আশাশুনি মরিচ্চাপ নদীর বেড়িবাঁধে ভাঙ্গন: ঘটনা স্থল পরিদর্শন জামায়াতের

এস,এ মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি (সাতক্ষীরা)  সাতক্ষীরার আশাশুনির মরিচ্চাপ নদীর বেড়ি বাঁধে ভয়াবহ ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের খোজ খবর নিলেন সাতক্ষীরা জামায়াত। জেলা আমির মুহাদ্দিস রবিউল বাশারের নির্দেশনায় এবং উপজেলা জামায়াতের আমীর আবু মুছা তারিকুজ্জামান তুষারের নের্তৃত্বে জামায়াতের একটি প্রতিনিধি দল গতকাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এসময় উপজেলা জামায়াতের অফিস সেক্রেটারী মাওলানা রুহুল কুদ্দুস, সদর ইউনিয়নের আমীর হাফেজ আব্দুল্লাহ, বাইতুলমাল সেক্রেটারী এসএম শহিদুজ্জামান বাবলু, হযরত আলী সরদার, আমীর হামজা খোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয় বাসিন্দা আমীর হামজা খোকন জানান, চরম অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যে চর গ্রামের জামে মসজিদ সংলগ্ন মরিচ্চাপ নদী খননের জন্য ভাঙনস্থলে আড়াআড়ি বাঁধ নির্মাণ করা হয়। কাজ শেষ না করেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লাপাত্তা হয়ে যায়। এসময় অরক্ষিত হয়ে পড়ে প্রায় ২০০ ফুট বেড়িবাঁধ। এতে পানি সরবরাহ না থাকায় বিগত দু’বছর ধরে লোনাপানির জন্য বুধহাটা, আশাশুনি ও শোভনালী ইউনিয়নের চিংড়ি ঘের তলিয়ে যায়। কয়েক মাস আগে স্থানীয় লোকজন সেই বাঁধ কেটে লোনা পানি তোলে । ফলে অপরিকল্পিতভাবে বাঁধ কাটার কারণে জোয়ার ভাটার সময় বাঁধ এলাকায় প্রায় ২০০ ফুট বেড়ি বাঁধ ভাঙনের কবলে পড়ে।
স্থানীয় শ্রমিক রেজাউল ইসলাম বলেন, চরভরাটি এ এলাকাটি আশাশুনি সদরে হলেও এর অনেকাংশ বুধহাটা ইউনিয়নের জমি।
বুধহাটা ইউপি চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক মাহবুবুল হক ডাবলু জানান, ভাঙন রোধে তার নের্তৃত্বে একটি রিং বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। কিন্তু গত ৫ আগষ্টের পটপরিবর্তনের পর কাজ বন্ধ করা হয়। অনতিবিলম্বে ভাঙন এলাকায় টেঁকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা না হলে আমাদের প্রায় ৪ শ পরিবার ভেসে যাব।
আশাশুনি উপজেলা জামায়াতের আমীর আবু মুছা তারিকুজ্জামান তুষার ঘটনাস্থলে উপস্থিত আতঙ্কিত শতশত নারী-পুরুষের উদ্দেশ্যে বলেন, মরিচ্চাপ নদীর এ বাঁধটি ভেঙে গেলে চাপড়া ও আশাশুনি মৌজার ৪ শ ভূমিহীন পরিবার প্লাবিত হয়ে গৃহহীন হয়ে পড়বে। বাঁধটি এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে মানিকখালী ভূমিহীন পল্লী ভাসিয়ে উপজেলা পরিষদ আক্রান্ত হতে পারে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কর্মকর্তারা তৎপর না হলে নদী ভাঙনে চরের ভূমি হীন পল্লীসহ উপজেলা সদরের নকশা বদলে যাবে। উপজেলা জামায়াতের পক্ষ থেকে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণা রায় কে অবহিত করা হয়েছে। উনি সরজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন বলে জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও মোমেন আলীর সাথে (০১৭৭৯২৮৭৮৩৯) যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি। অনতিবিলম্বে ভাঙন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভূক্তভোগী ভূমিহীন পল্লীর বাসিন্দারা।

 

Check Also

রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শহীদ মিনারে গণজমায়েত

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ ও ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গণজমায়েত কর্মসূচি শুরু হয়েছে। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।