ক্রাইমবার্তা রিপোট:রাণীশংকৈল প্রতিনিধি ঃ ঠাকুরগাওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলা সভাকক্ষে ৃ৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ ১৪২৪ উদযাপনের প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আ’লীগ সভাপতি অধ্যাপক মো. সইদুল হক, অধ্যক্ষ মো. তাজুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান মোছা. মাহফুজা বেগম পুতুল, প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মো. মোবারক আলী, প্রভাষক মো. সফিকুল আলম, আ’লীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. আনিশুর রহমান বাকি, শেখ রাসেল পরিষদের সভাপতি মো. জাকারিয়া হাবিব ডন প্রমুখ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মো. নাহিদ হাসান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ।
রাণীশংকৈলে একই পরিবারে ক্যান্সারে মৃত্যু ৮ চিকিৎসাধিন ১
রাণীশংকৈল প্রতিনিধি ঃ ঠাকুরগাওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলা সংলগ্ন নয়ানপুর গ্রামে একই পরিবারের ৮ জন ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। ইতিমধ্যে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন আরেকজন।
পারিবারিক সুত্রমতে, উপজেলা পরিষদের সন্নিকটে নয়ানপুর গ্রামের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আশির উদ্দীনের পরিবারে ১৯৯৩ সাল থেকে নেমে আসে ঘাতক ক্যান্সার নামক রোগটি। ধারাবহিকতাভাবে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ৮ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। গলা ক্যান্সারে আক্রান্তের স্বীকার হয়ে ইতিমধ্যে ঐ পরিবারের আরেকজনের চিকিৎসা চলছেন ভারতের ভেলরে। ১৯৯৩ সালে প্রথমে নবম শ্রেণীর ছাত্রী মনিরা আক্তার ব্রেন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। এ থেকে সে পরিবারে নেমে আসে ক্যান্সারের ভয়ানক ব্যাধি ক্রমান্বয়ে গ্রাস করতে থাকে একের পর এক করে ৮জন কে। শিক্ষার্থী মনিরা আক্তারের পর আমিনুল ইসলাম বিএসসি(৫০) লিভার ক্যান্সারে, বশেদা খাতুন(৫৫) লিভার ক্যান্সারে, সাবেক ইউপি সদস্য আজমত আলী(৭০), তার স্ত্রী ওমেদা খাতুন(৬০) ব্লাড ক্যান্সারে, পরিবারের কর্তা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আশির উদ্দীন ২০১১ সালে লিভার ক্যান্সারে, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থী সুরভী আক্তার(২৫) ব্লাড ক্যান্সারে। সর্বশেষ ২০১৬ সালে সামশুল হক(৬৫) ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে নিজ বাস ভবনে মারা যান। অন্যদিকে আশির উদ্দীন চেয়ারম্যানের ভাইয়ের ছেলে সাদেকুল ইসলাম(৪০) গলা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে ভারতের ভেলরে চিকিৎসা রয়েছেন। এভাবে একে একে সুস্থ স্বাভাবিক মানুষগুলো ভয়ানক ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ায় নয়ানপুর গ্রামের লোকজন ক্যান্সার আতংকে রয়েছেন। এ ব্যাপারে জেলা সিভিল সার্জন আবু মোঃ খায়রুল কবির মুঠোফোনে বলেন, যেহেতু একই পরিবারে এতগুলো লোক ক্যান্সার আক্রান্তে মারা গেছে, বিষয়টি নিয়ে আমি আমার উর্দ্ধতন কৃর্তপক্ষের সাথে কথা বলবো।