তিনি মুসলিম বিশ্বের অহংকার

মুহা. রুহুল আমিন: হে প্রিয় রাহবার, আমরা আল্লাহর জন্য আপনাকে ভালবাসি আর আপনার এ ত্যাগও আল্লাহর জন্য। আপনার মুক্তির প্রতিক্ষায় গোটা পৃথিবী। আজ কোটি জনতা টহৃদয় ভরে আবার কোরআনের মধুমাখা বানি শুনার অপেক্ষায়! “সুরেলা কন্ঠে বাজবে সেই সুর প্রান জুড়াবে লাগবে সু-মধুর” কোটি জনতার প্রানের স্পন্দন, বিশ্ব নন্দিত মোফাচ্ছেরে কোরআন আল্লামা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদী নামটির সাথে পরিচিতি নেই এমন লোক দেশে বিরল। যিনি কুরআনের দা’য়ী হিসাবে সারা দুনিয়ার কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ের মনি কোঠায় স্থান করে নিয়েছেন। লাখো কোটি তরুনদের ইসলামের ছায়াতলে আসার ক্ষেত্রে যার অবদান অপরিসীম। পথহারা যুবকের পথের দিশারী। অগণিত মানুষের আবেগ আর ভালবাসার প্রিয় মানুষ। আমরা তাঁর নিঃশর্ত মুক্তি চাই। একজন কুরআন গবেষক। যিনি কুরআনের আলো ছড়িয়েছেন সারা পৃথিবীতে। যার হাতে কালেমা পড়ে ইসলামের ছায়াতলে এসেছে শত শত অমুসলিম। তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কোরআনের কান্ডারী হিসেবে যে কালজয়ী তাফসীর পেশ করেছেন তা নিঃসন্দেহে আজ কোরআনের মোফাচ্ছেরদের জন্য মাইলফলক। তার মধুমাখা কন্ঠ, প্রাঞ্জল ও সাবলীল উপস্থাপনা, চুলচেড়া বিশ্লেষণ, ভাষার লালিত্য, সুন্দর বাচনভঙ্গি, শ্রোতার হৃদয়ে কুরআনের শিক্ষা পৌঁছে দেয়ার এক যাদুকরী শক্তি আল্লাহ তাকে দিয়েছেন। এজন্য তিনি স্বদেশ ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে সমান জনপ্রিয়। ইসলামের উপর যখন আঘাত এসেছে, জীবন বাজি রেখে সিংহের মত বজ্র কন্ঠে গর্জে ওঠেছেন। তিনি খোদাদ্রোহী ও দেশদ্রোহী শক্তির বিরুদ্ধে আপোষহীন ছিলেন। “বজ্রকন্ঠে ধ্বনিত হবে আওয়াজ বদলে যাবে ঘুনেধরা সমাজ।” তিনি জনতার মাঝে ব্যতিক্রমধর্মী স্বকীয়তা ও বৈশিষ্টে সমুজ্জ্বল। অসীম গুনাবলী, ভিসন সাহসিকতা, আকর্ষনীয় ব্যক্তিত্ব, সততা ও আপোষহীনতার জন্য দল-মত নির্বিশেষে কোটি জনতার প্রাণের স্পন্দন, ঈমানী চেতনার অগ্নিস্ফুলিঙ্গ, তিনি মুসলিম বিশ্বের অহংকার। আজ এই সর্বাধিক জনপ্রিয় মুফাসসির ও ধর্মীয় নেতার ব্যপারে মানুষের কৌতুহলের অন্ত নেই। আহ! দশটি বছর জেল খানার অন্ধকার সেই সেলে……… যাকে ঢংসাইছে সেই জানে বিষের কি যন্ত্রণা। কেন এই নিপীড়ন? সরকারের প্রকাশিত রাজাকারের তালিকায় তার নাম নেই৷ তবে কেন এ জুলুম? হাশরের মাঠে আল্লাহর আদালতে আমরা মামলা করবো। আর সেদিন ক্ষমাও করবো না। আল্লাহকে ভয় করুন, সিদ্ধান্ত নিন। জাতির এই আকঙ্খাকে উপেক্ষা না করে হুজুর কে নির্বাহী আদেশে মুক্তি দিন। আমরা মনে করি, সরকার বিষয়টির প্রতি ইতিবাচক সাড়া দিবেন। পৃথিবীতে ইমাম হুসাইন, সাইয়েদ কুতুব, হাসান আল বান্না, ইমাম ইবনে তাইমিয়াদের নাম ইতিহাস ভুলেনি, তাদের জন্য দোয়া আর ভালবাসা অবিরত। আবার ইয়াজীদ, মীর জাফর, জামাল নাসেরদের অভিশপ্ত নামও স্মরণ রেরেখেছে তবে তিরস্কার ও ভৎসনা দিয়ে………. যে মানুষ টি নমরুদ, ফেরাউন, কারূন, আবু জাহেল, আবু লাহব, ওৎবা, শায়বা, মগিরা, ও তাদের উত্তরসূরী জালিম শাসক ও শোষণের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কন্ঠে কথা বলতো। বলতো হযরত হামজা, বেলাল, খাব্বাব, ইয়াসির (রাঃ) রক্ত ঝড়া চেতনায় ইসলাম কে জিন্দা করার তরে। ইকামাতে দ্বীন প্রতিষ্ঠা করার লক্ষে কোরআন হাদিসের আলো জ্বালাতো। আজ ঐ কাফেরের উত্তরসূরীরা একামতে দ্বীনের বিরুদ্ধে যে ফাঁদ পেতেছে জাতি তা হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করছে। হে আরশের মালিক! আমরা আর পারছিনা, আমারা দুর্বল, আমাদের কান্না তুমি ছাড়া কে শুনবে? তুমি অামাদের সকল অকল্যাণ থেকে হেফাজত করো। আমরা তোমার শিখানো ভাষায় পড়ছি الَّذِيْنَ اِذَآ اَصَابَتْهُمْ مُّصِيْبَةٌ ۙ قَالُوْٓا اِنَّا لِلّٰهِ وَاِنَّـآ اِلَيْهِ رٰجِعُوْنَؕ যারা তাদের উপর বিপদ আপতিত হলে বলে আমরা তো আল্লাহর জন্যই এবং নিশ্চিত ভাবে তাঁর কাছেই আমাদের ফিরে যেতে হবে।(সুরা বাকারা-৫৬) দেশের এই ক্লান্তিকালে লক্ষ কটি তৌহিদে জনতা তাঁর সাক্ষাতের প্রতীক্ষায় প্রহর গুনছে। হে আমাদের রব, এই বীর সিপাহসালা কে মুক্তির ব্যাবস্থা করে দিন। হে আল্লাহ, বিশ্বের কোটি মানুষের প্রানের আকুতি তুমি কবুল করো। মালিক, হুজুরকে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দিন। #

লেখাটি পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত

Check Also

সাতক্ষীরাসহ বিভিন্নস্থানে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালিত

সাতক্ষীরাসহ সমগ্র মুসলিম বিশ্বে  সোমবার, ১২ রবিউল আউয়াল ধর্মীয় ভাবগাম্ভির্য ও যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়েছে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।