কৃষ্ণনগর (কালিগঞ্জ) প্রতিনিধি ॥ শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ী ইউনিয়নের ঘোলা খোলপেটুয়া নদীর রিং বাঁধ ভেঙ্গে কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের কালিকাপুর ১নম্বর ওয়ার্ডের আংশিক প্লাবিত হয়ে পানি ঝুরঝুরিয়া খালে পড়িতেছে। অপর দিকে কালিকাপুর সুইজ গেট দিয়ে জোয়ারের পানি ওঠে কালিকাপুর ২ নম্বর ওয়ার্ড রঘুনাথপুর আংশিক রামনগর শংকরপুর আংশিক রাতের জোয়ারে প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। কয়েক জন মৎস্য ঘের মালিকরা এ প্রতিনিধিকে জানান পরিকল্পিতভাবে গেট দিয়ে জোয়ারর পানি উঠাইয়া আমাদের মৎস্য ঘের ডুবানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে সুইজ গেটের দায়িত্বশীল সাইফুল ইসলাম এর কাছে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় গত ২০ মে ঘূর্ণিঝড় আমফানে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাস এর কারণে কাশিমাড়ী ইউনিয়নের ঘোলা খোলপেটুয়া নদীর প্রায় ২ কিলোমিটার ওয়াপডার বাঁধের ৬ টি স্থানে ফাটল ধরে পানি ভিতরে প্রবেশ করে কাশিমাড়ী ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত করে কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের কালিকাপুর ১ নম্বর ওয়ার্ডের আংশিক প্লাবিত হয়। কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের বাকি ওয়ার্ড যাহাতে বন্যার পানিতে প্লাবিত না হয় সেজন্য কালিগঞ্জ উপজেলার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদ মেহেদী নেতৃত্বে কালিকাপুর তালতলা হতে কাশিমাড়ি সড়কের জয়নগর কালভার্ট পর্যন্ত রিং বাঁধ দিয়ে পানি আটকানো হয়। কিন্তু গত বুধবার ঘোলা খোল পেটুয়া নদীর রিং বাঁধ পুনরায় ভেঙে জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় কালিকাপুর ১ নম্বর ওয়ার্ডের আংশিক প্লাবিত হয়ে তালতলা টু কাশিমাড়ি সড়কের রিং বাঁধ ভেঙ্গে ধেয়ে আসছে জোয়ারের পানি। নতুন করে পানি ওঠায় দুর্ভোগের সীমা নাই কালিকাপুর ১ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষের। বন্যার পানিতে ৭০ থেকে ৮০ টি বাড়িঘর, প্রায় ২০০ বিঘা মৎস্য ঘের, ফসলাদি পানিতে তলিয়ে গেছে। এখনো পর্যন্ত কোন সরকারি সাহায্য ও সহানুভূতি না পাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো অসহায় অবস্থায় জীবন যাপন করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষের দাবী আমরা খাদ্য চাই না আমরা চাই একটা নিরাপদ ভেড়ি বাঁধ।
Check Also
দেবহাটা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ৯ প্রার্থীর প্রতিক বরাদ্দ
দেবহাটা প্রতিনিধি: আগামী ২১ মে আসন্ন ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ২য় ধাপে দেবহাটায় ভোট গ্রহন …