন করেন।
এর প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বলেন, জেলার সার্বিক পরিস্থিতির বিষয় আমাদের মাথায় রাখতে হবে। জেলা প্রশাসক হিসেবে জেলার মানুষের জান-মালের নিরাপত্তার দায়িত্ব আমার। গুড় পুকুরের মেলা জেলার ঐতিহ্য। মেলা হবে ১৫ দিনের জন্য। এর একদিন বেশি হবে না। ডেঙ্গু পরিস্থিতি উত্তরণের সাথে মেলার সম্পর্ক। মেলা ১৫ দিনের বেশি চলবে না। তবে ডেঙ্গু পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ হতে পারলে তখন বিবেচনা করা যাবে। জেলার মানুষের বর্তমান পরিস্থিতি সবাইকে অনুধাবন করতে হবে। নিজেদের কথা না ভেবে, সাধারণ মানুষের কথা ভাবতে হবে। ডেঙ্গু পরিস্থিতি খারাপ হলে মেলা এক সপ্তাহও হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, মেলা মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি করে জেলার মানুষের সাথে প্রতারণা করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সার্কাস মানুষের বিনোদনের খোরাক জোগায়। গুড়পুুকুরের মেলা উপলক্ষে সার্কাস বসতে পারবে, তবে কোন প্রকার অশ্লীলতা হলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। মেলার নামে পুতুল নাচ অশ্লীল নিত্যা হলে কাউকে ছাড়া হবে না।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ বলেন, মেলায় আগত মানুষের অসচেতনার কারণে শহিদ মিনারের অবমাননা হয়। সে কারণে তিনি গুড়পুরের মেলা পিএন হাইস্কুল মাঠে করার প্রস্তাব দেন।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, ২০০৪ সালের বোমা হামলার ঘটনার পর মেলা অনেকদিন বন্ধ ছিলো। সেময় এই মেলা চালোনোর জন্য তৎকালীন জেলা প্রশাসকদের বলা হলেও তারা দায়িত্ব নিতে চাইতো না। বিশেষ করে পুলিশ বিভাগ নিরাপত্তা দিতে পারবে না বলে মেলা চালানো যেত না। প্রতি বছর জেলার ঐতিহ্যবাহী মেলা হচ্ছে সে জন্য জেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান তিনি। শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কের বাইরে এ মেলা হলে তার গুরুত্ব অনেকখানি হারাবে। রাজ্জাক পার্কে মেলা ১৫ দিনের জন্য হলে কোন সমস্যা হবে না।
অধ্যাপক আনিসুর রহিম বলেন, গুড়পুরের মেলায় যে পণ্য আনা হয়, তার অধিকাংশই মেয়াদ উত্তীর্ণ। সে কারণে এখান থেকে পণ্য কিনে জেলার মানুষ প্রতারণার শিকার হয়ে থাকে। এদিকগুলো খেয়াল রাখতে হবে। গুড়পুরের মেলার ঐতিহ্য ইলিশ মাছ, বাঁশ, কাঠ, লোহা, বেতের সামগ্রী ও নার্সারী। এ ঐতিহ্য ধরে রাখতে হবে। ভাদ্রমাসের শেষ দিন বিশ^কর্মা পূজার মাধ্যমে এ মেলার উদ্বোধন করা হবে।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বদিউজ্জামান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাদেকুর রহমান, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু প্রমুখ।

Please follow and like us:

Check Also

সাতক্ষীরায় প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০১৬ বাস্তবায়ন বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিনিধি : প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০১৬ বাস্তবায়ন বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।